কলকাতা, 16 অগস্ট: মহিলাদের রাত দখল কর্মসূচির সময় আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে যে ভাঙচুর ও তাণ্ডবের ঘটনা ঘটেছিল, সেখানে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে সরব হয়েছেন অনেকে ৷ তাহলে কি পুলিশের গাফিলতি ছিল সেই রাতে ? শুক্রবার লালবাজারে এক সাংবাদিক বৈঠকে সেকথা কার্যত স্বীকার করে নেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল ৷ তিনি জানান, যদি মনে করা হয় যে পুলিশি গাফিলতি ছিল ৷ তাহলে হয়তো তাই ছিল ৷ একই সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, মেয়েদের রাত দখল কর্মসূচির জন্য বুধবার কলকাতায় পর্যাপ্ত পরিমাণে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল ৷
কিন্তু তার পরও তো হাসপাতালে তাণ্ডব চালানো হয়েছে ৷ যদিও পুলিশ বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করেছে ৷ বাকিদের ধরতে আরও একবার সাধারণ মানুষের কাছেই সাহায্য চেয়েছেন তিনি ৷ তাঁর কথায়, ‘‘অভিযুক্তদের ছবি আমরা ফেসবুকে শেয়ার করেছি । যদি আপনাদের কারও জানা থাকে তাহলে আমাদের জানান ৷’’
একই সঙ্গে বিনীত গোয়েলের অভিযোগ, কিছু কিছু মানুষ ইচ্ছা করে গুজব ছড়িয়ে তদন্তকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছেন ৷ সিবিআই তদন্ত করছে ৷ পুলিশ সিবিআইয়ের সঙ্গে সমন্বয় করছে ৷ এই পরিস্থিতি ধৈর্য ধরার আর্জি জানিয়েছেন কলকাতার নগরপাল ৷
কেউ কেউ প্রশ্ন তুলেছেন ধর্ষণ ও খুনের অভিযোগ কেন দায়ের করা হয়নি প্রথমে ? এই নিয়ে সিপি-র বক্তব্য, দেহ উদ্ধার হল প্রথমে অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু হয় ৷ এক্ষেত্রে সেটাই করা হয়েছে ৷ অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু হওয়া মানেই বিষয়টি আত্মহত্যার, তা ভাবা ঠিক নয় ৷
ওই সাংবাদিক বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কলকাতা পুলিশের অতিরিক্ত নগরপাল (প্রথম) মুরলীধর শর্মা ৷ তিনি ভাঙচুরের ঘটনায় অভিযুক্তদের ধরতে পুলিশকে সাহায্য করার কথা বলেছেন ৷ তিনি আরও জানিয়েছেন যে সেদিন কলকাতা পুলিশের 15 জন আহত হয়েছেন ৷ আর পুরো বিষয়টিকে পুলিশ ধামাচাপা দিতে চাইছে বলে যে অভিযোগ উঠছে, তাও এ দিন লালবাজারের তরফে উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে ৷ তাছাড়া যেখান থেকে ওই তরুণীর দেহ উদ্ধার হয়, সেই সেমিনার হল সুরক্ষিত রয়েছে বলেও জানিয়েছেন মুরলীধর শর্মা ৷