কলকাতা, 20 জুলাই: অস্থায়ী কর্মীদের পরিচয়পত্র তৈরি করতে গিয়ে হাতে এসেছে নয়া কেলেঙ্কারি ৷ যা দেখে তাজ্জব আধিকারিকরা ৷ একজন অস্থায়ী কর্মীর দুই বিভাগের কর্মী তালিকায় নাম রয়েছে । মাসের পর মাস ধরে দু'টি বিভাগ থেকেই বেতন তুলছেন ওই কর্মী ৷ এই ঘটনায় এবার কড়া পদক্ষেপের নির্দেশ দিলেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম ৷ শনিবার তিনি বলেন, "অভিযুক্ত কর্মীদের হয় অতিরিক্ত বেতন ফেরত দিতে হবে, না হলে চাকরি যাবে ৷"
সম্প্রতি এমন একটি ঘটনা নজরে এসেছে কলকাত পুরনিগমের আধিকারিকদের ৷ অস্থায়ী একাধিক কর্মীর দু'টি পৃথক বিভাগের কর্মী তালিকায় নাম রয়েছে ৷ তাঁরা মাসের পর মাস ধরে ওই দু'টি বিভাগ থেকেই বেতন পাচ্ছেন ৷ এই ঘটনা জানতে পেরেই তদন্ত শুরু হয় ৷ অভ্যন্তরীণ তদন্তে দু-একজন নয়, প্রায় 60 জনেরও বেশি কর্মীর নাম পেয়েছেন আধিকারিকরা ৷
এই প্রসঙ্গে মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, "এক কর্মী দুই বিভাগে নাম ও বেতন তোলার ঘটনা নজরে এসেছে ৷ এই সমস্ত অসাধু কর্মীদের চিহ্নিতকরণের কাজ চলছে ৷ এদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে নির্দেশ দিয়েছি ৷ হয় এতদিন ধরে যত টাকা বেতন বাবদ তুলেছেন, সেই অর্থ ফেরত দিতে হবে তাঁদের ৷ আর নয়তো তাঁদের চাকরি যাবে ৷ আমাদের এই প্রক্রিয়া চলছে ৷"
আধিকারিকদের আশঙ্কা, এই সংখ্যা আরও বাড়বে ৷ অস্থায়ী কর্মীদের প্রায় 30-40 শতাংশ ভুয়ো বলে মনে করছেন তাঁরা । এমন বেনিয়ম প্রথম নজরে আসে অস্থায়ী কর্মীদের স্থায়ী কর্মীদের মতো পরিচয়পত্র ও নম্বর দেওয়া নিয়ে ৷ সমস্ত তথ্য আধার, ভোটার, প্যান কার্ড লিঙ্ক করিয়ে ডেটা তৈরি হচ্ছে ৷ কারণ স্থায়ী কর্মীদের ডেটা থাকলেও, কলকাত পুরনিগমের অস্থায়ী কর্মীদের পুঙ্খানুপুঙ্খ তথ্য ছিল না কলকাতা কর্পোরেশনের হাতে ৷ এদিকে মাস গেলে বিপুল টাকা বেতন বাবদ দিতে হত পুরনিগমকে ৷ আধিকারিকরা আঁচ করছিলেন, ভুয়ো নাম থাকতে পারে ৷ সেই আশঙ্কাই সত্যি হয়েছে ৷