কলকাতা, 10 অক্টোবর: উৎসবের শহরে এখন রাস্তা থেকে অলিগলি শুধু কালো মাথার ভিড়। মণ্ডপে মণ্ডপে লাখো জনতার ঢল। ঠাকুর দেখার সঙ্গেই চুটিয়ে খাওয়া-দাওয়া। সেই খাবারের গুণমান কেমন ? খতিয়ে দেখতে উত্তর থেকে দক্ষিণ, রোস্তোরাঁ থেকে ফুটপাতের দোকান কিংবা স্টল নজরদারি চালাল কলকাতা পুরসভার খাদ্য সুরক্ষা বিভাগ ৷
কলকাতা কর্পোরেশন স্বাস্থ্য বিভাগের অধীন এই শাখা বিভিন্ন এলাকায় ভ্রাম্যমাণ পরীক্ষাগার নিয়ে ঘুরছে। অভিযানে নেতৃত্ব দিচ্ছেন স্বাস্থ্য বিভাগের মেয়র পরিষদ ও কলকাতার ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ। রয়েছেন খাদ্য সুরক্ষা বিভাগের ভারপ্রাপ্ত উপমুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক তরুণ কুমার সাপুই। মহালয়ার পর থেকেই মণ্ডপে ভিড়। রেস্তোরাঁ সঙ্গেই পুজোর ক'দিন রাস্তার ধারে কিংবা গলির ভিতর থাকে অসংখ্য অস্থায়ী খাবারের স্টল।
সেখানে বিক্রি হাওয়া খাবারের গুণমান যাচাই করছেন খাদ্য সুরক্ষা বিভাগের কর্মীরা। কোনও দোকানে বাসি খাবার বা নিম্নমানের মশলা পেলেই সঙ্গে সঙ্গে সেগুলি বাজেয়াপ্ত কি নষ্ট করে ফেলা হচ্ছে। পাশাপশি সতর্ক করা হচ্ছে ৷ ইতিমধ্যে সাউথ সিটি মলের মত বড় জায়গা থেকে কলকাতার নামজাদা হোটেল থেকে রেস্তোরাঁর রান্নাঘরেও হানা দিয়েছেন আধিকারিকরা। খাবারের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।
এই প্রসঙ্গে এক আধিকারিক বলেন, "আমরা সিডিউল করে দিয়েছি। উত্তর, দক্ষিণ ও মধ্য কলকাতায় অভিযান যেমন চলছে, তেমন 16টি বরোতে 16টি দল বিভিন্ন এলাকায় আচমকা অভিযান চালাচ্ছে। কোথায় বাসি খাবার পেলে সঙ্গে সঙ্গে সেগুলো নষ্ট করে দেওয়া হচ্ছে ৷ কোথাও সন্দেহ হলে গুড়ো মশলা, তেল এইসব ভ্রাম্যমাণ ল্যাবে পরীক্ষা করা হচ্ছে ৷ তবে এখন পর্যন্ত সন্তোষজনক পরিস্থিতি ৷ বিক্রেতারা আগের থেকে এখন বেশ খানিকটা সচেতন ৷ ফলে খারাপ খাবার বা নিম্নমানের মশলা ব্য়বহারের ঘটনা নামমাত্র চোখে পরেছে। এছাড়া অভিযানের ফলে বাকিরাও সতর্ক হচ্ছে ৷"