কলকাতা, 26 সেপ্টেম্বর: রাজ্যে ভয়াবহ বন্য পরিস্থিতি ৷ নিয়মিত বৃষ্টি ও ডিভিসি'র ছাড়া জলে প্লাবিত দক্ষিণবঙ্গের বেশ কয়েকটি জেলা ৷ ইতিমধ্যেই বন্য কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ কিন্তু আদিগঙ্গায় কোটালের জলে প্লাবিত হয়ে যায় মুখ্যমন্ত্রী কালীঘাটের বাসভবন ৷ মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িকে রক্ষা করতে আদিগঙ্গা বুকে একটি লকগেট বসানোর কথা ভাবচ্ছে কলকাতা কর্পোরেশন ৷
নতুন এই লকগেট তৈরি হবে মেয়র ফিরহাদ হাকিমের বিধানসভা কেন্দ্র হেস্টিংসের কাছে দহিঘাটে। আর ওখান থেকে আদিগঙ্গার ষাঁড়াষাঁড়ির বানকে আটকানো হবে। ফলে বানভাসী পরিস্থিতি তৈরি হবে না। এ সম্পর্কে মেয়র বলেন, "বছর দুই সময় লাগবে ৷ আর বানভাসি হতে হবে না ৷ আদিগঙ্গা বুকে লকগেট তৈরি হচ্ছে ৷ বান আসার আগেই লকগেট ফেলে দিলে বানের জল আর ঢুকবে না। দহিঘাটের কাছে এই লকগেট তৈরি হবে ৷"
ফি-বছর আদিগঙ্গার কোটালের জলে বাড়ি প্লাবিত হয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ি ৷ শুধু তাই নয়, কালীঘাট-সহ আদিগঙ্গার দু-পাশের একাধিক এলাকাও এই দুর্ভোগ থেকে মুক্তি পাবে ৷ তবে এর জন্য অপেক্ষা করতে হবে আরও 2 বছর ৷ তিনি বলেন, "এটা 60-70 দশকের সমস্যা ৷ তবে তা দ্রুত মিটে যাবে ৷" এদিন কাউন্সিলরদের আশ্বাস দেওয়ার সঙ্গেই তিনি খোঁচা দেন কেন্দ্রীয় সরকারকে। তিনি জানান, গঙ্গার পাড়ের দেখভাল করার দায় বন্দর কর্তৃপক্ষর ৷ কিন্তু তারা সেটা করে না ৷ তাই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে উদ্যোগ নিতে হচ্ছে ৷ আমরা সেই কাজ করব।
আদিগঙ্গা লাগোয়া এলাকাগুলোর এই সমস্যা কীভাবে মিটবে, সেই বিষয় বুধবার অধিবেশনে কাউন্সিলরদের বিস্তারিত জানান মেয়র। কাউন্সিলর রত্না সুর টালি নালার পলি তলার পরবর্তী সমস্যা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন ৷ সেই বিষয় অংশ নেন কালীঘাট চত্ত্বরে কাউন্সিলর প্রবীর মুখোপাধ্যায় ৷ তাঁরা বানের জলে এলাকা প্লাবিত হওয়া নিয়ে পদক্ষেপের দাবি করেন ৷
তবে রত্না সুর টালি নালা পলি তলার পরবর্তী যে সমস্যার কথা বলেন, তা হল আদিগঙ্গার ধারে বাসিন্দাদের অনেকের ঘর বা শৌচালয়ে ধস নেমেছে। রাস্তায় ফাটল দেখা যাচ্ছে ৷ সেগুলো এখনই ব্যবস্থা নিতে হবে ৷ এ প্রসঙ্গে মেয়র জানান, ওই জায়গা সেচ দফতরের ৷ লোকজন দখল করে আছে ৷ সেখান থেকে সরে গেলে তবেই কাজ করা যাবে ৷