কলকাতা, 17 অগস্ট: আরজি কর-কাণ্ডে অভিযুক্তদের কড়া শাস্তির দাবিতে সবর সকলেই ৷ তৃণমূলও সরব ৷ কিন্তু অন্যেরা যেভাবে আরজি করের কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে, তৃণমূলের নেতাদের মুখে অবশ্য সেকথা শোনা যাচ্ছে না ৷ এক্ষেত্রে একমাত্র ব্যতিক্রম প্রাক্তন সাংসদ শান্তনু সেন ৷ তিনি গত 9 অগস্টের পর থেকে বারবার এই নিয়ে সরব হয়েছেন ৷
তার মাশুলও সম্ভবত তিনি দিয়েছেন ৷ অনেকেই বলছেন যে এই কারণেই তৃণমূল কংগ্রেস মুখপাত্রের পদ থেকে সরিয়ে দিয়েছে শান্তনু সেনকে ৷ যদিও তার পরও সুর নরম করেননি কলকাতার এই প্রাক্তন কাউন্সিলর ৷ তাই কি আবার তাঁকে শাস্তি পেতে হল ?
এই প্রশ্নই উঠছে৷ কারণ, কলকাতা পুরনিগমের স্বাস্থ্য উপদেষ্টা পর থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে শান্তনু সেনকে । যদিও এই নিয়ে শান্তনু সেনের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি ৷ তবে কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘‘তিনি কলকাতা কর্পোরেশনের স্বাস্থ্য উপদেষ্টা কখনোই ছিলেন না ৷ আমাদের কলকাতা পুরনিগমের স্বাস্থ্য বিভাগের উপদেষ্টা একজন তিনি হলেন টিকে মুখোপাধ্যায় ছিলেন । এছাড়া আর কেউ নন ।’’
যদিও এতদিন শান্তনুর জন্য কলকাতা পৌরনিগমের কাউন্সিলর ক্লাবে একটি ঘর বরাদ্দ ছিল ৷ দেওয়ালে তার নাঁম লেখা নেমপ্লেটও ছিল ৷ সেই সমস্ত শনিবার সকালে সরিয়ে দেওয়া হয় ।
এদিকে শান্তনুর মতো সরব হয়েছিলেন তাঁর স্ত্রী কাকলি সেনও ৷ কাকলি কলকাতা পুরনিগমের দু’নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ৷ তিনি নিজের এলাকায় মহিলাদের রাত দখল কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছিলেন ৷ তার পরই কলকাতা পুরনিগমের তৃণমূল কাউন্সিলরদের গ্রুপ থেকে ড. কাকলি সেনকে রিমুভ করা হয়েছে ৷ সেকথা কাকলি নিজেই স্বীকার করেছেন ৷
এই নিয়ে তিনি বলেন, ‘‘আমাকে তৃণমূল কাউন্সিলরদের গ্রুপ থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে ৷ এটা সত্য ঘটনা ৷ বের করে দেওয়ার কারণ বলা হয়নি ৷ এখনও পর্যন্ত আমার সঙ্গে কেউ যোগাযোগ করেনি ৷’’