বোলপুর, 24 জুলাই: "কাজল শেখ জেলা পরিষদের সভাধিপতি, ওকে নিয়ে রাজনীতি হচ্ছে ৷" এমনটাই বললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যার পালটা কাজল শেখ বলেন, "অনুব্রত আমার গুরু, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সৈনিক। তিনি যা ভালো বুঝেছেন করেছেন।" অর্থাৎ, অনুব্রত-হীন বীরভূম জেলার নেতা-মন্ত্রীদের নিয়ে বৈঠক করে কাজল শেখকে কোর কমিটি থেকে সরিয়েছিলেন দলনেত্রী ৷ যা নিয়ে জেলায় দলের অন্দরে জল্পনা শুরু হয়ে গিয়েছিল, তাতেই কিছুটা প্রলেপ দিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো।
মঙ্গলবার বীরভূম জেলার নেতা-মন্ত্রীদের নিয়ে কালীঘাটে নিজের বাড়িতে বৈঠক করেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অনুব্রত মণ্ডল-হীন বীরভূমে নয় জনের কোর কমিটি সংগঠন পরিচালনা করছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। সেই কমিটি ছোট করে পাঁচজনের করা হয়। কোর কমিটি থেকে বাদ পড়েন বীরভূম জেলা পরিষদের সভাধিপতি কাজল শেখ। যা নিয়ে রীতিমতো জল্পনা শুরু হয়ে যায় এই জেলায় দলের অন্দরে। এদিন, বর্ধমানে প্রশাসনিক বৈঠকে যোগ দিতে যাওয়ার আগে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "কাজল জেলা পরিষদের সভাধিপতি। ওকে নিয়ে পলিটিক্স হচ্ছে । ওকে তো নানুর, কেতুগ্রাম দু'টো দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এত কেন লিখবেন ওকে নিয়ে ।" অর্থাৎ, কাজল শেখকে ধমকে কিছুটা প্রলেপ দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ।
যদিও, কোর কমিটি থেকে বাদ পড়া প্রসঙ্গে কাজল শেখ বলেন, "কোর কমিটি ছোট করা হয়েছে । আমি জেলা পরিষদ নিয়ে ব্যস্ত থাকি ৷ সময় বেশি দিতে পারছিলাম না। তাই দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যা ভালো বুঝেছেন করেছেন ৷ অনুব্রত মণ্ডল আমার রাজনৈতিক গুরু। ওনার হাত ধরেই আমার রাজনীতিতে আসা ৷" এদিন কাজল শেখ আরও বলেন, "আমাকে দু'টো বিধানসভার দায়িত্ব দিয়েছেন নেত্রী ৷ লোকসভা নির্বাচনে সেই দু'টো বিধানসভায় সবচেয়ে বেশি লিড দিয়ে দেখিয়ে দেব আমি ৷ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের যোগ্য সৈনিক আমি।"
আরও পড়ুন: