কলকাতা, 4 অক্টোবর: কর্মবিরতি প্রত্যাহার করলেও আন্দোলন থেকে সরে আসছেন না জুনিয়র চিকিৎসকরা। শুক্রবার সন্ধ্যায় তাঁরা রাজ্য সরকারকে 24 ঘণ্টা সময় দিলেন।
স্পষ্ট ঘোষণা করে দিলেন, নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা থেকে শুরু করে স্বাস্থ্য সচিব নারায়নস্বরূপ নিগমকে অপসারণের মতো যে দশটি দাাবিকে সামনে রেখে তাঁদের আন্দোলন শুরু হয়েছিল তা আগামী 24 ঘণ্টার মধ্যে পূরণ না হলে আমরণ অনশন করবেন। তবে কর্মবিরতি তুলে নিয়ে কাজে যোগ দিচ্ছেন বলেও তাঁরা জানালেন।
দশ দফা দাবি সামনে রেখে আন্দোলন শুরু করেছিলেন জুনিয়র চিকিৎসকরা । রোগীর স্বার্থে কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে নিলেন তাঁরা । আন্দোলনের অন্যতম মুখ দেবাশিস হালদার বলেন, "আমাদের এই অবস্থান মঞ্চে একটি ঘড়ি থাকবে । প্রতিটি সেকেন্ড মিনিটের হিসেব হবে । 24 ঘণ্টার মধ্যে দাবি মানা না হলে অনশন শুরু করব । নিজেদের জীবন বাজি রাখব ।"
অন্যদিকে জুনিয়র চিকিৎসক রুমেলিকা কুমার বলেন, "আমরা কর্ম বিরতির পক্ষে নই । আমরা পরিষেবা দিতে চাই । কিন্তু জুনিয়র চিকিৎসকদের সঙ্গে রোগীর মধ্যে একটা বিরোধ তৈরি করার চেষ্টা চলছে রাজ্য সরকারের তরফে । আমাদেরকে গণশত্রু বানিয়ে দেওয়া হচ্ছে । তার প্রতিবাদ আমরা করছি । সেই কারণেই আমরা কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে নিচ্ছি । তবে দাবি মানা না হলে আমরণ অনশনে যাব । বারবার বেশকিছু মুখ এসে বলছে আমরা ছুটি কাটানোর জন্য কর্মবিরতি করছি। কিন্তু আমরা দেখিয়ে দিচ্ছি কাজ আমরা করব তার পাশাপাশি অভয়ার ন্যায় বিচারের জন্য রাস্তায় থাকবো।"
দেবাশিসের কথায় উঠে আসে সাগর দত্ত হাসপাতালে রোগী মৃত্যুর প্রসঙ্গ। তিনি জানান আইসিইউতে বেড ছিল না বলে ওই রোগীর প্রাণ যায়। তাও তাঁরা চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টে রাজ্য বলেছিল চিকিৎসকরা হাসপাতালে বেড দেয়নি। হাসপাতালে বেড দেওয়ার দায়িত্ব জুনিয়র চিকিৎসকদের নয় । দেবাশিসের অভিযোগ এভাবেই তাঁদের গণশত্রু বানানোর চেষ্টা হচ্ছে। কিন্তু যাঁরাই তিলোত্তমার বিচার চান তাঁরা সবাই এক পক্ষ- অভয়া পক্ষ ।
পাশাপাশি আসে সুপ্রিম কোর্টের প্রসঙ্গও । সর্বোচ্চ আদালতের শুনানিতে রাজ্য সরকার জানিয়েছিল বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে 26 শতাংশ জায়গায় সিসিটিভি বসেছে। কিন্ত দেবাশিসের দাবি 6 শতাংশ জায়গাতেও সেই কাজ হয়নি । তাঁর কটাক্ষ, "আমাদের অবস্থান মঞ্চে 9 দিনের মধ্যে 30টি সিসিটিভি বসানো হয়েছিল । কিন্তু হাসপাতালে এতদিনেও সিসিটিভি বসাতে পারল না সরকার!"