কলকাতা, 21 সেপ্টেম্বর: রাজ্য সরকারের সঙ্গে বৈঠকের পর শনিবার থেকে আংশিকভাবে কাজে ফিরছেন আন্দোলনরত জুনিয়র চিকিৎসকরা ৷ সাধারণ মানুষের কথা ভেবে জরুরি পরিষেবায় ফিরছেন তাঁরা ৷ তবে তাঁদের সমস্ত দাবি পূরণ না-হলে ফের কর্মবিরতি শুরু করবেন বলে শুক্রবার সাফ জানিয়ে দেন জুনিয়র চিকিৎসকরা ৷
আরজি কর-কাণ্ডে সুপ্রিম কোর্টে পরবর্তী শুনানি 27 সেপ্টেম্বর । সেই দিন পর্যন্তই রাজ্য সরকারকে সময় দিচ্ছেন তাঁরা । আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসক পড়ুয়াকে ধর্ষণ ও খুনের প্রতিবাদে গত 41 দিন ধরে আন্দোলন চলছিল ৷ রাজ্যের প্রতিটি হাসপাতালেই প্রায় কর্মবিরতি শুরু করেন জুনিয়র চিকিৎসকরা ৷
রাজ্য সরকারের কাছে তাঁদের দাবি তুলে ধরতে স্বাস্থ্য ভবনের সামনে শুরু হয় তাঁদের অবস্থান বিক্ষোভ ৷ তবে বৈঠকের পর জুনিয়র চিকিৎসকদের অধিকাংশ দাবি মেনে নেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় ৷ আর তাতে আংশিক জয় পান আন্দোলনরত জুনিয়র চিকিৎসকরা ৷ এরপরই আংশিকভাবে কাজে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তাঁরা ৷
সাধারণ মানুষের স্বার্থে জরুরি পরিষেবা চালু করছেন তাঁরা । তবে তাতেও রয়েছে শর্ত । জুনিয়র চিকিৎসক লহরী সরকার বলেন, "আমরা বেশ কিছু দাবি নিয়ে আন্দোলনে নেমেছিলাম ৷ স্বাস্থ্য ভবন সাফাই অভিযানের ডাক দিয়েছিলাম । রাজ্য সরকারের তরফে আমাদের বেশ কিছু দাবি মেনে নেওয়া হয়েছে । তবে এখনও কিছু দাবি রয়েছে । সুপ্রিম কোর্টের পরবর্তী শুনানির আগে সেই দাবিগুলি পূরণ করতে হবে রাজ্য সরকারকে । আর তা না-হলে ফের কর্মবিরতি চালু হবে ।"
শনিবার থেকে রাজ্যের হাসপাতালগুলিতে জরুরি পরিষেবা চালু হচ্ছে ৷ এ প্রসঙ্গে চিকিৎসক লহরী বলেন, "আমরা জরুরি পরিষেবা চালু করছি । ভয় না-পেয়ে আপনারা আসুন । আমরা পরিষেবা দেব ৷ তবে বহির্বিভাগের ক্ষেত্রে আমাদের সিনিয়র চিকিৎসকেরা রয়েছেন ।" উল্লেখ্য, আরজি কর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে গত 14 অগস্ট রাতে হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা ৷ ফলে হাসপাতালের জুনিয়র চিকিৎসকদের 'ট্রমা কেয়ার' বিভাগে কাজ করতে হবে ৷ এই প্রসঙ্গে জুনিয়র চিকিৎসক লহরী বলেন, "সমস্যা অবশ্যই হবে ৷ সেই কারণে রাজ্য সরকারের কাছে পরিকাঠামোগত পরিবর্তনের দাবি জানানো হয়েছে ৷"