ETV Bharat / state

রোগীদের স্বার্থে আদৌ কোনও দাবি রয়েছে ? কী বলছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা ? - Kolkata Rape and Murder Case

author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : 2 hours ago

Junior Doctors Write to Chief Secretary: আরজি করের ঘটনায় নির্যাতিতার সুবিচার ও নিরাপত্তার দাবিতে আন্দোলন করছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা ৷ কিন্তু তাঁদের এই দাবিপত্রে রোগীদের কল্যাণের জন্য আদৌ কী কোনও শর্ত রয়েছে !

Junior Doctors Write to Chief Secretary
রোগী স্বার্থে দাবি জুনিয়র চিকিৎসকদের (নিজস্ব চিত্র)

কলকাতা, 20 সেপ্টেম্বর: ন্যায়বিচারের দাবিতে আন্দোলন করছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা । তাঁদের এই আন্দোলনে সবথেকে বেশি শক্তি দিয়েছেন সাধারণ মানুষ । তবে শুধু সুবিচার পাওয়া নয়, তাঁদের এই আন্দোলনের অন্যতম দাবি নিরাপত্তা ৷ কিন্তু, কীসের নিরাপত্তা চাইছেন তাঁরা ? এর সঙ্গে রোগীদের কী সম্পর্ক ? বাংলার যে মানুষগুলি দীর্ঘ এই আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়েছেন, তাঁদের জন্য কী প্রশাসনের কাছে আদৌ মুখ খুলেছেন জুনিয়র চিকিরসকরা ?

রোগীদের কল্যাণে কী দাবি জানিয়েছেন চিকিৎসকরা ! (ইটিভি ভারত)

আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তারদের কথায় তাঁদের প্রত্যেকটা দাবি সাধারণ মানুষের স্বার্থে । মানুষের কথা চিন্তা করেই তাঁরা 4 ও 5 নম্বর দাবির কথা উল্লেখ করেছেন । কারণ রোগীকে পরিষেবা দেওয়ার জন্য শুধুমাত্র চিকিৎসকরাই গুরুত্বপুর্ন নন ৷ জুনিয়র চিকিৎসক আস্ফাকুল্লা নাইয়া বলেন, "বিভিন্ন জেলায় খোলা হয়েছে সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল । কিন্তু সেখানে যথাযথ পরিকাঠামো নেই । ফলে রোগীদের রেফার করা কলকাতার সরকারি হাসপাতালে । যদি জেলার হাসপাতালগুলিতে সু-ব্যবস্থা থাকে, তাহলে বহু মানুষের সুবিধা হবে । টাকা বরাদ্দ করা হয় । কিন্তু তারপর কোথায় যায় সেই টাকা !"

শুধু সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে পর্যাপ্ত ব্যবস্থার অভাব নয় ৷ আরও এক সমস্যার কথা তুলে ধরেন ডাক্তার নাইয়া ৷ আরজি কর হাসপাতালের ঘটনার পর 'থ্রেট কালচার' শব্দটা বারবার শোনা গিয়েছে জুনিয়র চিকিৎসকদের গলায় ৷ কিন্তু এর ফলে সাধারণ মানুষ কীভাবে সমস্যায় পড়ছেন ? চিকিৎসক বলেন, "আমরা দেখতে গেলে চিকিৎসক হয়ে চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে আন্দোলন করছি । এর কারণ সাধারণ মানুষ । যোগ্যতা না-থাকা সত্ত্বেও এই থ্রেট কালচারের জন্যই বেশি নম্বর, ডিগ্রি অর্জন করে অনেকে চিকিৎসক হচ্ছেন ৷ সাধারণ মানুষ তাঁদের থেকে পরিষেবা পাবেন ?"

উল্লেখ্য, সরকারি হাসপাতালে অন্যতম চেনা শব্দ হল 'রেফার' । এই 'রেফার'-এর জেরে বহু রোগী মারা যান হাসপাতাল পৌঁছনোর আগেই । এমনকী, পর্যাপ্ত বেড না-থাকায় হাসপাতালে পৌঁছনোর পরও বহু রোগীর মৃত্যু হয় ৷ অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, চিকিৎসকদের উপর চড়াও হন রোগীর পরিবার । এই বিষয়টি নিয়েও মুখ্যসচিবের সঙ্গে কথা বলেছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা ।

তাঁদের দাবিপত্রে নিরাপত্তার পাশাপাশি পরিকাঠামোর উন্নতির কথা বলা হয়েছে ৷ হাসপাতালের দেওয়ালগুলিতে একটি বোর্ডের দাবিও জানিয়েছেন তাঁরা । এই বোর্ডের লেখা থেকে কোনও রোগী হাসপাতালে আসলেই দেখতে পাবেন সমস্ত তথ্য । হাসপাতালে মোট কতগুলি বেড রয়েছে ? তার মধ্যে ফাঁকা রয়েছে কতগুলি বেড ? সেই সব তথ্য জানা যাবে এই বোর্ড থেকে । এছাড়াও আরও অনের দাবি রয়েছে জুনিয়র চিকিৎসকদের ৷ ইতিমধ্যে, স্বাস্থ্যসচিবকে এই বিষয়ে নির্দেশও দেওয়া হয়েছে ।

কলকাতা, 20 সেপ্টেম্বর: ন্যায়বিচারের দাবিতে আন্দোলন করছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা । তাঁদের এই আন্দোলনে সবথেকে বেশি শক্তি দিয়েছেন সাধারণ মানুষ । তবে শুধু সুবিচার পাওয়া নয়, তাঁদের এই আন্দোলনের অন্যতম দাবি নিরাপত্তা ৷ কিন্তু, কীসের নিরাপত্তা চাইছেন তাঁরা ? এর সঙ্গে রোগীদের কী সম্পর্ক ? বাংলার যে মানুষগুলি দীর্ঘ এই আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়েছেন, তাঁদের জন্য কী প্রশাসনের কাছে আদৌ মুখ খুলেছেন জুনিয়র চিকিরসকরা ?

রোগীদের কল্যাণে কী দাবি জানিয়েছেন চিকিৎসকরা ! (ইটিভি ভারত)

আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তারদের কথায় তাঁদের প্রত্যেকটা দাবি সাধারণ মানুষের স্বার্থে । মানুষের কথা চিন্তা করেই তাঁরা 4 ও 5 নম্বর দাবির কথা উল্লেখ করেছেন । কারণ রোগীকে পরিষেবা দেওয়ার জন্য শুধুমাত্র চিকিৎসকরাই গুরুত্বপুর্ন নন ৷ জুনিয়র চিকিৎসক আস্ফাকুল্লা নাইয়া বলেন, "বিভিন্ন জেলায় খোলা হয়েছে সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল । কিন্তু সেখানে যথাযথ পরিকাঠামো নেই । ফলে রোগীদের রেফার করা কলকাতার সরকারি হাসপাতালে । যদি জেলার হাসপাতালগুলিতে সু-ব্যবস্থা থাকে, তাহলে বহু মানুষের সুবিধা হবে । টাকা বরাদ্দ করা হয় । কিন্তু তারপর কোথায় যায় সেই টাকা !"

শুধু সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে পর্যাপ্ত ব্যবস্থার অভাব নয় ৷ আরও এক সমস্যার কথা তুলে ধরেন ডাক্তার নাইয়া ৷ আরজি কর হাসপাতালের ঘটনার পর 'থ্রেট কালচার' শব্দটা বারবার শোনা গিয়েছে জুনিয়র চিকিৎসকদের গলায় ৷ কিন্তু এর ফলে সাধারণ মানুষ কীভাবে সমস্যায় পড়ছেন ? চিকিৎসক বলেন, "আমরা দেখতে গেলে চিকিৎসক হয়ে চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে আন্দোলন করছি । এর কারণ সাধারণ মানুষ । যোগ্যতা না-থাকা সত্ত্বেও এই থ্রেট কালচারের জন্যই বেশি নম্বর, ডিগ্রি অর্জন করে অনেকে চিকিৎসক হচ্ছেন ৷ সাধারণ মানুষ তাঁদের থেকে পরিষেবা পাবেন ?"

উল্লেখ্য, সরকারি হাসপাতালে অন্যতম চেনা শব্দ হল 'রেফার' । এই 'রেফার'-এর জেরে বহু রোগী মারা যান হাসপাতাল পৌঁছনোর আগেই । এমনকী, পর্যাপ্ত বেড না-থাকায় হাসপাতালে পৌঁছনোর পরও বহু রোগীর মৃত্যু হয় ৷ অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, চিকিৎসকদের উপর চড়াও হন রোগীর পরিবার । এই বিষয়টি নিয়েও মুখ্যসচিবের সঙ্গে কথা বলেছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা ।

তাঁদের দাবিপত্রে নিরাপত্তার পাশাপাশি পরিকাঠামোর উন্নতির কথা বলা হয়েছে ৷ হাসপাতালের দেওয়ালগুলিতে একটি বোর্ডের দাবিও জানিয়েছেন তাঁরা । এই বোর্ডের লেখা থেকে কোনও রোগী হাসপাতালে আসলেই দেখতে পাবেন সমস্ত তথ্য । হাসপাতালে মোট কতগুলি বেড রয়েছে ? তার মধ্যে ফাঁকা রয়েছে কতগুলি বেড ? সেই সব তথ্য জানা যাবে এই বোর্ড থেকে । এছাড়াও আরও অনের দাবি রয়েছে জুনিয়র চিকিৎসকদের ৷ ইতিমধ্যে, স্বাস্থ্যসচিবকে এই বিষয়ে নির্দেশও দেওয়া হয়েছে ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.