মালদা, 11 অগস্ট: মালদা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসকদের নিরাপত্তা বাড়াতে হবে ৷ এই দাবিতে কর্মবিরতিতে গেলেন জুনিয়র ডাক্তাররা ৷ যার জেরে হাসপাতালের জরুরি বিভাগ ও প্রসূতি বিভাগে চিকিৎসা পরিষেবায় প্রভাব পড়ল ৷ গত শুক্রবার কলকাতার আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসক পড়ুয়াকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ ওঠে ৷ পাশাপাশি মালদা বুলবুলচণ্ডী গ্রামীণ হাসপাতালে চিকিৎসককে মারধরের অভিযোগও প্রকাশ্যে আসে ৷ তারপরেই নিরাপত্তার দাবিতে কর্মবিরতিতে গেলেন জুনিয়র ডাক্তাররা ৷
এদিন মালদা মেডিক্যাল কলেজের ভাইস প্রিন্সিপাল ও মেডিক্যাল সুপার প্রসেনজিৎ বর জানিয়েছেন, জুনিয়র ডাক্তারদের এই কর্মবিরতির প্রভাব খানিকটা হলেও জরুরি বিভাগ ও প্রসূতি বিভাগে পড়েছে ৷ তিনি জানিয়েছেন, তাঁদের সঙ্গে আলোচনা করে দ্রুত পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা চলছে ৷ উল্লেখ্য, হবিবপুরের বুলবুলচণ্ডী গ্রামীণ হাসপাতালে চিকিৎসককে মারধরের অভিযোগ ওঠে বিডিও-র বিরুদ্ধে ৷ আর তার পরপরই আরজি করের ঘটনা জানা যায় ৷ দু’য়ের জেরে নিরাপত্তার অভাব রয়েছে দাবি করে রবিবার সকাল থেকে কর্মবিরতিতে গিয়েছেন পড়ুয়ারা ৷
পড়ুয়াদের তরফে জানান হয়েছে, মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ তাঁদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত না করা পর্যন্ত কর্মবিরতি চলবে ৷ প্রকৃতি মান্না নামে এক পড়ুয়া জানান, "রাজ্যের রাজধানীতে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ডাক্তারি পড়ুয়াকে ধর্ষণ করে খুন করা হচ্ছে ৷ মালদার হবিবপুরে বুলবুলচন্ডী গ্রামীণ হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসককে বিডিও মারধর করছেন ৷ রাজ্যে চিকিৎসকদের নিরাপত্তা কোথায় ? আমরা নিরাপত্তার দাবিতে কর্মবিরতিতে নেমেছি ৷ যতক্ষণ না পর্যন্ত আমরা নিজেদের সুরক্ষিত বোধ করছি না, ততক্ষণ আমরা ডিউটিতে যোগদান করছি না ৷"
মনীষা দাস নামে আরেক পড়ুয়ার দাবি, "রাতে অন কলে পরিষেবা দিতে আমাদের ছুটে আসতে হয় ৷ এই পরিবেশে আমরা একা আসতে পারি না ৷ সেক্ষেত্রে আমাদের সহপাঠীদের সাহায্য নিতে হয় ৷ নিজেদের নিরাপত্তার জন্য আমরা পুরুষ ও মহিলা নিরাপত্তারক্ষীর দাবি করছি ৷ কারণ, পুরুষ নিরাপত্তারক্ষীর কাছেও আমাদের সমস্যায় পড়তে হতে পারে ৷ তাই আমরা নিরাপত্তার দাবিতে কর্মবিরতি পালন করছি ৷ নিজেদের সুরক্ষিত বোধ না করা পর্যন্ত, আমাদের এই কর্মসূচি চলবে ৷"
মালদা মেডিক্যাল কলেজের ভাইস প্রিন্সিপাল ও মেডিক্যাল সুপার প্রসেনজিৎ বর জানান, "আমাদের ডাক্তারি পড়ুয়ারা জরুরি বিভাগের সামনে জমায়েত করে কর্মবিরতি করছেন ৷ তাতে পরিষেবায় কিছু প্রভাব পড়েছে ৷ আমরা তাঁদের সঙ্গে আলোচনা করে বিষয়টি মিটিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছি ৷ সিনিয়র ডাক্তার, হাউস স্টাফ দিয়ে আমরা পরিষেবা স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করছি ৷ গতকাল মেডিক্যাল কলেজের নিরাপত্তা নিয়ে আমাদের বৈঠক হয়েছে ৷ ক্যাম্পাসের সমস্ত সিসিটিভি ক্যামেরা কাজ করছে কিনা, সেগুলিও আমরা খতিয়ে দেখছি ৷ প্রয়োজনে আরও সিসি ক্যামেরা বাড়ানোর চিন্তাভাবনা করা হবে ৷"