কলকাতা, 8 অক্টোবর: মহাপঞ্চমীতে তিনদিনে পড়ল জুনিয়র চিকিৎসকদের অনশন কর্মসূচি ৷ এর পাশাপাশি এবার রিলে অনশন চালু হল রাজ্যের সরকারি হাসপাতালগুলিতে ৷ মহাপঞ্চমী থেকেই রিলে অনশন চালু করলেন জুনিয়র চিকিৎসকরা ৷ মঙ্গলবার আরজি কর হাসপাতালের 6 জন চিকিৎসক পড়ুয়া অনশনে যোগ দেন ৷ তাঁদের সঙ্গে যোগ দেন আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের সার্ভিস ডাক্তার তাপস প্রামাণিক ৷
সকাল ন'টা থেকে রাত ন'টা পর্যন্ত তাঁদের অনশন চলবে ৷ অনশন প্রসঙ্গে তাপস প্রামাণিক বলেন, "বর্তমানে সবাই রোগী পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত ৷ তবে আমাদের আন্দোলন চালিয়ে নিয়ে যেতে হবে ৷ সেই কারণে আমাদের যাঁর যেদিন ছুটি থাকবে, সেদিন আমরা এসে এই অনশনে যোগ দেব ৷"
আরজি করের চিকিৎসক-পড়ুয়া ধর্ষণের পর খুনের ঘটনায় বিচারের দাবিকে সামনে রেখে মোট 10 দফা দাবি পূরণে অনশন আন্দোলন চালু করেছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা ৷ ধর্মতলার তাঁদের ধর্না মঞ্চে তিনদিন ধরে অনশন আন্দোলন করছেন তাঁরা ৷ সেই জুনিয়র চিকিৎসকদের তরফে মহাপঞ্চমীর দিন সব মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালগুলিতে অনশনের ডাক দেওয়া হয়েছে ৷
সেইমতো আরজিকর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে প্রথম দিন অনশনে বসেছেন সাত জন ৷
1. ডাঃ নীলাকাশ মণ্ডল (তৃতীয় বর্ষ পিজিটির ছাত্র, ফার্মাকোলজি)
2. ডাঃ তাপস প্রামাণিক (সার্ভিস ডক্টর)
3. পারমিতা ঠান্ডের (তৃতীয় বর্ষ, পিজিটি সার্জারি)
4. প্রবুদ্ধ দত্ত (প্রথম বর্ষ পিজিটি সার্জারি)
5. শুভদীপ বিশ্বাস (প্রথম বর্ষ পিজিটি, কমিউনিটি মেডিসিন)
6. তুহি হাজরা (এমবিবিএস, শেষ বছর)
7. অনুপম রায় (এমবিবিএস, শেষ বছর)
সার্ভিস ডাক্তার তাপস প্রামাণিক বলেন, "বারবার আমাদের সিবিআইকে প্রশ্ন করতে বলা হচ্ছে ৷ কিন্তু কেন সিবিআই ? রাজ্য সরকারের হাতেও অনেকগুলি বিষয়ে রয়েছে ৷ জরুরি বিভাগে হামলা চালানোর পর বর্তমানে আমরা কাজ করছি ট্রমা কেয়ারে ৷ সেখানে বাথরুম মাত্র একটি ৷ এছাড়া নিরাপত্তার প্রশ্নগুলি থেকে গিয়েছে ৷ স্বাস্থ্য সচিবের অপসারণ বাকি আছে ৷ ওয়েস্ট বেঙ্গল মেডিক্যাল কাউন্সিল এবং ওয়েস্ট বেঙ্গল হেলথ ইউনিভার্সিটিতে যে দুর্নীতি রয়েছে, তা নির্মূল করতে হবে ৷"