কলকাতা, 16 সেপ্টেম্বর: রাত বাড়ছে। তবে সাধারণ মানুষের আগ্রহতে এটুকুও খামতি নেই। সাড়ে ছ'টার আগেই জুনিয়ার ডাক্তারদের প্রতিনিধি দল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে পৌঁছেছিল। তারপর ঘড়ির কাঁটায় ইতিমধ্যেই সাড়ে তিন ঘণ্টা পার হয়ে গিয়েছে। সকলে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন কী হয়েছে আজকের এই বৈঠকে তা জানতে। সূত্রের খবর, পড়ুয়ারা পূর্ব নির্ধারিত পাঁচটি দাবি তুলে ধরেছেন । পাশাপাশি রাজ্য প্রশাসনের তরফেও তাঁদের কাজে যোগ দিতে বলা হয়।
জুনিয়র ডাক্তাররা সোমবার সন্ধ্যায় যে 5 দফা দাবিকে সামনে রেখে আজ আলোচনায় বসেছেন তা কতদূর পূরণ হল? তা সকলেই জানতে চান? এরইমধ্যে ঘড়ির কাঁটায় নটা দশ কালীঘাটে মেনরোডের থাকা জুনিয়র ডাক্তারদের বাসটি মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনের সামনে নিয়ে যায় প্রশাসন। এখানেই সন্ধ্যায় তাঁদের নামানো হয়েছিল । বাস নিয়ে যাওয়ায় অনেকেই মনে করছেন যে কোনও মুহূর্তে বৈঠক শেষ হবে । তলে তারপরও কেটে যায় বেশ কিছুটা সময়।
এদিকে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির সামনের রাস্তায় বারবার শোনা যাচ্ছে 'উই ওয়ান্ট জাস্টিস'। 'উই ডিমান্ড জাস্টিস'। 'তোমার আমার একটাই স্বর জাস্টিস ফর আরজি কর'। কেউ এই ভরা রাস্তায় দাঁড়িয়ে কেঁদেছেন নির্যাতিতার জন্য। কেউ তুলেছেন স্লোগান। আর সাধারণ মানুষরা টিভির সামনে অথবা সংবাদের অপেক্ষায় রয়েছেন ৷
উল্লেখ্য, এনিয়ে তৃতীয়বার প্রশাসন এবং জুনিয়র ডাক্তাররা আলোচনায় মুখোমুখি হয়েছিল। তবে তার মধ্যে গত দু'বার খুব কাছাকাছি এসেও শেষ পর্যন্ত আলোচনা হয়নি। কিন্তু এদিন প্রায় দু'ঘণ্টা প্রশাসন এবং জুনিয়ার ডাক্তারদের মধ্যে বৈঠক হয়েছে। যেহেতু দুই পক্ষের মধ্যে কার্য বিবরণীতে সাক্ষর চলছে বলে খবর এসেছে তাহলে মনে করা হচ্ছে হয়তো একটা ঐক্যমত্যের রাস্তা পাওয়া গিয়েছে।
যদিও এই বৈঠকে আসার আগেই জুনিয়র ডাক্তারদের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল কলীঘাটে তাঁরা সাংবাদিক সম্মেলন করবেন না। বরং তাঁরা সাংবাদিক সম্মেলন করবেন স্বাস্থ্য ভবনের সামনে মূল ধরনা মঞ্চের কাছে গিয়েই। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ইতিমধ্যেই বৈঠক শেষ হয়ে গিয়েছে। জুনিয়র ডাক্তাররা আদৌ কাজে ফিরছেন কি না! তা জানা যাবে আজই ৷