কলকাতা, 7 মে: পরবর্তী শুনানি হবে 16 জুলাই। ততদিন পর্যন্ত হাইকোর্টের 2016 এসএসসি প্যানেল বাতিলের নির্দেশ নাকচ করে 25,573 জন শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মীর চাকরি বহাল রাখল সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালতের এই নির্দেশের পরেই সাময়িক স্বস্তি চাকরিহারা শিক্ষকদের। শীর্ষ আদালতের অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশের পর 6 দিনের অনশন ভাঙলেন তাঁরা। তবে অনশন ভাঙলেও তাঁদের স্পষ্ট দাবি, টাকা দিয়ে যারা চাকরির ব্যবস্থা করেছিল, তাদের শাস্তি দিতে হবে।
হাইকোর্ট 2016 এসএসসি'র পুরো প্যানেল বাতিলের নির্দেশের পর গত ছ'দিন ধরে শহীদ মিনারের পাদদেশে অনশন করছিলেন চাকরি বাতিল হওয়া শিক্ষকেরা। ফলের রস খেয়ে অনশন ভঙ্গের পর চাকরিহারা শিক্ষক দেবাশিস মণ্ডল বলেন, "আমরা একটা সাময়িক স্বস্তি পেয়েছি। কিন্তু আমরা সাময়িক স্বস্তি চাই না, আমরা চাই সারা জীবনের স্বস্তি।" অর্থাৎ তাঁর কথায়, যাঁদের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ নেই, কোন বিতর্ক নেই, তাঁরা যেন ঠিকভাবে সসম্মানে চাকরি করতে পারে ৷
একইসঙ্গে আরেক চাকরিহারা সায়নী রায় প্রশ্ন তুলে বলেন, "যাঁরা এই ব্যবস্থা করে দিয়েছিল তাদের কী হবে। যাঁরা টাকা দিয়ে চাকরি পেয়েছে তাঁরাও কিন্তু খুব বড় পরিবারের লোক তা নয়। হয়তো ধার করেই তাঁরা একটা সরকারি চাকরি পেয়েছে। আমার প্রশ্ন হল, তাঁদেরকে এই সুযোগটা কে দিল? কাদের ইশারায় চাকরি এদিক থেকে ওদিক হচ্ছে তাদের খুঁজে বার করা হোক।"
মঙ্গলবার শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলাকে 'পরিকল্পিত জালিয়াতি' আখ্যা দিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের রায়ে স্থগিতাদেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট ৷ তার আগে সুপ্রিম কোর্টে কমিশনের তরফে জানানো হয়, তালিকায় যোগ্য প্রার্থী রয়েছে প্রায় 19 হাজার এবং অযোগ্য প্রার্থী রয়েছে প্রায় 8324 জন ৷ এরপর শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণ, যোগ্য-অযোগ্য বিভাজন করতে পারলে পুরো প্যানেল বাতিল করার সিদ্ধান্ত ন্যায্য নয় ৷ সে ক্ষেত্রে আপাতত 25,573 জন চাকরিতে বহাল থাকছে বলে জানিয়ে দেন প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় ৷ আগামী 16 জুলাই মামলায় চূড়ান্ত নির্দেশ দেবে শীর্ষ আদালত ৷
আরও পড়ুন: