চন্দননগর,11 নভেম্বর: চন্দননগরের সুভাষপল্লি উত্তরপাড়ার জগদ্ধাত্রী পুজো ৷ এই একটি পুজোর প্রতিমা নিরঞ্জনের সময় সাময়িকভাবে বন্ধ হয়ে যায় হাওড়া-বর্ধমান মেইনলাইনের ট্রেন চলাচল ৷ কারণ, গত 44 বছর ধরে রেললাইন পার করে ভাসান ঘাটে যায় জগদ্ধাত্রী প্রতিমা ৷ আর এই দৃশ্য দেখার জন্য ভিড় করেন অসংখ্য মানুষ ৷
চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী পুজোর কেন্দ্রীয় কমিটির অন্তর্গত মোট 177টি পুজো হয় ৷ যার মধ্যে 69টি পুজো রাতের শোভাযাত্রায় অংশ নেবে ৷ বাকি পুজোগুলি আজ সকাল থেকে একে একে বিসর্জন হয় ৷ সেই পুজোর তালিকায় রয়েছে চন্দননগরের সুভাষপল্লি উত্তরপাড়ার জগদ্ধাত্রী পুজো ৷ তবে, এই একটি পুজোই চন্দননগর স্টেশনের পশ্চিম দিকে ৷ আর স্টেশনের পূর্বদিকে হুগলি নদী ৷ ফলে সুভাষপল্লি উত্তরপাড়ার জগদ্ধাত্রী প্রতিমা বিসর্জনের জন্য রেললাইন পার করাতে হয় ৷
গত 44 বছর ধরে এভাবেই বিসর্জন হয়ে আসছে এই জগদ্ধাত্রী প্রতিমার ৷ যদিও, একটি সাবওয়ে রয়েছে ৷ কিন্তু, সেখান দিয়ে প্রতিমা নিয়ে গেলে তা ভেঙে যেতে পারে ৷ সেই কারণে, বাঁশের খাঁচায় প্রতিমা বেঁধে, তা কাঁধে করে রেললাইন ধরে নিয়ে যাওয়া হয় ৷ কিছুটা গিয়ে রেললাইন পেরিয়ে লরিতে তোলা হয় জগদ্ধাত্রী প্রতিমা ৷ এই সময়ে হাওড়া-বর্ধমান মেইনলাইনে ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকে ৷
এ বছরেও বেলা 11টা 40 মিনিটে এই বারোয়ারি জগদ্ধাত্রী পুজোর প্রতিমা কাঁধে করে রেললাইন পার করানো হয় ৷ আজ শেওড়াফুলি জিআরপি থানার ওসি-কে দেখা যায় মাইক হাতে পুরো প্রক্রিয়াটিকে নিয়ন্ত্রণ করতে ৷ এই সময় চন্দননগরে স্টেশনের তিননম্বর প্ল্যাটফর্মের আপ লাইনে একটি ট্রেন চলে আসে ৷ তবে, প্রতিমা যতক্ষণ না লাইন পেরিয়ে লরিতে তোলা হয়, ততক্ষণ ট্রেনটিকে দাঁড় করিয়ে রাখে রেল কর্তৃপক্ষ ৷
এই পুজো কমিটির সদস্য আদিত্য সেনানায়েক বলেন, "একমাত্র আমাদের এই পুজোতেই ট্রেন থামিয়ে জগদ্ধাত্রী ঠাকুর রেললাইন পার করানো হয় ৷ এর জন্য আমরা রেলের কাছ থেকে বিশেষ অনুমতি নিই ৷ রেল পুলিশের সহযোগিতায় আমাদের সদস্যরা অত্যন্ত ঝুঁকি নিয়ে ঠাকুর রেললাইন পার করায় ৷ এই সময় লোকাল ও এক্সপ্রেস ট্রেন দাঁড়িয়ে যায় ৷"