শিলিগুড়ি, 19 নভেম্বর: উত্তরবঙ্গে সাতটি নতুন দমকল কেন্দ্র তৈরি করার উদ্যোগ নিল রাজ্য সরকার ৷ কেন্দ্রের পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের বরাদ্দ 376 কোটি টাকায় এই দমকল কেন্দ্রগুলি তৈরি হবে ৷ সেই সঙ্গে পরিকাঠামো উন্নয়নে ছোট-বড় মিলিয়ে 75টি অত্যাধুনিক অগ্নিনির্বাপন গাড়ি একমাসের মধ্যে রাজ্যের বিভিন্ন দমকল কেন্দ্রগুলিতে সামিল করানো হবে ৷
উত্তরবঙ্গে শাখা সচিবালয় উত্তরকন্যায় দমকল বিভাগের আধিকারিকদের সঙ্গে উচ্চপর্যায়ের বৈঠকের পর এ কথা জানান দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু ৷ উত্তরবঙ্গের সাতটি অঞ্চলের পাশাপাশি মুর্শিদাবাদেও একটি দমকল কেন্দ্র তৈরি হচ্ছে ৷ যা একমাসের মধ্যে চালু হয়ে যেতে পারে বলে জানিয়েছেন দমকল মন্ত্রী ৷
জানা গিয়েছে, উত্তরবঙ্গের সুখিয়াপোখরি, গরুবাথান, ঝালং, ইটাহার, তাগদা, সোনাদা ও ডুয়ার্সের বানারহাটে সাতটি নতুন দমকল কেন্দ্র তৈরি হবে ৷ পরিকাঠামো উন্নয়নে ও ঘিঞ্জি এলাকায় অগ্নিকাণ্ডের মোকাবিলার জন্য হাইড্রোলিক ল্যাডার, ড্রোন ও রোবট আনা হয়েছে ৷ যে 75টি ইঞ্জিন আনা হচ্ছে সেগুলির মাপ 2500 লিটার, 5 হাজার লিটার ও 14 হাজার লিটারের ৷ মন্ত্রী জানিয়েছেন, ডিসেম্বর মাসের মধ্যে 50টি ইঞ্জিন দক্ষিণবঙ্গ ও উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় পৌঁছে যাবে ৷
সুজিত বসু বলেন, "কেন্দ্রের পঞ্চদশ কমিশনের বরাদ্দে 75টি গাড়ি কেনা হবে ৷ 376 কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে দমকল বিভাগের পরিকাঠামোর উন্নয়নের জন্য ৷" এর পাশাপাশি তিনি জানান, "এখন থেকে 5 হাজার বর্গফুটের কোনও দোকান করতে গেলে, আর ফায়ার লাইসেন্সের জন্য হয়রানি পোহাতে হবে না ৷ অনলাইনে সেল্ফ ডিক্লেরেশন দিলে কোনও নথির প্রয়োজন হবে না ৷ ব্যবসায়ীরা লাইসেন্স পেয়ে যাবেন ৷"
এ নিয়ে দমকল বিভাগের সহকারী প্রধান সচিব মনোজ আগরওয়াল বলেন, "ফায়ার সেফটি সার্টিফিকেটের জন্য অনলাইনে আবেদন করতে হয় ৷ অনেক সময় সেই সফ্টওয়্যারে সমস্যা হয় ৷ যা ক্ষুদ্র ও মাঝারি কুটির শিল্প দফতরের অধীনে ৷ কাজেই ওই সমস্যার জন্য দমকল বিভাগ দায়ী নয় ৷ তাই ফায়ার সার্টিফিকেটের জন্য এখন থেকে অফলাইনে আবদেন করা যাবে ৷ শীঘ্রই এর জন্য বিভিন্ন এলাকায় ক্যাম্প করা হবে ৷"