কলকাতা, 21 মে: আগে থেকেই নিম্নচাপের চোখ রাঙানি ছিল ৷ আলিপুর হাওয়া অফিস আগে থেকেই পূর্বাভাস দিয়েছিল, বঙ্গোপসাগরে ঘণিভূত হওয়া ঘূর্ণাবর্ত বুধবার বিকেলে নিম্নচাপে পরিণত হবে ৷ শুক্রবারের মধ্যে তা গভীর নিম্নচাপ বদলে যাবে ৷ তার জেরেই দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সব জেলাতেই বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস ৷ পূর্ব মেদিনীপুর ও দক্ষিণ 24 পরগনায় ভারী বৃষ্টিপাতের লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে ।
নিম্নচাপের অবস্থান:
আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস মতো এই ঘূর্ণাবর্ত সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে 1.5 কিলোমিটার এবং 5.8 কিলোমিটার উপরে পূর্ব বাংলাদেশ ও তৎপ্বার্শবর্তী অঞ্চলের উপর অবস্থান করছে । আর একটি পূর্ব-পশ্চিম ঘূর্ণাবর্ত হরিয়ানা থেকে শুরু হয়ে পূর্ব বাংলাদেশ পর্যন্ত বিস্তৃত। এই ঘূর্ণিঝড় সঞ্চালনটি উত্তরপ্রদেশ, বিহার, গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের উপর সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে 1.5 কিলোমিটার উপরে অবস্থান করছে । ঘূর্ণাবর্তের অবস্থানের জেরে দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে একটি নিম্নচাপ তৈরি হতে চলেছে । যেটি সমুদ্র পৃষ্ঠ থেকে 3.1 কিলোমিটার উপরে । শুক্রবারের মধ্যে তা গভীর নিম্নচাপ বদলে যাবে ৷
নিম্নচাপ বঙ্গোপসাগরের ঘনীভূত হয়ে, তা উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর এবং তৎসংলগ্ন অঞ্চলে নিম্নচাপে পরিণত হবে। দীর্ঘপথ সাগরের উপর অবস্থান করায় প্রচুর পরিমাণে জলীয় বাষ্প সঞ্চয় করে শুক্রবার নাগাদ গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে । যা পরবর্তীকালে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে । এর ফলে প্রচুর পরিমাণে বৃষ্টিপাত হবে দক্ষিণবঙ্গের প্রতিটি জেলাতে ৷
লাল সতর্কতা:
পূর্ব-মেদিনীপুর ও দক্ষিণ 24 পরগনায় ভারী বৃষ্টিপাতের লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে । বৃষ্টির পাশাপাশি ঘণ্টায় 40 থেকে 60 কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইবে। ইতিমধ্যে মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে । পূর্বাভাস মতো সোমবার থেকেই উত্তর এবং দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় বৃষ্টি শুরু হয়েছে । পূর্ব মেদিনীপুর, দক্ষিণ ২৪ পরগনায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টিপাত ও ঝোড়ো হাওয়া বইবে ৷ হাওয়ার গতিবেগ ঘণ্টায় 40 থেকে 50 কিলোমিটার বেগে বইবে । এই পরিস্থিতিতে আগামী কয়েকদিন মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে ৷
আরও পড়ুন: