কলকাতা, 19 অগস্ট: আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদকে সিঙ্গুর নন্দীগ্রামের সঙ্গে তুলনা করলেন মদন মিত্র। একই সঙ্গে তিনি বলেন, "পুলিশ তৎপরতা দেখালে 500 লাশ পড়ে যেত। জালিয়ানওয়ালাবাগ হয়ে যেত আরজি কর হাসপাতাল।"
সোমবার দুর্বার মহিলা সমন্বয় কমিটির দুর্গা পুজোর খুঁটি পুজো এবং রাখি বন্ধন উৎসব উপলক্ষে সোনাগাছিতে উপস্থিত ছিলেন মদন মিত্র । সেখানে যৌনকর্মীদের পাশে থাকার বার্তা দেওয়ার পাশাপাশি আরজিকর কাণ্ড নিয়ে একাধিক প্রশ্নের উত্তর দেন তিনি। রাজ্য-দেশের গণ্ডি ছাড়িয়ে আরজিকর কাণ্ড বিশ্বস্তরে পৌঁছে গিয়েছে। এই কারণেই এই আন্দোলনের তীব্রতা এবং ব্যাপ্তি বাম আমলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে সিন্দুর নন্দীগ্রামের আন্দোলনের সঙ্গে তুলনা টানেন তৃণমূল নেতা ও কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্র। তিনি বলেন, "এই আন্দোলন দেখে সিঙ্গুর, নন্দীগ্রামের কথা মনে পড়ছে ।"
আরজি করে হামলা ঘটনার বিষয়ে পুলিশের পক্ষ নিয়ে মদন মিত্র বলেন, "পুলিশকে স্যালুট জানাই। মার খেয়েছে। মাথা ফেটেছে । পুলিশ তৎপরতা দেখালে 500 লাশ পড়ে যেত । জালিয়ানওয়ালাবাগ হয়ে যেত আরজি কর হাসপাতাল। এটা যদি কেউ মনে করে পুলিশের লজ্জা, পুলিশ চুড়ি পরেছিল, তাহলে ভুল বলছে। আরে মেয়েরা চুড়ি পরে কারণ মেয়েরা মাতৃ শক্তি। চুড়ি পরা মানে মুখ বুঝে থাকা নয়। পুলিশ অন্যায় অত্যাচার মেনে নিয়েছিল বিশেষ কারণে। কারণ, পুলিশ জানতো যদি ওই অন্ধকারে আলো নিভিয়ে দিয়ে কাউকে টার্গেট করে গুলি চালানো হয় তাহলে লন্ডভন্ড হয়ে যেত সারা আরজিকর ক্ষতিগ্রস্ত হতো। পুলিশ নির্বিকার ছিল বলে একজনও আঘাত পায়নি ।"
সুখেন্দুশেখর রায়ের মন্তব্য এবং কলকাতা পুলিশের প্রসঙ্গে মদন মিত্র বলেন, "বিষয়টা সুখেন্দুশেখর রায় এবং কলকাতা পুলিশের ৷ একইসঙ্গে দলের বিষয়ে দল সেটা দেখবে। এর কাছে কোনও বোম্বাস্টিক তথ্য আছে, যে কারণে লালবাজার তাঁকে ডেকে পাঠিয়েছে।" একইসঙ্গে তিনি দাবি করেন, "আরজি করে প্রশাসনিক গাফিলতি ঘটেছে বলেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশাসনিক স্তরে রদবদল করেছেন। "
তবে আরজি করে হামলার পিছনে সিপিএম এবং বিজেপির হাত রয়েছে বলেই দাবি করেছেন মদন মিত্র। তাঁর কথায়," ওই দিন রাতের শান্তিপূর্ণ মিছিলে সিপিএম এবং বিজেপি আন্দোলনকারী-চিকিৎসকদের ঘাড়ে বন্দুক রেখে নিজেদের রাজনৈতিক ফায়দা তোলার চেষ্টা করেছে। কিন্তু, আর একবার আরজি করে হামলা হলে জনতা প্রস্তুত রয়েছে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ।"
এর পাশাপাশি, আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের পাশে থাকার বার্তা দিয়ে মদন মিত্র বলেন, "যে সমস্ত চিকিৎসক শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করছেন, তাঁদের কাছে অনুরোধ, এই কালো ব্যাজ পড়ে মিছিলে অংশগ্রহণ করা মুখোশধারীদের চিহ্নিত করুন। তাঁরা যেন কোনও ভাবেই রাজনৈতিক ফায়দা তুলতে না পারে।"