মালদা,22 মে: স্ত্রী’র পরকীয়ার প্রতিবাদ করার পরই রহস্যজনক ভাবে অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যু হল স্বামীর ৷ যুবককে পুড়িয়ে মারার অভিযোগ উঠল বিএসএফে কর্মরত স্ত্রী’র বিরুদ্ধে। সোমবার পরিবারের তরফে মালদা থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে । সেই অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে মালদা থানার পুলিশ ৷ মৃত ব্যক্তির নাম সুপদ বিশ্বাস (40)। এই ঘটনায় এখনও অধরা অভিযুক্ত স্ত্রী ৷
মৃত সুপদ বিশ্বাস বাড়ি নদিয়ার কোতয়ালি থানার হরনগর গ্রামের বাসিন্দা । 2011 সালে রেজিস্ট্রি করে বিয়ে হয় । পরিবারের দাবি, রেজিস্ট্রির কিছুদিন পরেই বিএসএফে চাকরি পান ওই মহিলা। তাঁদের একটি পুত্র সন্তান হয়। কর্মসূত্রে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় পোস্টিং শুরু হয় ওই মহিলার । পরিবারের দাবি, বাড়ির বাইরে থাকায় পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন ওই মহিলা । বিষয়টি জানতে পারেন পরিবারের লোকজন । এই নিয়ে পরিবারে অশান্তি লেগে থাকত । সম্প্রতি মালদায় তাঁর পোস্টিং হয় । সেখানে তাঁর স্ত্রী পরকীয়ায় জড়িয়েছেন, তা জানতে পারেন তাঁর স্বামী ৷ 20 মে সোমবার মালদায় স্ত্রী-র সঙ্গে কথা বলতে যান তিনি ৷ এই নিয়ে মালদায় স্ত্রীর অফিসে একটি অভিযোগও জানান ওই যুবক ৷ এরপরই মালদায় বিএসএফের ক্যাম্প থেকে ওই ব্যক্তিকে ডেকে পাঠানো হয় ৷ এদিন সন্ধ্যাতেই যুবকের মৃত্যুর খবর আসে ৷
ঘটনার প্রসঙ্গে, মৃতের ভাই রাহুল বিশ্বাস বলেন, "দাদা ভালোবেসে বিয়ে করেছিল ৷ বিয়ের পর বউদি বিএসএফে চাকরি পায় ৷ বউদি নানা জায়গায় পোস্টিং হতে থাকে। বিভিন্ন জায়গায় অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে ৷ আমার পরিবার বিষয়টি জানতে পারে। বিষয়টি পরিবারের তরফ থেকে বসে মিটমাট করেছিলাম। বউদি ভুলও স্বীকার করেছিল । সম্প্রতি মালদায় বউদির পোস্টিং হয় । সেখানে দফতরের এক ব্যক্তির সঙ্গে পরকীয়ায় লিপ্ত হয়। দাদা সেটা জানতে পেরে, ডিপার্টমেন্টে অভিযোগ জানান। ডিপার্টমেন্ট থেকে লিখিত অভিযোগ জানাতে বলা হয় । দাদা সেটাও করেন। পরশুদিন ডিপার্টমেন্টের সিও (কমান্ডিং অফিসার) দাদাকে ফোন করে ডাকেন। সন্ধ্যায় ক্যাম্প থেকে আমাদের কাছে খবর আসে, দাদা গায়ে আগুন ধরিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে। গতকাল আমরা তড়িঘড়ি মালদা মেডিক্যালে ছুটে আসি। আমরা এখানে এসে জানতে পারি দাদার মৃত্যু হয়েছে।"
আরও পড়ুন: