হিঙ্গলগঞ্জ, 27 মে: মূল ভূখণ্ডে আছড়ে পড়ার পর থেকেই ঘূর্ণিঝড় রেমালের তাণ্ডবে কার্যত বিধ্বস্ত সুন্দরবনের উপকূলবর্তী এলাকা । প্রশাসন সূত্রে খবর, সুন্দরবনের উপকূলবর্তী দুই 24 পরগনার দ্বীপ এলাকায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে ৷ এর মধ্যে রয়েছে সুন্দরবন ঘেঁষা বসিরহাটের উপকূলবর্তী বেশ কিছু এলাকা । কোথাও ভেঙে গিয়েছে কাঁচা বাড়ি, ইলেকট্রিক পোস্ট । আবার কোথাও বড় বড় গাছ উপড়ে পড়েছে রাস্তায় কিংবা বাড়ির উপর । প্রশাসন ও সিভিল ডিফেন্সের কর্মীরা পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করছে । তবে, দমকা হাওয়া এবং নাগাড়ে বৃষ্টিতে ব্যাহত হচ্ছে কাজ ৷
ঝোড়ো হাওয়ায় হিঙ্গলগঞ্জের সাহেবখালি এবং রূপমারি এলাকায় অধিকাংশ কাঁচা বাড়ি ভেঙে তছনছ হয়ে গিয়েছে ।শতাধিক বিদ্যুতের খুঁটি এবং রাস্তার ধারের গাছ উপড়ে পড়েছে । প্রশাসনের দাবি, হিঙ্গলগঞ্জের এই দুটি এলাকাতেই সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে ৷
আরও পড়ুন :
হিঙ্গলগঞ্জের লেবুখালিতে গাছ উপড়ে রাস্তার ধারে দোকানের চালে গিয়ে পড়েছে । এর জেরে হিঙ্গলগঞ্জের সঙ্গে হাসনাবাদের যোগাযোগ সম্পূর্ণভাবে বন্ধ হয়ে গিয়েছে । ফলে বিপাকে পড়েছেন সাধারণ মানুষ । একইভাবে হাসনাবাদ ব্লকের একাধিক জায়গাতেও ভেঙে গিয়েছে মাটির বাড়ি । বেশ কিছু গাছ এবং ইলেকট্রিকের খুঁটি উপড়ে যাওয়ার খবরও মিলেছে সেখান থেকে । পরিস্থিতি সামাল দিতে ইতিমধ্যেই বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ শুরু করেছেন । গাছ কেটে তা রাস্তা এবং এলাকা থেকে সরানোর কাজ শুরু করেছেন তাঁরা । বিদ্যুৎ দফতরের কর্মীরাও নেমেছেন ভেঙে যাওয়া ইলেকট্রিকের খুঁটি সরিয়ে তা মেরামত করতে । তবে, যেভাবে রেমালের তাণ্ডবে একের পর এক গাছ এবং বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে গিয়েছে তাতে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে আজ সারাদিন গড়িয়ে যেতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে ।
এদিকে, রায়মঙ্গল এবং ইছামতি নদীর বাঁধে ফাটল দেখা দেওয়ায় হিঙ্গলগঞ্জের দ্বীপ এলাকায় চাষের জমিতে নোনা জল ঢুকতে শুরু করেছে । এর ফলে বিঘার পর বিঘা চাষের জমি নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা করছেন নদী পাড়ের বাসিন্দারা । যদিও, নদী বাঁধ মেরামতিতে ইতিমধ্যে হাত লাগিয়েছেন স্থানীয় পঞ্চায়েত ও সেচ দফতরের লোকজন । ঘূর্ণিঝড় রেমালের তাণ্ডবে কাঁচা বাড়ির ক্ষতি হলেও এখনও পর্যন্ত বসিরহাটের দ্বীপ এলাকায় কোনও প্রাণহানির খবর নেই বলেই জানা গিয়েছে প্রশাসন সূত্রে ।
আরও পড়ুন :