সন্দেশখালি, 24 ফেব্রুয়ারি: জ্বলছে সন্দেশখালি ৷ চারিদিকে কড়া নিরাপত্তা ৷ শনিবার থেকে সন্দেশখালিতে যেতে হলে আগে পার হতে হচ্ছে পুলিশের দু'টি নাকা চেকপোস্ট। এই নাকা চেকপোস্টগুলি করা হয়েছে ধামাখালিতে। সেখানে রেহাই নেই নেতা থেকে মন্ত্রীদেরও ৷ এদিন সকালে উত্তপ্ত সন্দেশখালিত এসে পৌঁছেছেন, সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিক ও দমকল মন্ত্রী সুজিত বসুরা ৷ এর আগেও তাঁরা সন্দেশখালি গিয়েছিলেন ৷ গত রবিবার 18 ফেব্রুয়ারি উত্তর 24 পরগনার ন্যাজাটে গিয়ে সেখানকার দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন সুজিত বোস, পার্থ ভৌমিক এবং বীরবাহা হাঁসদা।
তৃণমূল নেতা তথা রাজ্যের মন্ত্রী সুজিত বসু, পার্থ ভৌমিকেরা সন্দেশখালিতে পৌঁছেছেন। তাঁরা এলাকা ঘুরে দেখছেন এবং গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলছেন। এদিন রাজ্য পুলিশের একজন ডিএসপি এবং একজন অ্যাডিশনাল পুলিশ সুপার পদমর্যাদার পুলিশ আধিকারিকরা রয়েছেন। প্রথমে একটি নাকা পেরোতে দেখা হচ্ছে পরিচয় পত্র ৷ তারপর কিছুটা হেঁটে গিয়ে দ্বিতীয় নাকা পোস্টে ফের একবার তল্লাশি অভিযান চালানো হচ্ছে। এরপর সবুজ সংকেত মিললেই তবেই সন্দেশখালির উদ্দেশ্যে পৌঁছনো যাবে ৷
আজ সকাল থেকেই ডিআইজি বসিরহাট নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী ধামাখালি থেকে সন্দেশখালি পর্যন্ত রুটমার্চ করছেন। রাজ্য পুলিশ সূত্রের খবর, যে কোনও হেভিওয়েট নেতা-নেত্রী তাঁরা আসলে প্রথমে সন্দেশখালির যেতে পারছেন না ৷ প্রথমে তাঁদের আসতে হচ্ছে ধামাখালিতে। আর তার জন্যই পুলিশি পাহারা দেখা যাচ্ছে এই ধামাখালিতেই। এর আগে গতকাল সন্দেশখালিতে যায় জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের টিম ৷ থানায় গিয়ে পুলিশ আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করে ওই দল ৷
এরপর একের পর এক অভিযোগ গ্রামবাসীদের কাছ থেকে শোনে তারা ৷ গতকাল দিনভর দফায় দফায় উত্তপ্ত হয় সন্দেশখালির বেড়মজুর। বিক্ষোভ, আগুন, অবরোধ লেগে থাকে ৷ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে জারি হয় 144 ধারা। সন্ধ্যায় মোড়ে মোড়ে সিসি ক্যামেরা বসায় পুলিশ।
আরও পড়ুন: