কলকাতা, 23 এপ্রিল: রামনবমীর দিন মুর্শিদাবাদের বিভিন্ন জায়গায় অশান্তির ঘটনায় রাজ্যের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম। সামান্য রামনবমীর উৎসব পালন করতে পারছে না, তাহলে বহরমপুর লোকসভা কেন্দ্রে নির্বাচন হবে কী করে? তাহলে কমিশনকে বলি, ওই এলাকায় নির্বাচন বন্ধ রাখতে? প্রাথমিকভাবে রামনবমী সংক্রান্ত মামলার পর্যবেক্ষণে এমনই মন্তব্য প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের।
"মডেল কোড অফ কনডাক্ট থাকার সত্ত্বেও এই ধরনের ঘটনা ঘটেছে, তাহলে রাজ্য কী করছিল?" প্রশ্ন প্রধান বিচারপতির। রাজ্যের আইনজীবী অমিতেষ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "অত্যন্ত সামান্য বিষয়ে ইট ছোড়াছুড়ি হচ্ছে, এটা ভাবা যায় না। সে দিনের ঘটনা সামান্য বিষয়। তেমন কিছুই হয়নি ৷ মাত্র দু'টি ফ্ল্যাগ বাঁধা নিয়েই ঝামেলার সৃষ্টি হয়। তারপরই ইট, পাথর ছোড়া শুরু হয়। গত 16 তারিখ পর্যন্ত 144 ধারা জারি ছিল ওই জায়গায় ৷" বিশ্বহিন্দু পরিষদের আইনজীবী বলেন, "কামনগর বেলডাঙা থানার, শক্তিপুরে ঝামেলার সৃষ্টি হয় 17 এপ্রিল রামনবমীর দিন। একটা নির্দিষ্ট সম্প্রদায়ের উপর আক্রমণ করা হচ্ছে।
রাজ্যের এজি (অ্যাডভোকেট জেনারেল) বলেন, "রিপোর্ট রেডি আছে। তবে, আরও কিছু সময় দেওয়ার আর্জি চাই ৷ প্রধান বিচারপতি আগামী 26 এপ্রিল ফের শুনানির জন্য মামলাটি রেখেছেন। ওইদিন রাজ্যকে রিপোর্ট দিতে হবে। মুর্শিদাবাদে রামনবমীর ব়্যালির উপর হামলা। গতকাল রাজ্য পুলিশকে তদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল ডিভিশন বেঞ্চ। একইসঙ্গে ড্রোনের মাধ্যমে তোলা ভিডিয়ো ফুটেজ সংরক্ষণ করার নির্দেশ এবং পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের ডিজিকে সিসিটিভি ক্যামেরার ছবি সংরক্ষণ করার নির্দেশ। আজকের মধ্যে মুর্শিদাবাদ জেলার পুলিশ সুপার এবং সিআইডিকে তদন্তের রিপোর্ট জমা দেওয়া নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট।
উল্লেখ্য, এবার চতুর্থ দফায় বহরমপুর লোকসভা কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ হতে চলেছে। অর্থাৎ আগামী 13 মে ভোটগ্রহণ হবে। কংগ্রেসের টিকিটে এই কেন্দ্রে দাঁড়িয়েছেন অধীর চৌধুরী। তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী হয়েছেন ভারতীয় দলের প্রাক্তন ক্রিকেটার ইউসুফ পাঠান। আর বিজেপির টিকিটে দাঁড়িয়েছেন নির্মল কুমার সাহা।
আরও পড়ুন: