ETV Bharat / state

দক্ষিণে ভারী বৃষ্টি জুলাইয়ের প্রথমে, অধিক বর্ষণে নাজেহাল উত্তর - West Bengal Monsoon Update

author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Jun 25, 2024, 7:13 AM IST

Monsoon Update: জুন মাসে বৃষ্টির ঘাটতি রয়েছে দক্ষিণবঙ্গে ৷ কারণ বর্ষা প্রবেশ করলেও ঘূর্ণাবর্ত থেকে নিম্নচাপ তৈরি হওয়ার কোনও লক্ষণ নেই এখনও ৷ তবে আবহাওয়াবিদদের মতে, স্বস্তি মিলতে পারে জুলাই মাসের প্রথম সপ্তাহে ৷

Monsoon Update
বঙ্গে বর্ষার অবস্থান (ফাইল চিত্র)

কলকাতা, 25 জুন: তেজ নেই আষাঢ়ে। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, কলকাতা এবং পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের যে সমস্ত জেলায় বর্ষা ঢুকেছে সেখানে প্রত্যাশিত বৃষ্টি নেই । হালকা ছিটেফোঁটা বৃষ্টিতে গরমে লাগাম পড়ছে না । মেঘলা আকাশের কারণে অস্বস্তিকর আর্দ্রতাযুক্ত গরম রয়েই যাচ্ছে ।

সোমবার কলকাতা এবং পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল 34.2 ডিগ্রি সেলসিয়াস । সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল 28 ডিগ্রি। সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা দুটোই স্বাভাবিকের চেয়ে 1.2 ডিগ্রি বেশি ছিল । বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতা ছিল সর্বোচ্চ 93 শতাংশ এবং সর্বনিম্ন 64 শতাংশ । আজ, মঙ্গলবার দিনের আকাশ থাকবে মেঘলা । বজ্রবিদ্যুত-সহ বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে । সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা 34 ডিগ্রি এবং 28 ডিগ্রির আশেপাশে থাকবে বলে জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া অফিস ।

উত্তরবঙ্গে গত 31 মে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ুর হাত ধরে বর্ষা প্রবেশ করে । দক্ষিণবঙ্গে বর্ষার প্রবেশের নির্ধারিত দিন 11 জুন হলেও, তার দশদিন পরে তার আগমন ঘটে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে । কিন্তু দাপট না-থাকায় এখনও তা সর্বত্র প্রবেশ করেনি । ফলে জুন মাসে দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির ঘাটতির কথা মেনে নিচ্ছে হাওয়া অফিস । উলটে উত্তরবঙ্গে ফের সক্রিয় হয়েছে বর্ষা । সোমবার থেকে বুধবার পর্যন্ত উত্তরবঙ্গের উপরের পাঁচটি জেলায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। সমতলের তিন জেলা দুই দিনাজপুর এবং মালদাতেও ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস । একদিকে দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির ঘাটতি, অন্যদিকে অধিক বর্ষায় প্রাণ ওষ্ঠাগত উত্তরবঙ্গবাসীর । কিন্তু কেন আবহাওয়ার এই আচরণ?

আবহাওয়াবিদদের মতে, সাধারণত বর্ষার শুরুতে দক্ষিণবঙ্গ এবং সংলগ্ন অঞ্চলে এক বা একাধিক ঘূর্ণাবর্ত দানা বাঁধে । কিন্তু আপাতত সেই লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না । ঘূর্ণাবর্ত থেকে নিম্নচাপ তৈরি হলে তার প্রভাবে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি পাওয়া যায় । একটানা বর্ষণে তাপমাত্রার গতিতে রাশ পড়ে এবং স্বস্তি নামে । এবছর এখনও পর্যন্ত সেই রকম কিছুই হয়নি ৷ ঘূর্ণাবর্তের ফলে নিম্নচাপের সৃষ্টি হলেও তা জুলাই মাসের প্রথম সপ্তাহের আগে হচ্ছে না । সে কারণে জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহে দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির পরিমাণ বাড়তে পারে বলে মত হাওয়া অফিসের ।

রাজস্থান থেকে বাংলাদেশ পর্যন্ত যে অক্ষরেখা রয়েছে, তা উত্তরবঙ্গের উপর দিয়ে গিয়েছে । উত্তরপূর্ব এবং পূর্ব বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণাবর্ত রয়েছে ৷ ফলে তা থেকে নিম্নচাপের সৃষ্টি হতে পারে বলে দাবি হাওয়া অফিসের ৷ তবে সবটাই পূর্ব অনুমান । মঙ্গলবার পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গে হালকা ছিটেফোঁটা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে ৷ তবে পশ্চিমের জেলাগুলোতে বৃষ্টির পরিমাণ বাড়তে পারে । আগামীকাল, বুধবার থেকে বৃষ্টি বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে দক্ষিণবঙ্গের সমস্ত জেলাতেই ।

কলকাতা, 25 জুন: তেজ নেই আষাঢ়ে। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, কলকাতা এবং পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের যে সমস্ত জেলায় বর্ষা ঢুকেছে সেখানে প্রত্যাশিত বৃষ্টি নেই । হালকা ছিটেফোঁটা বৃষ্টিতে গরমে লাগাম পড়ছে না । মেঘলা আকাশের কারণে অস্বস্তিকর আর্দ্রতাযুক্ত গরম রয়েই যাচ্ছে ।

সোমবার কলকাতা এবং পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল 34.2 ডিগ্রি সেলসিয়াস । সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল 28 ডিগ্রি। সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা দুটোই স্বাভাবিকের চেয়ে 1.2 ডিগ্রি বেশি ছিল । বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতা ছিল সর্বোচ্চ 93 শতাংশ এবং সর্বনিম্ন 64 শতাংশ । আজ, মঙ্গলবার দিনের আকাশ থাকবে মেঘলা । বজ্রবিদ্যুত-সহ বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে । সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা 34 ডিগ্রি এবং 28 ডিগ্রির আশেপাশে থাকবে বলে জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া অফিস ।

উত্তরবঙ্গে গত 31 মে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ুর হাত ধরে বর্ষা প্রবেশ করে । দক্ষিণবঙ্গে বর্ষার প্রবেশের নির্ধারিত দিন 11 জুন হলেও, তার দশদিন পরে তার আগমন ঘটে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে । কিন্তু দাপট না-থাকায় এখনও তা সর্বত্র প্রবেশ করেনি । ফলে জুন মাসে দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির ঘাটতির কথা মেনে নিচ্ছে হাওয়া অফিস । উলটে উত্তরবঙ্গে ফের সক্রিয় হয়েছে বর্ষা । সোমবার থেকে বুধবার পর্যন্ত উত্তরবঙ্গের উপরের পাঁচটি জেলায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। সমতলের তিন জেলা দুই দিনাজপুর এবং মালদাতেও ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস । একদিকে দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির ঘাটতি, অন্যদিকে অধিক বর্ষায় প্রাণ ওষ্ঠাগত উত্তরবঙ্গবাসীর । কিন্তু কেন আবহাওয়ার এই আচরণ?

আবহাওয়াবিদদের মতে, সাধারণত বর্ষার শুরুতে দক্ষিণবঙ্গ এবং সংলগ্ন অঞ্চলে এক বা একাধিক ঘূর্ণাবর্ত দানা বাঁধে । কিন্তু আপাতত সেই লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না । ঘূর্ণাবর্ত থেকে নিম্নচাপ তৈরি হলে তার প্রভাবে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি পাওয়া যায় । একটানা বর্ষণে তাপমাত্রার গতিতে রাশ পড়ে এবং স্বস্তি নামে । এবছর এখনও পর্যন্ত সেই রকম কিছুই হয়নি ৷ ঘূর্ণাবর্তের ফলে নিম্নচাপের সৃষ্টি হলেও তা জুলাই মাসের প্রথম সপ্তাহের আগে হচ্ছে না । সে কারণে জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহে দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির পরিমাণ বাড়তে পারে বলে মত হাওয়া অফিসের ।

রাজস্থান থেকে বাংলাদেশ পর্যন্ত যে অক্ষরেখা রয়েছে, তা উত্তরবঙ্গের উপর দিয়ে গিয়েছে । উত্তরপূর্ব এবং পূর্ব বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণাবর্ত রয়েছে ৷ ফলে তা থেকে নিম্নচাপের সৃষ্টি হতে পারে বলে দাবি হাওয়া অফিসের ৷ তবে সবটাই পূর্ব অনুমান । মঙ্গলবার পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গে হালকা ছিটেফোঁটা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে ৷ তবে পশ্চিমের জেলাগুলোতে বৃষ্টির পরিমাণ বাড়তে পারে । আগামীকাল, বুধবার থেকে বৃষ্টি বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে দক্ষিণবঙ্গের সমস্ত জেলাতেই ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.