হাওড়া, 24 নভেম্বর: খোদ হাওড়া পুরনিগমের ভিতরে চলছিল জুয়ার আসর। খবর পেয়ে উপস্থিত হয় হাওড়া থানার পুলিশ। জুয়ার আসর থেকে 13 জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পাশাপাশি, নগদ 36 হাজার টাকাও উদ্ধার করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, পুরনিগমের পিছনের দিকে রয়েছে সাফাইকর্মীদের কোয়ার্টার । দীর্ঘ দিন ধরেই সেখানে জুয়ার আসর চলছে বলে খবর মিলেছিল। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে, বিশেষ অভিযান চালায় হাওড়া থানার পুলিশ। ধৃত 13 জনের মধ্যে একজন তৃণমূল কংগ্রেসের নেতাও রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। যদিও প্রশ্ন উঠছে, গেটের বাইরে নিরাপত্তারক্ষীরা থাকা সত্ত্বেও রাতে কীভাবে বহিরাগতেরা ভিতরে প্রবেশ করলেন ? এই ঘটনা সামনে আসতেই পৌর নিগমের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
পুরনিগমের এক কর্মীর জানান, রাতে গেট খোলা রেখেই তারা ঘুমিয়ে পড়েন। যদি এভাবেই গেট খোলা থাকে, তাহলে এই ধরণের ঘটনার দায় কে নেবে ? যদিও ঘটনা প্রসঙ্গে হাওড়ার মুখ্য পুরপ্রশাসক সুজয় চক্রবর্তী বলেন, ‘‘পুরসভা বন্ধ হওয়ার পরেও কীভাবে বহিরাগতেরা ভিতরে প্রবেশ করছে, তা খতিয়ে দেখা হবে। কর্তব্যে গাফিলতি থাকলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’
যদিও এই ঘটনাকে বিচ্ছিন্ন বলে ধরতে নারাজ গেরুয়া শিবির। বিজেপি নেতা ওমপ্রকাশ সিং বলেন, "কলকাতার চেয়েও প্রাচীন শহর হাওড়া ৷ আর সেই হাওড়ার পুরনিগমের মধ্যে মদ, জুয়ার আসর চলছে। এটা আইন-শৃঙ্খলা ভেঙে পড়ার নমুনা। দশ বছর ধরে নির্বাচন না হওয়াতে কোনও জনপ্রতিনিধি নেই। পুলিশ ও তৃণমূলের মদতেই এই ঘটনা ঘটেছে। পুলিশের কাটমানির জায়গাতে আঁচ আসায় পুলিশ ধরেছে। আবার কিছুদিন পর এরা ছাড়া পেয়ে আবার করবে। প্রশাসক যিনি আছেন, তিনি নিজেকে পুরনিগমের পিতৃদেব বলেই মনে করন। পৌর নিগমের মধ্যে কোনও নিরাপত্তা নেই। যে কোনও দিন আরজিকর-এর চেয়েও বড় ঘটনা ঘটে যাবে।"