বালুরঘাট, 28 জুলাই: আজ শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে প্রাক্তন কারামন্ত্রী বিশ্বনাথ চৌধুরীর । রবিবার সকাল আটটায় বালুরঘাটে আরএসপির জেলা কার্যালয়ে আনা হয় প্রাক্তন কারামন্ত্রী বিশ্বনাথ চৌধুরীর মরদেহ ৷ সেখানেই তাঁকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে ভিড় জমান বাম নেতারা ৷
গতকাল সকালে কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় বিশ্বনাথ চৌধুরীর । ফুসফুসের ক্যানসারে তিনি আক্রান্ত ছিলেন ৷ প্রথমে কিছুদিন কলকাতার বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা এবং পরে তাঁকে এসএসকেএমে ভর্তি করা হয় । সেখানেই তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ৷ মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল 83 বছর । তিনি বালুরঘাট বিধানসভায় সাতবারের বিধায়ক ছিলেন । বাম আমলে তিনি ছিলেন কারা ও সমাজ কল্যাণ মন্ত্রী ৷ দ্বায়িত্ব সামলেছেন আরএসপির রাজ্য সম্পাদকের । তাঁর মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে বালুরঘাটে ৷
গতকাল সকাল 6.45-এ প্রয়াত হন প্রাক্তন মন্ত্রী ৷ এরপর কলকাতায় বিভিন্ন জায়গায় বিশিষ্ট বাম নেতার প্রতি শ্রদ্ধা জানান কর্মী-সমর্থকরা ৷ রবিবার তাঁর দেহ দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাটে আনা হয় ৷ সেখানকার জেলা আরএসপি কার্যালয়ে বিশ্বনাথ চৌধুরীর মরদেহ সর্বসাধারণের শেষ শ্রদ্ধা জানানোর জন্য শায়িত রাখা হয় । প্রয়াত এই বাম নেতাকে শ্রদ্ধা জানাতে আসেন বহু স্থানীয় মানুষ ৷ রাজনৈতিক ভেদাভেদ ভুলে ডান বাম সব দলের নেতাকর্মীরাই তাঁকে শেষ শ্রদ্ধা জানান ।
বেশ কিছুদিন ধরে তিনি ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে প্রথমে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতাল ও পরে এসএসকেএম-এ ভর্তি ছিলেন । সেখানেই তিনি গতকাল প্রয়াত হন ৷ কন্যা ও পুত্রকে রেখে গিয়েছেন তিনি ।
1977 সালে বালুরঘাট বিধানসভা থেকে আরএসপি দলের হয়ে প্রথমবার বিধায়ক হিসেবে নির্বাচিত হন বিশ্বনাথ চৌধুরী । এরপরে 1987 সালে তিনি রাজ্যের কারা ও সমাজ কল্যাণ দফতরের মন্ত্রী হন । তারপর থেকে বামফ্রন্ট সরকার যতদিন ক্ষমতায় ছিল, তিনি ওই পদেই অধিষ্ঠিত ছিলেন । 2011 সালের নির্বাচনে তিনি হেরে গেলেও, 2016 সালের বিধানসভা নির্বাচনে বালুরঘাট আসন থেকে তিনি পুনরায় জয়ী হন । 2021 সালের বিধানসভা নির্বাচনে বার্ধক্যজনিত অসুস্থতার কারণে তিনি আর প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেননি ।
আরএসপি-র কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মনোজ ভট্টাচার্য জানান, "কমরেড বিশ্বনাথ চৌধুরী বালুরঘাটের সাধারণ মানুষের কাছে জননেতা নামে পরিচিত ছিলেন । সাধারণ মানুষের মন জয় করেছিলেন তিনি । সেই কারণেই সাত বারের বিধায়ক হতে পেরেছিলেন । তিনি অসুস্থ ছিলেন জানতে পেরে আমরা কলকাতায় নিয়ে যাই চিকিৎসার জন্য । পরবর্তীতে আমরা জানতে পারি ফুসফুসে ক্যানসার ধরা পড়ে এবং চতুর্থ স্টেজে রয়েছে। তখনই আমরা ধরে নিই যে, তিনি খুব তাড়াতাড়ি না ফেরার দেশে চলে যাবেন । বিশ্বনাথ চৌধুরীর মৃত্যুতে বালুরঘাটের পাশাপাশি সমস্ত দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা জুড়ে কর্মীরা শোকাহত ।"