মুম্বই, 20 জানুয়ারি: সইফ আলি খানের ওপর হামলা কীভাবে হয়েছিল ? কীভাবে অভিনেতার বাড়িতে ঢুকে হামলা চালায় অভিযুক্ত শরিফুল ইসলাম শেহজাদ মহম্মদ রোহিল আমিন ফকির ? তদন্তে নেমে মুম্বই পুলিশ যেই দিনের ঘটনা পুনরায় স্থাপন করবে বলে জানা গিয়েছে ৷ হাই প্রোফাইল কেসে 30 বছর বয়সী বাংলাদেশের বাসিন্দা শরিফুলকে রবিবার থানের কাছ থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ ৷ আদালত অভিযুক্তকে পাঁচদিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে ৷
এরপরেই অভিযুক্তকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে পুলিশ ৷ সূত্রের খবর, শেহজাদকে সইফ আলি খানের ফ্ল্যাটে অর্থাৎ সৎগুরু শরণ বিল্ডিয়ে নিয়ে যাবে পুলিশ ৷ এরপর তদন্তের স্বার্থেই অভিযুক্ত ঠিক কোথায় কীভাবে সইফের ওপর হামলা করেছে, কীভাবে বাড়ির মধ্যে প্রবেশ করেছে সেই সব কিছু ঘটনার পুলিশ পুনর্নির্মাণ করবে বলে জানা গিয়েছে ৷ শুধু তাই নয়, অপরাধ করার পর অভিযুক্ত কোথায় গিয়েছিল, কীভাবে পালিয়ে ছিল, তাও খতিয়ে দেখবে পুলিশ ৷
#WATCH | Saif Ali Khan Attack Case | Actor #SaifAliKhan's mother, veteran actor Sharmila Tagore arrives at Lilavati Hospital in Mumbai.
— ANI (@ANI) January 20, 2025
Saif Ali Khan is admitted here following an attack on him. pic.twitter.com/w08zw7sJC6
পুলিশ সূত্রে খবর, পাঁচ মাস আগে বিজয় দাস নামে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করে অভিযুক্ত ৷ তিনি বাংলাদেশের রাজবাড়ির বাসিন্দা ৷ তিনি ভারতে এসে এজেন্সি মারফত পরিচারকের কাজ করতেন ৷ ইতিমধ্যেই নিজের দোষ স্বীকার করে নিয়েছে অভিযুক্ত ৷ তার বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার 311, 312, 331 (4), 331 (6) নম্বর ধারা ও ফরেন অ্যাক্ট 1946 14 নম্বর সেকশন, ও ফরেন অর্ডার 1948 সেকশন 3 (1) ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে ৷ তাঁকে 24 জানুয়ারি পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতে থাকার নির্দেশ দিয়েছে আদালত ৷
অভিযুক্তকে জিজ্ঞাসাবাদের পর পুলিশ জানিয়েছে, 16 জানুয়ারি চুরি করার মতলবেই অভিনেতার বাড়িতে ঢুকেছিল অভিযুক্ত শেহজাদ ৷ এক পুলিশ আধিকারিক বলেন, "অভিযুক্ত পিছনের দিক থেকে প্রবেশ করে ৷ 12 তলা পর্যন্ত বাইরের পাইপের মাধ্যমে ওঠে ৷ এরপর বাথরুমের জানালা দিয়ে দুষ্কৃতি অভিনেতার ফ্ল্যাটে প্রবেশ করে ৷ তারপর সে বাথরুম থেকে বাইরের দিকে বেরিয়ে আসে ৷ কিন্তু যখন অভিনেতার বাড়ির স্টাফ দেখে ফেলে তখনই বিপত্তি বাধে ৷ তারপরেই সইফ আলি খান ছুটে আসেন ৷ অভিযুক্তের সঙ্গে বচসা ও হাতাহাতির সময় ছুরির কোপে গুরুতর জখম হন সইফ আলি খান ৷"
অভিযুক্ত বাংলাদেশের বাসিন্দা শেহজাদ ছ'বার ছুরির কোপ মারে সইফকে ৷ যার ফলে হাতে, পিঠে গুরুতর জখম হন তিনি ৷ ধারালো ছুরির ফলা যা প্রায় 2.5 ইঞ্চি ছিল তা অভিনেতার মেরদণ্ডের পাশ থেকে অস্ত্রোপচারের পর উদ্ধার করে লীলাবতী হাসপাতালের চিকিৎসকরা ৷ হাতে, ঘাড়ে আঘাতপ্রাপ্ত জায়গায় করা হয় প্লাস্টিক সার্জারিও ৷ এখন অভিনেতা আগের থেকে অনেকটা ভালো আছেন ৷ তাঁকে 24 ঘণ্টা আইসিইউতে রাখার পর স্পেশাল রুমে রাখা হয় ৷ সেখানে প্রতিদিনই পরিবারের সদস্যরা অভিনেতাকে দেখতে হাসপাতালে যাচ্ছেন ৷ রবিবারও করিনা জেহ ও তৈমুরকে নিয়ে হাসপাতালে যান ৷