খড়গপুর, 13 জানুয়ারি: খড়গপুর আইআইটি'র ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের মেধাবী ছাত্র শাওন মালিকের মৃত্যু নিয়ে ধোঁয়াশা।এই ঘটনায় জোর কদমে তদন্ত শুরু করেছে প্রশাসন। সোমবার IIT-তে আসেন ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা। আমলার ছেলের রহস্য মৃত্যুতে বালির বস্তা ঝুলিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষাও করা হয় দীর্ঘ সময় ধরে।
এদিকে, সাম্প্রতিক অতীতে পৃথিবী বিখ্যাত এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের একের পর এক ছাত্রের মৃত্যুকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে ৷ দেহ উদ্ধারের পিছনে কী কারণ রয়েছে তা নিয়ে উঠছে একাধিক প্রশ্ন।
জানা গিয়েছে, ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র শাওনের ওজন ছিল 80 কেজি। তাঁর সমপরিমাণ ওজনের বালির বস্তা, দড়ি দিয়ে বেঁধে জানলার রড থেকে ঝুলিয়ে দেখে নেন চিত্তকর্ষক সরকার নামে এক ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞ। এর পাশাপাশি, সোমবার দুপুরে আইআইটি খড়গপুরের আজাদ হলের তিনতলায় 302 নম্বর রুমে গিয়েও সবকিছু খতিয়ে দেখা হয়।
রবিবার এই রুম থেকেই আইআইটি খড়গপুরের ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের মেধাবী ছাত্র শাওন মালিকের ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার করেছিল পুলিশ। শাওনের বাবা রাজ্যের এক মন্ত্রীর আপ্ত সহায়ক বা ব্যক্তিগত সচিব। সোমবার দুপুর 3টে নাগাদ ঘটনার তদন্তের আসেন ফরেন্সিক দল। একটি বস্তাতে 80 কেজি বালি ভরে, ওপরে নিয়ে যাওয়া হয়। সঙ্গে নিয়ে যাওয়া হয় দড়ি। তারপর পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলে প্রায় আধ ঘণ্টা ধরে। যদিও বাইরে বেরিয়ে এসে এবিষয়ে কিছুই বলতে চাননি ফরেন্সিক দলের সদস্য ৷ মনে করা হচ্ছে এই পুনর্নির্মাণের সাহায্যে তদন্তে বেশ খানিকটা এগোতে পেরেছেন তদন্তকারীরা। তাঁদের হাতে আরও কয়েকটি সূত্র এসে পৌঁছেছে। আপাতত সেগুলির উপর নির্ভর করেই তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে।
প্রসঙ্গত, শাওনের বাড়ি পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার দাসপুর থানার খুকুড়দহ এলাকায়। বাবা স্বরূপ মালিক রাজ্যের তথ্য সংস্কৃতি দফতরের মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেনের আপ্ত সহায়ক। শাওন ছাত্র হিসেবেও মেধাবী ছিলেন ৷ সকল শিক্ষকের প্রিয় ছাত্র শাওন নাটকে অভিনয় করতে ভালোবাসতেন। এদিন মৃতদেহ ময়নাতদন্তের পর তাঁর দাসপুরে বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়।