কলকাতা, 10 অক্টোবর: এই বছর পুজোয় প্রতিদিনই বেশি রাত পর্যন্ত চলবে ফেরি পরিষেবা । এই প্রথমবার এই ব্যবস্থার সুবিধা পাবেন যাত্রীরা । রাত 11টা পর্যন্ত মিলবে লঞ্চ ।
পুজোর দিনগুলোয় সারারাত ফেরি পরিষেবার চাহিদা বরাবর ছিল যাত্রীদের মধ্যে ৷ তবে কোনওবারই সেই ব্যবস্থা রাখা হয়নি । এ বছর নিয়ম বদলেছে ৷ হুগলি নদী জলপথ পরিবহণ সমবায় সমিতির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, পুজোয় রাত 11টা পর্যন্ত চলবে ফেরি পরিষেবা ।
পুজোর সময় গ্রামবাংলার পুজো দেখতে যেমন বহু মানুষ চলে যান জেলায় জেলায়, তেমনই শহর কলকাতার থিমের পুজো আর বিভিন্ন ধরনের মণ্ডপসজ্জা দেখতে শহরতলি-সহ রাজ্যের দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ আসেন মহানগরীতে । দর্শনার্থীদের সুবিধার্থে সারারাত থাকে মেট্রো, ট্রেন ও নাইট সার্ভিস বাস পরিষেবা ৷ ঠিক সেরকমই বিশেষ ব্যবস্থা করে এবারের পুজোয় বেশি রাত পর্যন্ত চালানো হবে ফেরি ।
আজ মহাসপ্তমী ৷ শহর ও শহরতলির পুজো মণ্ডপগুলি দেখতে মহালয়ার পর থেকেই পথে নেমেছে মানুষের ঢল । পুজো দেখে যত রাতই হোক না কেন, নদী পেরিয়ে হাওড়া বা শিবপুরের দিকে যাওয়ার জন্য যাত্রীদের বেগ পেতে হয় ৷ তাই বরাবরই পুজোর ক'টা দিন যাতে ফেরি পরিষেবা দেওয়া হয়, সেই দাবি জানিয়ে আসছেন যাত্রীরা । তবে এতদিনে তাতে কোনও লাভ হয়নি ।
ইস্ট ওয়েস্ট মেট্রোর গ্রিন লাইন 2-এর পরিষেবা শুরু হওয়ার পর থেকেই ফেরিতে যাত্রীর সংখ্যা অনেকটাই কমে গিয়েছে । মেট্রোয় যত ভিড়ই থাকুক না কেন, 12 মিনিটে নির্ঝঞ্ঝাটে এপার থেকে ওপারে পৌঁছতে মানুষের এখন মেট্রোই ভরসা । তবে পুজোর ক'টা দিন যাত্রীর ভিড়ের কথা মাথায় রেখেই এ বছর প্রথমবার রাত 11টা পর্যন্ত ফেরি চালাবার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ।
ষষ্ঠী থেকেই এই পরিষেবা শুরু হয়েছে ৷ 12 অক্টোবর অর্থাৎ আগামী শনিবার পর্যন্ত লঞ্চ চলবে রাত 11টা পর্যন্ত । সাধারণত রাত আটটা পর্যন্তই চলাচল করে লঞ্চ । পুজোর দিনগুলিতে যাত্রীদের পারাপার করতে দুটি রুট মিলিয়ে থাকছে মোট পাঁচটি ভেসেল । হাওড়া ও বাগবাজারের মধ্যে চারটি ভেসেল পরিষেবা দেবে । এই রুটে ভেসেল থামবে আহেরীটোলা, গোলাবাড়ি ও শোভাবাজারে । প্রতি 15 মিনিট অন্তর পাওয়া যাবে ভেসেল ।
এছাড়াও একটি ভেসেল আহেরীটোলা ও গোলাবাড়ি রুটে পরিষেবা দেবে ৷ এই রুটে প্রতি 20 মিনিট অন্তর পাওয়া যাবে লঞ্চ ।
বুকিং ক্লাস টিকিট কালেক্টার মনোজ দুবে জানান যে, হাওড়া থেকে শেষ ভেসেলটি ছাড়বে রাত 11টার সময় এবং বাগবাজার থেকে শেষ ভেসেলটি ছাড়বে রাত 11.30টার সময় । আহেরীটোলা ও গোলাবাড়ি রুটে যাত্রী সংখ্যার উপর নির্ভর করবে লঞ্চ ছাড়ার সময় ।