হাওড়া, 14 ফেব্রুয়ারি: এই বছর সরস্বতী পুজো ও ভ্যালেন্টাইন্স-ডে অতীত। তারপরও কমছে না ফুলের দাম। ভরা ফাল্গুনের বিয়ের মরশুমে ফুল কিনতে দামের আগুনে রীতিমতো ছ্যাঁকা খাচ্ছে আমজনতা। এই বছরে অকাল বৃষ্টির কারণে বহু ফুলের গাছ নষ্ট হয়েছে। ধাক্কা খেয়েছে ফুল চাষ। ফুলের জোগান কমায় দাম বাড়ছে হুহু করে। আর তাতেই গৃহস্থ্যের হাতে ছ্যাঁকা লাগছে ফুলের দামে। অগত্যা কোপ পড়ছে ফুল ক্রেতাদের বাজেটে ৷ ফেব্রুয়ারি মাসে একদিকে বিবাহের মরশুম চলছে, এরই মধ্যে পড়েছে সরস্বতী পুজো। আবার সেই দিনেই ছিল ভ্যালেন্টাইন্স ডে। তাই বাজারে বেড়েছে ফুলের দাম।
তাই এবার সরস্বতী পুজো উদ্যোক্তা থেকে গৃহস্থ্যকে ফুল কিনতে অনেক বেশি টাকা খসাতে হয়েছে তা বলাই বাহুল্য। হাওড়ার ফুল বাজার জগন্নাথ ঘাট। সকাল থেকেই সেই ফুল বাজারে ক্রমশই ভিড় বাড়ে। কলকাতার সিঁথির মোড় থেকে জগন্নাথ ঘাটের ফুলের বাজারে এসেছিলেন সন্দীপন মণ্ডল। তিনি বলেন, "এবছর ফুলের দাম অনেক বেড়েছে। আমি আগেও এখান থেকে ফুল কিনেছি। এত দাম ছিল না। এই বছর অপ্রত্যাশিত ফুলের দাম ৷ খুবই চড়া। বাড়ির পুজার জন্য যতটুকু প্রয়োজন সেটুকুই কিনলাম।"
সন্দীপনের মতোই চড়া দামেই সরস্বতী পুজোর জন্য পদ্ম ও পলাশ ফুল কিনছেন অন্য ক্রেতারাও। বর্ধমান থেকে বন্ধুর বিবাহের ফুল কিনতে এসেছেন বিশ্বজিৎ। তিনি বলেন, "ফুলের যা দাম হাত দেওয়া যাচ্ছে না। গোলাপের মারাত্মক দাম। রজনীগন্ধা কেউ দেড়শো, কেউ আবার দু'শো টাকা দাম চাইছে। এই বছর অকাল বৃষ্টির জন্যই বাজারে ফুলের দাম এত চড়া।"
বিয়ের মরশুমে বিয়ে বাড়ির গাড়ি সাজানোর জন্য অনেকে ফুল কিনতে এসেছেন ফুল বাজারে। ক্রেতা-বিক্রেতা সকলেই স্বীকার করছেন ফুলের দাম এখন বেশি। চড়া দামেই তাকে কিনতে হচ্ছে ফুল। ফুলের দাম আরও বাড়বে বলেই দাবি বিক্রেতাদের। এখন মোটামুটি 400 টাকা বাসন্তী, 300 টাকা লাল ফুল, গোলাপ 100 পিস 400 টাকা দামে বিক্রি হলেও দাম আরও বাড়বে মনে করা হচ্ছে।
ফুল বিক্রেতা মন্টু নায়েক বলেন, "রাজ্যের বিভিন্ন জেলা থেকে মানুষ ফুল কিনতে আসেন। এবছর অকাল বৃষ্টির জন্য ফুলের গাছ নষ্ট হয়েছে। তাই ফুলের দাম চড়া।" অতএব উৎসবের মরশুমে মনের মতো ফুল কিনতে গেলে বেশ ভালো মতোই বেগ পেতে হচ্ছে পুজো উদ্যোক্তা-সহ ক্রেতাদের ৷
আরও পড়ুন: