কলকাতা, 27 সেপ্টেম্বর: তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম ব্যবহার করে আর্থিক প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে ৷ যাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি আবার কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমের ওএসডি ৷ কালীচরণ বন্দ্যোপাধ্যায় নামে ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে কলকাতার শেক্সপিয়র সরণি থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন অভিষেকের পার্ক স্ট্রিটের অফিসের এক আধিকারিক ৷
অভিষেক ও ফিরহাদ, দু’জনেই শাসক দলের হাই-প্রোফাইল নেতা ৷ ফলে এক নেতার ওএসডি-র বিরুদ্ধে অন্য নেতার নাম ভাঙিয়ে আর্থিক প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে শোরগোল স্বাভাবিকভাবেই পড়েছে ৷ এই নিয়ে কোনোপক্ষের তরফেই কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি ৷ এমনকী, কলকাতা পুলিশের শীর্ষকর্তারাও মুখে কুলুপ এঁটেছেন ৷ এই নিয়ে ইটিভি ভারত-এর তরফে প্রশ্ন করা হয় কলকাতা পুলিশের ডিসি (সাউথ) প্রিয়ব্রত রায়কে ৷ তিনি কোনও মন্তব্য করতে চাননি ৷
তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের এক আধিকারিক জানান, ফিরহাদ হাকিমের ওএসডি কালীচরণ বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচয় দিয়ে টাকা তুলেছেন । মূলত, সরকারি প্রকল্পের সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার নাম করে টাকা নেওয়া হয়েছে ৷ ক্যামাক স্ট্রিটে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অফিসে এই নিয়ে অভিযোগ জমা পড়ে ৷
তার পরই শুক্রবার পার্ক স্ট্রিটে থাকা অভিষেকের অফিসের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক শেক্সপিয়র সরণি থানায় গিয়ে লিখিতভাবে অভিযোগ দায়ের করেন । পাশাপাশি অভিযোগের প্রতিলিপি পাঠানো হয়েছে কলকাতা পুলিশের ডিসি (সাউথ) প্রিয়ব্রত রায় ও লালবাজারে ৷ তবে তিনি কতজনের সঙ্গে এমন প্রতারণা করেছেন, কত টাকা নেওয়া হয়েছে, সেই বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য এখনও পাওয়া যায়নি ৷ তবে পুলিশ এই নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে ৷
শুক্রবার সন্ধ্যায় এই নিয়ে আলিমুদ্দিন স্ট্রিটে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে সুজন চক্রবর্তী বলেন, "অভিযোগ পালটা অভিযোগ চলছে শাসকদলের মধ্যে । সেই তালিকায় নতুন যোগ হল, অভিযুক্ত ফিরহাদ হাকিম মানে তাঁর ওএসডি । অভিযোগ করেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় মানে তাঁরই অফিসের কর্মী । এটাই তৃণমূল । যে যত বড় নেতা, সে তত বড় চোর, তোলাবাজ ।’’
তিনি আরও বলেন, ‘‘গোটা রাজ্যজুড়ে এটাই চলছে । কখনও অভিযুক্ত যেমন ফিরহাদ হাকিম ও তাঁর বাহিনী । কখনও আবার অভিযুক্ত অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায় ও তাঁর বাহিনী । আর সবার মাথার উপরে হাত মুখ্যমন্ত্রীর । তাঁর চারপাশে যাঁরা আছেন, তাঁরা অপরাধী । ফিরহাদ হাকিমের চারপাশে যাঁরা আছেন, তাঁরা অপরাধী । অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের চারপাশে যাঁরা আছেন, তাঁরা অপরাধী । আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কী বলবেন ? তাই এসব হয়েছে ! কই জানি না তো ! এসব নাটক মানুষ ধরে ফেলেছে ।"