ETV Bharat / state

পুজোর মুখে বিধানমার্কেটে ভয়াবহ আগুন, ডাক পড়ল বিএসএফের - Siliguri Market Fire - SILIGURI MARKET FIRE

Fire at Bidhan Market: শিলিগুড়ির বিধানমার্কেটে ভয়াবহ আগুন । আগুনে ভস্মীভূত বেশ কয়েকটি দোকান । খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে দমকলের 4টি ইঞ্জিন ৷ পৌঁছয় বিএসএফ জওয়ানরাও ৷

Fire at Bidhan Market
বিধানমার্কেটে ভয়াবহ আগুন (নিজস্ব চিত্র)
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Sep 28, 2024, 11:49 AM IST

Updated : Sep 28, 2024, 7:13 PM IST

শিলিগুড়ি, 28 সেপ্টেম্বর: পুজোর আগে শিলিগুড়ির বিধানমার্কেটে ভয়াবহ আগুন । আগুনে ভস্মীভূত প্রায় 30টি দোকান । খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে দমকলের 4টি ইঞ্জিন ৷

পুলিশ সূত্রে খবর, শনিবার সকাল 11টা নাগাদ বিধানমার্কেটের একটি দশর্কমা ও কাপড়ের দোকানে আগুন লেগে যায় ৷ মুহুর্তের মধ্যে আশেপাশের দোকানে ছড়িয়ে পরে আগুনের লেলিহান শিখা ৷ পাশে থাকা কসমেটিকস, কাপড়ের দোকানে ওই আগুন ছড়িয়ে পরে ।

প্রথমে এলাকাবাসীরা ওই আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে । দমকলে খবর দেন তাঁরা ৷ স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রথমে ঘটনাস্থলে দমকলের দুটি ইঞ্জিন পৌঁছালেও তাতে জল ছিল না । এতে আগুন আরও ভয়াবহ আকার ধারন করে । মুহুর্তের মধ্য়ে আগুন আশেপাশের দোকানে ছড়িয়ে পরে । আগুনের গ্রাসে চলে যায় একে একে 30টি দোকান । এরপর ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকলের 4টি ইঞ্জিন ৷

পুজোর মুখে এই ঘটনায় আতঙ্কিত ব্যবসায়ীরা । কোটি কোটি টাকার লোকসান হওয়ায় মাথায় হাত পড়েছে তাঁদের । ঘটনায় দমকল ও প্রশাসনের গাফিলতির অভিযোগ তুলেছেন তাঁরা ৷ বিধানমার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সদস্য রাজু সাহা বলেন, "কীভাবে আগুন লাগলো, বোঝাই যাচ্ছে না । তবে দমকল আগুন নেভানোর কাজ করছে । বেশ কয়েকটি দোকান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ।"

এদিকে, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেব, ডেপুটি মেয়র রঞ্জন সরকার এবং শিলিগুড়ির বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ । ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য বিএসএফ আধিকারিকদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন শঙ্কর ঘোষ ।

এরপরই একটি ইঞ্জিন নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন বিএসএফ জওয়ানরা । বিএসএফ জওয়ানরাও দমকল কর্মীদের সঙ্গে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার কাজে ঝাঁপিয়ে পড়েন । প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টার প্রচেষ্টা পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে । আগুনে ক্ষতি হওয়া দোকানের মধ্যে বেশিরভাগ দশকর্মা, কাপড়, অলঙ্কার ও কসমেটিকসের দোকান ।

বিধানমার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি বাপি সাহা বলেন, "আমরা দীর্ঘদিনের দাবি, স্টেডিয়ামে একটি সাবস্টেশন তৈরি করা বা মার্কেটের আশেপাশে দমকলের ইঞ্জিন রাখার । এছাড়াও মার্কেটে দুর্ঘটনা এড়ানোর জন্য একটি জলের রিজার্ভার তৈরির দাবি জানানো হয়েছিল । কিন্তু আমাদের কেউ কথা শোনেনি । আর আমরা নাকি এখন কেউ বীমাও পাবো না । তাহলে এই ব্যবসায়ীদের কী হবে? আমাদের দাবি, সরকার পুজোর মুখে ব্যবসায়ীদের ক্ষতিপূরনের ব্যবস্থা করে দেয় ।"

বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ বলেন, "প্রশাসনের তো গাফিলতি রয়েছে । আগামীতে ব্যবসায়ীদের দাবি আদায়ের আন্দোলনে আমি তাঁদের পাশে থাকবো ।" শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেব বলেন, "অনেক ক্ষতি হয়েছে । কীভাবে আগুন লেগেছে সেটা খতিয়ে দেখা হবে । ব্যবসায়ীদের সাহায্যর চেষ্টা করব ।"

দমকল আধিকারিক ডি লেপচা বলেন, "সাতটি গাড়ি এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে । প্রথমে দুটি গাড়ি এসেছিল । সেটাতে কোনও সমস্যা হয়েছিল । কিন্তু পরে আমরা চারটে গাড়ি এনে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছি ৷ গতবারও এখানে আগুন লেগেছিল । এখানে যাতায়াতের একটা সমস্যা আছে । পাশাপাশি একটা রিজার্ভার হলে ভালো । আমরা আমাদের দফতরের তরফে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে চিঠি দিয়ে জানাবো ।"

শিলিগুড়ি, 28 সেপ্টেম্বর: পুজোর আগে শিলিগুড়ির বিধানমার্কেটে ভয়াবহ আগুন । আগুনে ভস্মীভূত প্রায় 30টি দোকান । খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে দমকলের 4টি ইঞ্জিন ৷

পুলিশ সূত্রে খবর, শনিবার সকাল 11টা নাগাদ বিধানমার্কেটের একটি দশর্কমা ও কাপড়ের দোকানে আগুন লেগে যায় ৷ মুহুর্তের মধ্যে আশেপাশের দোকানে ছড়িয়ে পরে আগুনের লেলিহান শিখা ৷ পাশে থাকা কসমেটিকস, কাপড়ের দোকানে ওই আগুন ছড়িয়ে পরে ।

প্রথমে এলাকাবাসীরা ওই আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে । দমকলে খবর দেন তাঁরা ৷ স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রথমে ঘটনাস্থলে দমকলের দুটি ইঞ্জিন পৌঁছালেও তাতে জল ছিল না । এতে আগুন আরও ভয়াবহ আকার ধারন করে । মুহুর্তের মধ্য়ে আগুন আশেপাশের দোকানে ছড়িয়ে পরে । আগুনের গ্রাসে চলে যায় একে একে 30টি দোকান । এরপর ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকলের 4টি ইঞ্জিন ৷

পুজোর মুখে এই ঘটনায় আতঙ্কিত ব্যবসায়ীরা । কোটি কোটি টাকার লোকসান হওয়ায় মাথায় হাত পড়েছে তাঁদের । ঘটনায় দমকল ও প্রশাসনের গাফিলতির অভিযোগ তুলেছেন তাঁরা ৷ বিধানমার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সদস্য রাজু সাহা বলেন, "কীভাবে আগুন লাগলো, বোঝাই যাচ্ছে না । তবে দমকল আগুন নেভানোর কাজ করছে । বেশ কয়েকটি দোকান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ।"

এদিকে, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেব, ডেপুটি মেয়র রঞ্জন সরকার এবং শিলিগুড়ির বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ । ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য বিএসএফ আধিকারিকদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন শঙ্কর ঘোষ ।

এরপরই একটি ইঞ্জিন নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন বিএসএফ জওয়ানরা । বিএসএফ জওয়ানরাও দমকল কর্মীদের সঙ্গে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার কাজে ঝাঁপিয়ে পড়েন । প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টার প্রচেষ্টা পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে । আগুনে ক্ষতি হওয়া দোকানের মধ্যে বেশিরভাগ দশকর্মা, কাপড়, অলঙ্কার ও কসমেটিকসের দোকান ।

বিধানমার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি বাপি সাহা বলেন, "আমরা দীর্ঘদিনের দাবি, স্টেডিয়ামে একটি সাবস্টেশন তৈরি করা বা মার্কেটের আশেপাশে দমকলের ইঞ্জিন রাখার । এছাড়াও মার্কেটে দুর্ঘটনা এড়ানোর জন্য একটি জলের রিজার্ভার তৈরির দাবি জানানো হয়েছিল । কিন্তু আমাদের কেউ কথা শোনেনি । আর আমরা নাকি এখন কেউ বীমাও পাবো না । তাহলে এই ব্যবসায়ীদের কী হবে? আমাদের দাবি, সরকার পুজোর মুখে ব্যবসায়ীদের ক্ষতিপূরনের ব্যবস্থা করে দেয় ।"

বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ বলেন, "প্রশাসনের তো গাফিলতি রয়েছে । আগামীতে ব্যবসায়ীদের দাবি আদায়ের আন্দোলনে আমি তাঁদের পাশে থাকবো ।" শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেব বলেন, "অনেক ক্ষতি হয়েছে । কীভাবে আগুন লেগেছে সেটা খতিয়ে দেখা হবে । ব্যবসায়ীদের সাহায্যর চেষ্টা করব ।"

দমকল আধিকারিক ডি লেপচা বলেন, "সাতটি গাড়ি এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে । প্রথমে দুটি গাড়ি এসেছিল । সেটাতে কোনও সমস্যা হয়েছিল । কিন্তু পরে আমরা চারটে গাড়ি এনে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছি ৷ গতবারও এখানে আগুন লেগেছিল । এখানে যাতায়াতের একটা সমস্যা আছে । পাশাপাশি একটা রিজার্ভার হলে ভালো । আমরা আমাদের দফতরের তরফে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে চিঠি দিয়ে জানাবো ।"

Last Updated : Sep 28, 2024, 7:13 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.