বগটুই, 13 মে: দেশজুড়ে সোমবার চলছে চতুর্থ দফার নির্বাচন ৷ এরমধ্যে বাংলার আটটি কেন্দ্রে নির্বাচন আজ ৷ বর্ধমান পূর্ব, বর্ধমান-দুর্গাপুর, আসানসোল, বীরভূম, বোলপুর, রানাঘাট, কৃষ্ণনগর ও বহরমপুর ৷ সকাল সাতটা থেকে ভোট শুরু হয়েছে দেশ তথা রাজ্য়জুড়ে ৷ কিন্তু ব্যতিক্রমী বাংলার এক কেন্দ্র ৷ বীরভূম লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত রামপুরহাট বিধানসভার বগটুই গ্রামের জুনিয়র গার্লস স্কুলের 149 নম্বর বুথে প্রথমে ভোট দিতে পারলেন না ৷ সেখানে ভোট শুরু হওয়ার আড়াই ঘণ্টা পর অর্থাৎ সকাল সাড়ে 9টার পর ভোটগ্রহণ চালু হয়। বুথে থাকা চারটি ইভিএম মেশিন বিকল হয়ে যায়।
বীরভূম তথা রাজ্যের রাজনীতিতেও বেশ চর্চিত এই বগটুই। এদিন সকাল সকাল ভোট দিতে এসে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হয় ভোটারদের ৷ কিছুক্ষণ পর এই কেন্দ্রের কংগ্রেস প্রার্থী মিল্টন রশিদ ওই বুথে গেলে তাঁকে ঘিরে ধরে ক্ষোভপ্রকাশ করেন তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা। প্রথমে তো অভিযোগ তোলেন কেন ভোট দিতে পারছেন না তাঁরা ৷ তারপর অভিযোগ তোলেন, মিল্টন বুথের সামনে এসে ভোটারদের প্রভাবিত করছিলেন। এরপরে অবশ্য মিল্টন এলাকা ছেড়ে চলে যান। হাত শিবিরের প্রার্থী মিল্টন বলেন, "ওরা ভুল বুঝেছে। আমি কংগ্রেস প্রার্থী। আমি সমস্ত বুথে যেতে পারি। ভোটারদের কোনওভাবেই প্রভাবিত করিনি।
প্রসঙ্গত, এই বগটুই গ্রামে তৃণমূল উপপ্রধান ভাদু শেখের খুনের বদলা নিতে একাধিক মহিলা-সহ শিশুকে খুন করে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। তারপর বহু ঘটনার সাক্ষী এই সংখ্যালঘু অধ্যষিত বগটুই গ্রাম। মুখমন্ত্রী মৃতদের পরিবারের 5 লক্ষ টাকা ও চাকরির ঘোষণা করেন। মাসখানেক আগে এই হত্যা কাণ্ডের পীড়িত অন্যতম সাক্ষী মিহিলাল শেখ বিজেপিতে যোগ দেয়। জেলার যে সমস্ত এলাকা সংখ্যালঘু অধ্যুষিত বলে পরিচিত তারমধ্যে একেবারে উপরের দিকে রয়েছে বগটুই। তাই এবার সেখানে ভোট কেমন হয় সেদিকে নজর সকলেরই।
আরও পড়ুন: