কলকাতা, 26 সেপ্টেম্বর: আরজি কর হাসপাতালের 13 জন অধ্যাপক চিকিৎসকের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ এনেছেন জুনিয়র ডাক্তাররা ৷ সেই অভিযোগ খতিয়ে দেখবে তদন্ত কমিটি ৷ বৃহস্পতিবার একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হয় একথা জানিয়েছে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ৷ বলা হয়েছে যে, তদন্ত রিপোর্টে যা উঠে আসবে, তা অবিলম্বে জানাতে হবে অধ্যক্ষ এবং উপাধ্যক্ষকে ৷ এদিকে, আরজি করে থ্রেট কালচারে অভিযুক্ত 11 জনকে আজ ডেকে পাঠানো হয়েছে ৷ পাশাপাশি চলছে জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলন ৷
তরুণী চিকিৎসকদের জন্য ন্যায়বিচারের দাবিতে 47 দিন ধরে চলছে আন্দোলন চালাচ্ছেন জুনিয়র ডাক্তাররা ৷ তারই মাঝে ধরনা মঞ্চেই চলছে পড়াশোনা ৷ কিঞ্জল নন্দ-সহ পিজিটির চিকিৎসক ছাত্রছাত্রীরা পড়াচ্ছেন ইউজি-র চিকিৎসক পড়ুয়াদের ৷
সরকারের সঙ্গে দীর্ঘ কথাচালাচালির পর কর্মবিরতি তুলে নিয়ে আংশিক ভাবে কাজে যোগ দিয়েছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা । তবে আন্দোলন এখনও চলছে ৷ স্বাস্থ্যভবনের সামনে থেকে অবস্থান উঠে এখন নিজ নিজ মেডিক্যাল কলেজগুলিতেই তাঁরা আন্দোলনে সামিল হয়েছেন । তবে আন্দোলনের কারণে পড়াশোনা থেমে নেই ৷ বৃহস্পতিবার ফের সেই চিত্রই ধরা পড়ল ৷ জুনিয়র চিকিৎসকদের যে ধরনা মঞ্চ, সেখানেই আন্দোলনের পাশাপাশি তাঁরা পড়াশোনায় মন দিয়েছেন ৷
সকাল থেকে ক্লাস চালু করেন পিজিটির আন্দোলনকারী চিকিৎসকরা । তাঁরা ওই মঞ্চে বসেই বিভিন্ন বিষয়ে ক্লাস নিচ্ছেন তাঁদের জুনিয়রদের । পিজিটির এক চিকিৎসক ছাত্র বলেন, "ওরা আন্দোলন করছে । ন্যায় বিচারের আন্দোলন । কিন্তু সামনে পরীক্ষা রয়েছে । তাই আমরা যেভাবে কাজে যোগ দিয়েছি, ওরাও সেভাবে পড়াশোনা শুরু করেছে । ন্যায়বিচারের পাশাপাশি এই আন্দোলন মঞ্চে তাই পড়াশোনা হচ্ছে ।" অন্যদিকে এক জুনিয়র চিকিৎসক অভিষেক মৈত্র জানান, "এখানে দাদা দিদিরা রয়েছে । তারাও আন্দোলন করছে । আমরাও আন্দোলনে আছি । সামনে পরীক্ষা, তাই দাদা দিদিদের থেকেই পড়াশোনার বিষয়টা বুঝে নিচ্ছি ।"
অন্যদিকে, বুধবারের পর বৃহস্পতিবার আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে থ্রেট কালচারের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে তদন্ত কমিটি ডেকে পাঠিয়েছে 11 জনকে । এই 11 জনের বিরুদ্ধেই 'হুমকির সংস্কৃতি' ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে । এঁরাও মূল অভিযুক্ত বলেই জানাচ্ছেন অভিযোগকারীরা । অভিযুক্তদের পাশাপাশি এদিনও ডেকে পাঠানো হয় অভিযোগকারীদের । দু'পক্ষকে সামনে রেখে চলছে তদন্ত । এই তদন্ত প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ শেষ হওয়ার পর হবে কলেজ কাউন্সিলের বৈঠক । সেই বৈঠকেই এঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে কলেজ কর্তৃপক্ষ ।