দুর্গাপুর, 6 জানুয়ারি: ইস্পাত কারখানার তালাবন্ধ আবাসনের ভিতর রহস্যজনকভাবে আগুন ৷ ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার সকালে দুর্গাপুর স্টিল টাউনশিপের কনিষ্ক রোডের 1/126 নম্বর আবাসনে ৷
প্রতিবেশীরা ঘরের ভেতর থেকে ধোঁয়া বেরোতে দেখে সেখানে আসেন । খবর যায় দমকল বিভাগ ও দুর্গাপুর থানার পুলিশের কাছে । পুলিশ ও দমকল বিভাগ ঘটনাস্থলে আসে । তারপর দমকলের প্রায় 5 ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয় ৷
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার দ্বিতল এই আবাসনটি গুরুপদ ও রুক্মিণী সেনগুপ্তের । তাঁর দুই ছেলে বাইরে চাকরি করেন । তাই তাঁরা এখানে থাকেন না । দীর্ঘ চার বছর ধরে তালা বন্ধ রয়েছে এই আবাসন ৷ সোমবার ওই আবাসনের পেছনের দরজা ভাঙা ছিল ৷ প্রচুর মদের বোতল এদিক ওদিক ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে থাকতে দেখা যায় ৷ প্রতিবেশীরা গত 10 দিন যাবৎ দেখছিলেন, বাড়ির ভেতরের আলো জ্বলছিল এবং নিভছিল ৷
এদিনের ঘটনার পর প্রশ্ন উঠেছে, তাহলে কি তালা বন্ধ এই ঘরে দুষ্কৃতীদের অবাধ আনাগোনা চলছিল কয়েকদিন ধরে ? আগুনে ঘরের ভেতরের আলমারি-সহ বিভিন্ন আসবাবপত্র পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে । আলমারির দরজা খোলা ছিল । তাহলে কী দুষ্কৃতীদের স্বর্গরাজ্য হয়ে উঠেছিল তালা বন্ধ এই আবাসনটি ?
স্থানীয় বাসিন্দা সুমন ঘোষালের কথায়, "গুরুপদ সেনগুপ্ত ও তাঁর স্ত্রী রুক্মিণী সেনগুপ্তর নামে এই আবাসন । তাঁর দুই ছেলে বাইরে চাকরি করার কারণে এই দ্বিতল আবাসন দীর্ঘদিন তালাবন্ধ । কীভাবে আগুন লাগল জানি না । বাড়ির ভেতরে যদি গ্যাস সিলিন্ডার থাকে আর তাতে যদি বিস্ফোরণ হয়, তাহলে লাগোয়া যে বাড়িগুলি তাও ক্ষতিগ্রস্ত হবে ।"
ঘটনাস্থলে বহু মানুষের উপস্থিতি দেখা যায় । দমকল বিভাগের কর্মীদের তালাবন্ধ বাড়িতে আগুন নেভাতে হিমশিম খেতে হয় । দুর্গাপুরের দমকল বিভাগের টিম লিডার বিবেককুমার মণ্ডল বলেন, "তালাবন্ধ ছিল ঘর । তবে পিছনের দরজার নীচে অনেকটা ফাঁকা ছিল, যা দিয়ে মানুষ যাতায়াত করতে পারবে । এই আবাসন 4 বছর বন্ধ পড়ে বলে জেনেছি । কীভাবে আগুন তা বোঝা যাচ্ছে না । প্রায় 5 ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে । একটা ইঞ্জিন নিয়ে কাজ করেছি ।"
দুর্গাপুরের এসিপি সুবীর রায় বলেন, "আমরা গোটা ঘটনা তদন্ত করে দেখছি । ঘটনাস্থলে অনেক মদের বোতল পড়েছিল বলেও আমরা জানতে পেরেছি ।"