কলকাতা, 3 মে: আটকে রাখা যাবে না কোনও 'নো ডিউস সার্টিফিকেট' ৷ বিজেপি প্রার্থী দেবাশিস ধরের ঘটনার প্রেক্ষিতে এবার কড়া নির্দেশিকা জারি করল নির্বাচন কমিশন ৷ প্রার্থীদের 'নো ডিউস সার্টিফিকেট' নিয়ে অবশেষে পদক্ষেপ করল নির্বাচন কমিশন। এই মর্মে শুক্রবার একটি নির্দেশিকাও জারি করা হয়েছে।
এর আগে সরকারি আবাসনে থেকেও 'নো ডিউস' বা ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট না দেখাতে পারায় বীরভূমের বিজেপি প্রার্থী দেবাশিস ধরের মনোনয়ন খারিজ হয়ে যায়। ওই ঘটনার প্রেক্ষিতেই নির্বাচন কমিশন স্পষ্ট করে জানিয়ে দিল, প্রার্থী হাওয়ার ক্ষেত্রে কারও কোনও 'নো ডিউস সার্টিফিকেট' আটকে রাখা যাবে না।
প্রসঙ্গত, গত 26 এপ্রিল বীরভূমের বিজেপি প্রার্থী দেবাশিস ধরের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়। স্ক্রুটিনির পরেই বাতিল হয় তাঁর মনোনয়ন। গত মার্চ মাসে রাজ্য সরকারি চাকরি থেকে ইস্তফা দেন আইপিএস দেবাশিস ধর। কিন্তু মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার সময় তিনি সরকারি আবাসনে ছিলেন ৷ এমনকী সেই সময় বিভিন্ন সরকারি দফতর থেকে যে 'নো ডিউস সার্টিফিকেট' জমা দিতে হয়, তা তিনি দিতে পারেননি। কারণ, রাজ্যে সরকারের পক্ষ থেকে তা তাঁকে দেওয়া হয়নি বলেই দাবি করা হয়েছে। ফর্ম 26 পূরণ করে হলফনামা জমা দেওয়ার নিয়ম রয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই দেবাশিস ধর তা জমা দিতে পারেননি। আর সেই ভিত্তিতেই তাঁর মনোনয়ন খারিজ হয় বলে জানা গিয়েছে।
জনপ্রতিনিধিত্ব আইনের 36 নম্বর ধারা অনুযায়ী, দেবাশিস ধরের মনোনয়ন বাতিল করা হয়। এরপর মনোনয়ন বাতিলের পরেই সেই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে প্রথমে হাইকোর্ট পরে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন দেবাশিস ধর। তবে তাঁর এই আবেদন গ্রহণ করতে অস্বীকার করে দেশের সর্বোচ্চ আদালত। বিজেপির হয়ে লোকসভায় লড়াই করার আগে কোচবিহারের পুলিশ সুপার ছিলেন আইপিএস দেবাশিস ধর। 2021-এর বিধানসভা ভোটে শীতলকুচি কাণ্ডে তাঁকে সাসপেন্ড করা হয়। পরে সাসপেনশন প্রত্যাহার করা হলেও কম্পালসরি ওয়েটিংয়ে রাখা হয় দেবাশীষ ধরকে। দেবাশিস ধরের বিরুদ্ধে রাজ্য সরকারের বিভাগীয় তদন্তও চলছে। কাজ থেকে ইস্তফা দিলেও সরকারিভাবে তাঁকে এখনও ছাড়া হয়নি বলেই জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন
রাজ্যপাল-কাণ্ডে কী কী আইনি জটিলতার সামনে রাজ্য? রইল বিস্তারিত বিশ্লেষণ