কলকাতা, 12 নভেম্বর: বাংলাদেশি মহিলাদের কাজের প্রলোভন দেখিয়ে ভারতে পাচারের অভিযোগ ৷ তাও আবার চোরাপথে ঝাড়খণ্ড হয়ে পশ্চিমবঙ্গে নিয়ে আসা হচ্ছে ৷ আর এই মামলার তদন্তে নেমে উত্তর 24 পরগনার মধ্যমগ্রাম, বনগাঁ, ব্যারাকপুর-সহ 12টি জায়গায় আজ তল্লাশি অভিযানে নামে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট ৷ মধ্যমগ্রাম থেকে একজনকে আটক, অন্যজনকে গ্রেফতার করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ৷
মধ্যমগ্রামে পিংকি বসু নামে এক মহিলার ফ্ল্যাটে আজ সকালে হানা দেয় ইডি-র একটি দল ৷ দীর্ঘক্ষণ তল্লাশি ও জিজ্ঞাসাবাদের পর পিংকি এবং তাঁর এক সঙ্গীকে গ্রেফতার করে সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন ইডি-র আধিকারিকরা ৷ তদন্তকারীদের অনুমান, ধৃত পিংকি বসুর বাড়িতেই বাংলাদেশ থেকে পাচার করে নিয়ে আসা মহিলাদের রাখা হয়েছিল ৷ এরপর বিভিন্ন অসাধু কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে তাঁদের ৷ এমনকি অনেককে পাচারও করে দেওয়া হয়েছে ৷
ইডি সূত্রে খবর, মূল অভিযোগটি দায়ের হয়েছিল ঝাড়খণ্ডের বারিয়াতু থানায় ৷ জানা গিয়েছে, যে সকল মহিলাদের বাংলাদেশ থেকে পাচার করা হয়েছিল ৷ তাঁদের কয়েকজন ঝাড়খণ্ডে পাচারকারীদের হাত থেকে পালিয়ে বাঁচেন ৷ এরপরেই তাঁরা পুলিশের সাহায্য নেন ৷ জানা যায়, কোটি টাকার লেনদেনের মাধ্যমে তাঁদের ভারতে বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে ৷ এরপরেই তদন্তভার ইডি-র হাতে যায় ৷
তদন্তে নেমে ইডির আধিকারিকরা পশ্চিমবঙ্গের যোগসূত্র পান ৷ আর তারপরেই আজ উত্তর 24 পরগনার একাধিক এলাকায় হানা দিয়েছে ইডি-র তদন্তকারী দল ৷ রাজ্যের মোট 12টি জায়গায় তল্লাশি চলছে ৷ ইডি সূত্রে খবর, এই রাজ্য ও ঝাড়খণ্ড মিলিয়ে মোট 17টি জায়গায় এই তল্লাশি চলছে ৷ রাজ্যের যে জায়গাগুলির নাম এই মুহূর্তে জানা গিয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে মধ্যমগ্রাম, বনগাঁ ও ব্যারাকপুর ৷
এই পাচার-কাণ্ডের তদন্তে নেমে ইডি আধিকারিকদের হাতে একাধিক আর্থিক লেনদেনের তথ্য উঠে এসেছে ৷ কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার গোয়েন্দাদের দাবি, পাচার চক্রের তরফে একাধিক অ্যাকাউন্টে টাকা ট্রান্সফার করা হয়েছে ৷ মূলত, অর্থের বিনিময়ে সেই মহিলাদের পাচার করা হয়েছিল ৷ সেই পাচারের টাকাই একাধিক ব্যাংক অ্যাকউন্টে গিয়েছে ৷ সেই সব অ্যাকাউন্ট হোল্ডারদের নাম ইডি আধিকারিকদের হাতে এসেছে ৷ যার মধ্যে উত্তর 24 পরগনার কয়েকজন ব্যবসায়ী রয়েছেন ৷