কলকাতা, 14 ফেব্রুয়ারি: রেশন দুর্নীতির তদন্তে নেমে ইডি আধিকারিকরা জানতে পেরেছেন ধৃত শঙ্কর আঢ্য ঘনিষ্ঠ বিশ্বজিত দাসের বিদেশি মুদ্রা কেনাবেচা ও সোনার ব্যবসা রয়েছে । এছাড়াও এক্সপোর্ট এবং ইমপোর্টের সংস্থাও রয়েছে । ইডি-র সন্দেহ এই সংস্থার মাধ্যমেই বিপুল পরিমাণ রেশন দুর্নীতির টাকা বিদেশে পাচার হয়ে গিয়েছে । ইডি সূত্রে খবর, হাওয়ালা সংক্রান্ত প্রচুর নথি উদ্ধার হয়েছে । পাশাপাশি এই ধরনের লেনদেনের সঙ্গে জড়িত এমন অন্য কয়েকজন ব্যবসায়ীরও নাম পেয়েছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা ৷
মঙ্গলবার সাত সকালে ইডির গোয়েন্দারা সল্টলেক-সহ মোট 6টি জায়গায় ম্যারাথন তল্লাশিতে নামেন । তার মধ্যে অন্যতম হল বিশ্বজিত দাসের বাড়ি । রাতভর জিজ্ঞাসাবাদের পর তদন্তে অসহযোগিতা এবং বক্তব্যে অসঙ্গতি থাকায় গ্রেফতার করা হয় বিশ্বজিৎ দাসকে । ইডি সূত্রে খবর, তাঁর বাড়িতে তল্লাশি চলাকালীন বিপুল পরিমাণ হাওয়ালা সংক্রান্ত নথি উদ্ধার হয়েছে। এই নিয়ে রেশন দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতারের সংখ্যা বেড়ে হল 4 জন ।
এর আগে রেশনদুর্নীতির তদন্তে নেমে উত্তর 24 পরগনার একাধিক ব্যবসায়ীদের মধ্যে বাকিবুর রহমান নামে এক ব্যবসায়ীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ইডি ৷ বক্তব্যে অসঙ্গতি থাকায় তাঁকে গ্রেফতার করেন তদন্তকারীরা । এরপর জেরা করে নিজেদের হেফাজতে নিতেই উঠে আসে রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের নাম । পরে মন্ত্রীও গ্রেফতার হন ৷ তাঁকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার পরেই বনগাঁ পৌরসভার চেয়ারম্যান শংকর আঢ্যের বাড়িতে পৌঁছে যান তদন্তকারীরা ৷ রাতভর জিজ্ঞাসাবাদের পর তাঁকেও গ্রেফতার করা হয় ।
এবার এই শঙ্করকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তদন্তকারীরা যে কয়েকজন ব্যবসায়ীর নাম পান তাঁদের মধ্যে অন্যতম হলেন বিশ্বজিৎ দাস । বক্তব্যে অসঙ্গতি মেলায় তাঁকেও গ্রেফতার করা হয় ৷ এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট সূত্রের খবর, বিশ্বজিৎ দাসের সঙ্গে বেশ কয়েকজন অন্য ব্যবসায়ীও এই রেশন দুর্নীতিকাণ্ডে যুক্ত রয়েছেন ৷ তাঁদের সকলকে একে একে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
আরও পড়ুন :