ETV Bharat / state

রেশন দুর্নীতি কাণ্ডে শংকর আঢ্য ঘনিষ্ঠ বিশ্বজিৎ দাসকে গ্রেফতার করল ইডি

Ration corruption case: রেশন দুর্নীতি কাণ্ডে শংকর আঢ্যের ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী বিশ্বজিৎ দাসকে গ্রেফতার করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট ৷ তিনি জিজ্ঞাসাবাদের সময় বেশ কিছু প্রশ্ন এড়িয়ে গিয়েছিলেন বলে অভিযোগ ৷

ETV BHARAT
ETV BHARAT
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Feb 14, 2024, 11:52 AM IST

কলকাতা, 14 ফেব্রুয়ারি: রেশন দুর্নীতি কাণ্ডে এ বার এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের জালে আরও এক । ধৃত শংকর আঢ্যর ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী বিশ্বজিৎ দাসকে গতকাল টানা জিজ্ঞাসাবাদের পর আজ সকালে তাঁকে গ্রেফতার করে ইডি ৷

জানা গিয়েছে, রেশন দুর্নীতিতে যে কোটি কোটি কালো টাকা আসত, সেই কালো টাকার নিজের ফরেন এক্সেঞ্জ কোম্পানিতে খাটাতেন বিশ্বজিৎ দাস । গতকাল সকাল থেকেই ইডির ম্যারাথন তল্লাশি চলে শহরের মোট ছ'টি জায়গায় ৷ আর তার মধ্যে অন্যতম জায়গা ছিল বিশ্বজিৎ দাসের আবাসন । সূত্রের খবর, এই বিশ্বজিৎ দাস মূলত ফরেন মানি এক্সচেঞ্জের ব্যবসায় যুক্ত ছিলেন এবং শংকর আঢ্যর সঙ্গে একাধিক ব্যবসাতেও তিনি যুক্ত হয়েছিলেন ।

শংকর আঢ্যকে রেশন দুর্নীতি কাণ্ডে জিজ্ঞাসাবাদের পর তাঁকে গ্রেফতার করে লাগাতার জেরার মাধ্যমে তদন্তকারীরা এই বিশ্বজিৎ দাসের নাম পান । গতকাল সকাল থেকেই বিশ্বজিৎ দাসকে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় এবং তাঁর একাধিক মোবাইল ফোন ল্যাপটপ এবং কাগজপত্র বাজেয়াপ্ত করেন তদন্তকারীরা । বেশকিছু প্রশ্ন করা হয় বিশ্বজিৎ দাসকে ৷ তবে সেই প্রশ্ন বিশ্বজিৎ দাস সুকৌশলে এড়িয়ে যান বলে ইডি সূত্রে খবর ৷ তাঁর বক্তব্যে একাধিক অসঙ্গতি থাকায় এবং বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর না মেলায় অবশেষে বিশ্বজিৎ দাসকে গ্রেফতার করে ইডি ।

ইডি সূত্রে খবর, বিশ্বজিৎ দাসের আবাসন থেকে একাধিক ল্যাপটপ, মোবাইল ফোন, সিম কার্ড এবং বিভিন্ন নথিপত্র পাওয়া গিয়েছে । এই সব নথিপত্র ঘেঁটে তদন্তকারীরা অনুমান করছেন যে, ফরেন মানি এক্সচেঞ্জের মাধ্যমে রেশন দুর্নীতির যে কোটি কোটি কালো টাকা উৎপাদন হত, সেই কোটি কোটি কালো টাকা তাঁর সংস্থায় খাটানো হত এবং সেইগুলি পরে সাদা টাকায় রূপান্তরিত করতে শংকর আঢ্য এবং জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে একপ্রকার সাহায্য করতেন বিশ্বজিৎ দাস । তাঁকে গ্রেফতারের পর হেফাজতে নিয়ে লাগাতার জেরা করতে চায় ইডি ৷

আরও পড়ুন:

  1. হেফাজতে থেকে কাগজ-কলম কিভাবে পেলেন জ্যোতিপ্রিয়, প্রশ্ন তুললেন শংকর আঢ্য
  2. শংকর আঢ্যের অফিস থেকে উদ্ধার বিদেশি মুদ্রা, কীভাবে এল এত টাকা; তদন্তে ইডি
  3. বিরোধীদের হয়ে কাজের প্রমাণ দিলে নাকখত দেব : শংকর আঢ্য

কলকাতা, 14 ফেব্রুয়ারি: রেশন দুর্নীতি কাণ্ডে এ বার এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের জালে আরও এক । ধৃত শংকর আঢ্যর ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী বিশ্বজিৎ দাসকে গতকাল টানা জিজ্ঞাসাবাদের পর আজ সকালে তাঁকে গ্রেফতার করে ইডি ৷

জানা গিয়েছে, রেশন দুর্নীতিতে যে কোটি কোটি কালো টাকা আসত, সেই কালো টাকার নিজের ফরেন এক্সেঞ্জ কোম্পানিতে খাটাতেন বিশ্বজিৎ দাস । গতকাল সকাল থেকেই ইডির ম্যারাথন তল্লাশি চলে শহরের মোট ছ'টি জায়গায় ৷ আর তার মধ্যে অন্যতম জায়গা ছিল বিশ্বজিৎ দাসের আবাসন । সূত্রের খবর, এই বিশ্বজিৎ দাস মূলত ফরেন মানি এক্সচেঞ্জের ব্যবসায় যুক্ত ছিলেন এবং শংকর আঢ্যর সঙ্গে একাধিক ব্যবসাতেও তিনি যুক্ত হয়েছিলেন ।

শংকর আঢ্যকে রেশন দুর্নীতি কাণ্ডে জিজ্ঞাসাবাদের পর তাঁকে গ্রেফতার করে লাগাতার জেরার মাধ্যমে তদন্তকারীরা এই বিশ্বজিৎ দাসের নাম পান । গতকাল সকাল থেকেই বিশ্বজিৎ দাসকে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় এবং তাঁর একাধিক মোবাইল ফোন ল্যাপটপ এবং কাগজপত্র বাজেয়াপ্ত করেন তদন্তকারীরা । বেশকিছু প্রশ্ন করা হয় বিশ্বজিৎ দাসকে ৷ তবে সেই প্রশ্ন বিশ্বজিৎ দাস সুকৌশলে এড়িয়ে যান বলে ইডি সূত্রে খবর ৷ তাঁর বক্তব্যে একাধিক অসঙ্গতি থাকায় এবং বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর না মেলায় অবশেষে বিশ্বজিৎ দাসকে গ্রেফতার করে ইডি ।

ইডি সূত্রে খবর, বিশ্বজিৎ দাসের আবাসন থেকে একাধিক ল্যাপটপ, মোবাইল ফোন, সিম কার্ড এবং বিভিন্ন নথিপত্র পাওয়া গিয়েছে । এই সব নথিপত্র ঘেঁটে তদন্তকারীরা অনুমান করছেন যে, ফরেন মানি এক্সচেঞ্জের মাধ্যমে রেশন দুর্নীতির যে কোটি কোটি কালো টাকা উৎপাদন হত, সেই কোটি কোটি কালো টাকা তাঁর সংস্থায় খাটানো হত এবং সেইগুলি পরে সাদা টাকায় রূপান্তরিত করতে শংকর আঢ্য এবং জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে একপ্রকার সাহায্য করতেন বিশ্বজিৎ দাস । তাঁকে গ্রেফতারের পর হেফাজতে নিয়ে লাগাতার জেরা করতে চায় ইডি ৷

আরও পড়ুন:

  1. হেফাজতে থেকে কাগজ-কলম কিভাবে পেলেন জ্যোতিপ্রিয়, প্রশ্ন তুললেন শংকর আঢ্য
  2. শংকর আঢ্যের অফিস থেকে উদ্ধার বিদেশি মুদ্রা, কীভাবে এল এত টাকা; তদন্তে ইডি
  3. বিরোধীদের হয়ে কাজের প্রমাণ দিলে নাকখত দেব : শংকর আঢ্য
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.