কলকাতা, 31 জুলাই: ধীরে ধীরে শান্ত হচ্ছে বাংলাদেশ ৷ তা সত্ত্বেও বর্তমান পরিস্থিতির দিকে নজর রেখে যাত্রী নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে মৈত্রীর পর বাতিল করা হল বন্ধন এক্সপ্রেস । 1 অগস্ট বৃহস্পতিবার বন্ধ থাকবে দু'দেশের সংযোগকারী এই ট্রেন ৷ তবে যাত্রীদের টিকিটের পুরো টাকা ফিরিয়ে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে ভারতীয় রেল ৷ তবে সে ক্ষেত্রে মানতে হবে বেশ কয়েকটি শর্ত ৷
শর্তগুলি হল :
- কলকাতার বিশেষ কয়েকটি টিকিট কাউন্টার থেকে কেনা টিকিটের সম্পূর্ণ অর্থ ফেরত করা হবে ।
- শুধুমাত্র কলকাতার বিশেষ টিকিট কাউন্টারগুলিতেই এটি প্রদান করা হবে ৷
- টিকিট হারিয়ে গেলে টাকা ফেরানো হবে না।
- বিদেশি পর্যটকদের ক্ষেত্রে কাউন্টারে পিআরএসের সময়ের মধ্যেই টিকিটের সম্পূর্ণ অর্থ ফেরত দেওয়া হবে । টিডিআর ইস্যু করা হবে না ।
অনেকটাই স্বাভাবিক হচ্ছে বাংলাদেশের পরিস্থিতি । সরকারি চাকরিতে মুক্তি যোদ্ধাদের পরিবারকে অনেক বেশি মাত্রায় সংরক্ষণ দেওয়ার প্রতিবাদে কিছুদিন আগে পর্যন্ত ছাত্র আন্দোলনের জেরে অশান্ত হয়েছিল বাংলাদেশ । জারি করা হয়েছিল কারফিউ ৷ বন্ধ ছিল ইন্টারনেট পরিষেবাও ৷ তবে ধীরে ধীরে পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে ৷ তা সত্ত্বেও যাত্রীদের সুরক্ষার বিষয়ে কোনওরকম ঝুঁকি নিতে চায় না দু'দেশের সরকার ৷ তাদের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখেই আগামিকাল অর্থাৎ 1 অগস্ট বৃহস্পতিবার বন্ধন এক্সপ্রেসের পরিষেবা বাতিল করা হয়েছে ৷ এদিন 13129 কলকাতা-খুলনা বন্ধন এক্সপ্রেস চলবে না ৷ ঠিক একইভাবে 13130 খুলনা থেকে কলকাতাগামী বন্ধন এক্সপ্রেসও বাতিল করা হয়েছে ৷
উল্লেখ্য, এই ট্রেনটি বাণিজ্যিকভাবে যতটা সফল ততটাই জনপ্রিয় । যাত্রীদের মধ্যে স্বাভাবিকভাবে এই ট্রেনের চাহিদাও খুব বেশি । বাংলাদেশ থেকে বহু মানুষ এদেশে চিকিৎসার জন্য আসেন । যাঁদের মধ্যে বেশিরভাগই মধ্যবিত্ত ৷ তাই এতদিন পর্যন্ত মৈত্রী ও বন্ধন এই দু'টি ট্রেন বন্ধ থাকায় তাঁদের বিমানের উপরেই নির্ভর করতে হচ্ছে, যা অনেকটাই খরচ সাপেক্ষ ৷ অন্যদিকে, স্থলপথে আসতে গেলে অনেকটা সময় লেগে যায় ভারত পৌঁছতে । তাই যাঁরা গুরুতর অসুস্থ, তাঁদের পক্ষে এটা বেশ ধকলের হয়ে পড়ে ৷ তাই এবার সেইসব যাত্রীরা যে উপকৃত হবেন, তা বলাই বাহুল্য ৷
কলকাতা স্টেশন থেকে পেট্রাপোল-বেনাপোল হয়ে খুলনা পৌঁছয় বন্ধন এক্সপ্রেস ৷ এই ট্রেনের টিকিট সংগ্রহ করতে হয় বৈদেশিক কাউন্টার রয়েছে এমন স্টেশন থেকে । টিকিট কাটার সময় দেখাতে হবে পাসপোর্ট, ভিসা ও বাকি বৈধ কাগজপত্র ।