কলকাতা, 26 মার্চ: আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের দিন ঘোষণা হয়ে গিয়েছে । তার আগেই তৃণমূলের জনগর্জন সভা থেকে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের প্রার্থী ঘোষণা করেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় । দমদম লোকসভা কেন্দ্রের জন্য আবারও তাঁরা ভরসা করছেন অধ্যাপক সৌগত রায়ের উপর । দীর্ঘ 15 বছর ধরে দমদম লোকসভার দায়িত্ব সামলে চলেছেন তিনি । এ বছর ফের তিনি প্রার্থী । দীর্ঘ সাংসদ জীবনে কতটা সফল সৌগত রায় ? তারই হিসেব নিকেশ খতিয়ে দেখা যায় ৷
দীর্ঘ 15 বছর ধরে কী কী করেছেন দমদমের সাংসদ ? তাঁর খতিয়ান দিলেন তিনি নিজেই । করোনার জন্য প্রথম দু'বছর টাকা পাওয়া যায়নি ৷ সেই কারণে এমপি তহবিলের 25 কোটি টাকার বদলে 17 কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছিল সৌগত রায়ের নামে ৷ এমপি ল্যাডের হিসেব বলছে, দমদম কেন্দ্রে এই 17 কোটির মধ্যে থেকে 9.50 কোটি টাকা এসেছে সৌগত রায়ের হাতে ৷ তবে সেই টাকা থেকেও 2.42 কোটি টাকা খরচ হয়নি ৷ যদিও বিদায়ী সাংসদের দাবি, পুরো টাকাই তিনি এলাকার উন্নয়নে খরচ করেছেন ৷ সেই টাকা কোন কোন খাতে বরাদ্দ করেছেন, এ প্রশ্নের জবাবে সাংসদ বলেন,
* স্কুল, কলেজ ও হাসপাতালগুলিতে টাকা দেওয়া হয়েছে ।
* বিভিন্ন পৌর এলাকার জনপ্রতিনিধিদের এলাকার উন্নয়নের জন্য অর্থ দেওয়া হয়েছে ।
* সংসদে 195টি বক্তৃতায় অংশ নেন এবং 350টি প্রশ্ন তুলেছেন । সংসদে উপস্থিত থেকেছেন 82 শতাংশ দিন ।
এর মাঝেও বেশকিছু কাজ তাঁর বাকি রয়ে গিয়েছে বলে জানালেন দমদমের তৃণমূল প্রার্থী । এই বার তিনি জিতলে কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ের সঙ্গে বেলঘড়িয়া এক্সপ্রেসওয়েকে যোগ করবেন বলে জানান সৌগত রায় । তাঁর সঙ্গে দমদম স্টেশনের অন্তর্গত যে ওভারব্রিজ রয়েছে তাও সারাই করা হবে । ওই বিষয়ে তিনি বলেন, "রেলের সঙ্গে আমি কথা বলেছি । কিছু কাজ হয়েছে, বাকিটা করব । সাংসদ তহবিলে যে অর্থ আসে, সেখান থেকেই ছোট ছোট কাজগুলো করব ।" সাংসদ হিসেবে নিজেকে 100 তে 80 থেকে 90 নম্বর দিচ্ছেন এই অধ্যাপক নেতা ৷
সাংসদ নিজেকে প্রায় 90 নম্বর দিলেও তাঁর কেন্দ্রের ভোটারদের অনেকের কাছেই তিনি শূন্য । দমদম লোকসভা কেন্দ্রের বাসিন্দা প্রিয়াঙ্কা পাল বলেন, "আমাদের কাছে উনি বড় শূন্য । এখানে সব থেকে বড় সমস্যা বাগজোলা খাল । তার কোনও সমাধান হয়নি ৷ আর এই কিছুদিন আগে ভোটের জন্য ব্রিজটা সারাই করলেন ।"
মহারাজ সরকার নামে আর এক ভোটারের কথায়, "সৌগত রায় নামটা আমাদের এখানে কলুষিত নাম । উনি নাকি উন্নয়নের কাণ্ডারী । কী উন্নয়ন করেছেন ? আমাদের চোখে পড়েনি ৷" আরেক ভোটার গৌরাঙ্গ পালের কথায়, "এই খালে বর্ষায় কোমর পর্যন্ত জল হয়ে যায় । সোজা রাস্তা ঘুরে আসতে হয় মানুষকে । হাসপাতাল বলতে গেলে সেই আরজিকর । কাছে-পিঠে সরকারি হাসপাতালও নেই ।"
আরও পড়ুন: