কলকাতা, 14 জুন: নাবালকের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে ধুন্ধুমার কাণ্ড ৷ চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ তুলে বেসরকারি হাসপাতালে ভাঙচুর চালাল উত্তেজিত জনতা ৷ ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার হাওড়ার বাঁকড়ায় ৷ পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি সামাল দেয় ৷ দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায় ৷ মৃত বালকের নাম গলু আনসারী (12) ।
জানা গিয়েছে, মামার বাড়িতে পুকুরে স্নান করতে গিয়ে জলে ডুবে যায় ওই কিশোর ৷ এরপর তাকে তড়িঘড়ি উদ্ধার করে স্থানীয় বাঁকড়া কবর পাড়া এলাকায় এক বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসা হয় । সেখানে ওই নাবালককে মৃত বলে ঘোষণা করেন হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা । যদিও পরিবারের তরফ থেকে দাবি করা হয়, গলুর দেহে তখনও প্রাণ রয়েছে ৷ আর সেই বিশ্বাস থেকেই বালককে সেখান থেকে বের করে স্থানীয় আরেকটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় । যদিও সেইখানেও চিকিৎসকেরা গলু আনসারীকে মৃত বলেই ঘোষণা করেন ।
মৃতের পরিবারের দাবি, গলুর দেহ বাড়িতে নিয়ে আসা হলে সে আচমকাই হেঁচকি তোলে ৷ তারপর আর কোনও সাড়া পাওয়া যায়নি । এই ঘটনায় প্রতিবেশী-সহ পরিবারের লোকজন বেসরকারি হাসপাতালকে কাঠগড়ায় তোলে ৷ প্রথমে নাবালককে যে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল সেখানে ভাঙচুর চালানো হয় ৷ পরিবারের অভিযোগ, বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকেরা ভালো করে নাবালককে পরীক্ষা করে দেখেননি । হাসপাতালে নিয়ে আসার পরও নাবালকের দেহে প্রাণ ছিল বলেই দাবি করে মৃতের পরিবার । হাসপাতালে ভাঙচুরের ঘটনার খবর পেয়ে সেখানে আসে ডোমজুড় থানার পুলিশ । বালকের দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয় ৷
ঠিক কী কারণে গলুর মৃত্যু হল ময়নাতদন্তের পরই তা সঠিকভাবে জানা সম্ভব হবে বলে মনে করছে ডোমজুড় থানার পুলিশ । ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাপা উত্তেজনা রয়েছে হাওড়ার বাঁকড়া কবর পাড়া এলাকাতে । মৃতের পরিবার সূত্রে জানা যাচ্ছে, গলু তার মামার বাড়িতে থেকে পড়াশুনা করত । ছেলেটির আসল বাড়ি বাঁকড়া দোতলা মোড় এলাকাতে ।