আসানসোল, 17 জুন: পরিত্যক্ত খাদান থেকে ফের মৃতদেহ উদ্ধার । আত্মহত্যা, দুর্ঘটনা নাকি খুন তা নিয়ে ধোঁয়াশায় পুলিশ । পাশাপাশি প্রশ্ন উঠল, ইসিএলের এই পরিত্যক্ত খনিগুলিকে কেন বুজিয়ে ফেলা হচ্ছে না ? সোমবার দুপুরে ইসিএলের পরিত্যক্ত চানক (খনিগর্ভ) থেকে এক যুবকের পচাগলা মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনাতেই এই সব প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে ।
ঘটনাটি ঘটেছে আসানসোল দক্ষিণ থানার সাউথ পুলিশ পোস্টের কুমারপরের তিলাবাঁধ এলাকায় ৷ মৃতের পরিচয় এখনও পাওয়া যায়নি । বয়স আনুমানিক 30 বছর । জানা গিয়েছে, সোমবার দুপুরে আসানসোলের কুমারপুরের তিলাবাঁধ এলাকায় বেশ গভীর পরিত্যক্ত চানকের মধ্যের জলে মৃতদেহ ভাসতে দেখা যায় । প্রথমে এলাকাবাসীরাই মৃতদেহটি দেখেন । এরপর বাসিন্দাদের কাছ থেকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে আসানসোল দক্ষিণ থানা (পিপি) পুলিশ ।
ডেকে পাঠানো হয় সীতারামপুর ইসিএলের মাইনস রেসকিউ স্টেশনের টিম ও দমকলবাহিনীকে । শেষ পর্যন্ত বিকেলে ইসিএলের রেসকিউ টিম ও দমকলকর্মীদের চেষ্টায় চানকের জল থেকে মৃতদেহটি উদ্ধার করা হয় । এরপর পুলিশ দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য আসানসোল জেলা হাসপাতালে পাঠায় ।
টাটা স্টিলের ইতিহাসে প্রথম মহিলা খনি ইঞ্জিনিয়ার গায়েত্রী, জীবন কাটে ভূগর্ভে
পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার সকালে আসানসোল জেলা হাসপাতালে অজ্ঞাত পরিচয় ওই যুবকের মৃতদেহের ময়নাতদন্ত হবে । প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে, 10 থেকে 12 দিন আগে পরিত্যক্ত চানকের জলে পড়ে ওই যুবকের মৃত্যু হয়েছে । যে কারণে দেহে পচন ধরেছে । এই ঘটনায় একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা করা হয়েছে ।
তবে কীভাবে এই মৃত্যু হল তা নিয়ে ধোঁয়াশায় পুলিশ । আসানসোল দক্ষিণ থানার পুলিশ জানিয়েছে, মৃতদেহের ময়নাতদন্তের পরেই মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে । অন্যদিকে, ইসিএলের কয়লা খাদানগুলি কেন পরিত্যক্ত অবস্থায় বিপজ্জনক হয়ে পড়ে আছে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে ।