দার্জিলিং, 9 জুলাই: নদী পেরিয়ে ধান রোপণ করে ফেরার সময় খরস্রোতা নদীতে তলিয়ে গেলেন মা ও মেয়ে। এলাকাবাসীর চেষ্টায় মা রীনা কিষাণকে উদ্ধার করা গেলেও নিখোঁজ কিশোরী সাকিনা কিষাণ। মঙ্গলবারের এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে শিলিগুড়ি সংলগ্ন নকশালবাড়ি ব্লকের বড় মনিরামজোতে ।
মনিরামজোত গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান গৌতম ঘোষ বলেন, "আজ কৃষকদের একটা বিশেষ দিন। যে কারণে একটি দল ধান রোপন করতে মেচি নদী পেরিয়ে গিয়েছিল। যাওয়ার সময় নদীতে জলস্তর কম ছিল ৷ কিন্তু ফেরার সময় আচমকা জলস্তর বেড়ে যায়। তাতে আচমকাই জলের স্রোতে ভেসে যেতে থাকেন মা রীনা ৷ তাঁকে বাঁচাতে যান মেয়ে সাকিনা ৷ দৌড়ে আসেন স্থানীয় বাসিন্দারাও ৷ এরপর মাকে উদ্ধার করা সম্ভব হলেও কিশোরীর সন্ধান এখনও পর্যন্ত পাওয়া যায়নি ৷ তল্লাশি চলছে এখনও ৷ মাকে নকশালবাড়ি ব্লক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে ৷"
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন নকশালবাড়ি বিডিও, মনিরামজোত গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান, নকশালবাড়ি থানার পুলিশ, এসএসবির জওয়ান ও বিপর্যয় মোকাবিলা বিভাগ। এসএসবি'র সহকারি কম্যান্ডান্ট সিকন্দর কুমার বলেন, "মেচি নদী পাহাড়ি নদী হওয়ায় আচমকা জলস্তর বেড়ে যায়। আমরা সেজন্য গ্রামবাসীদের সতর্ক থাকতে বলি। এদিন একজন তলিয়ে যাওয়ার খবর পেয়ে আমরা ছুটে আসি। প্রায় 15 কিলোমিটার নদীতে আমরা তল্লাশি চালিয়েছি। কিন্তু ওই কিশোরীর খোঁজ মেলেনি। তল্লাশি জারি রয়েছে।"
জানা গিয়েছে, এদিন সকালে ভারত-নেপাল সীমান্তের মেচি নদী পার করে ধান রোপণ করতে যান 15-20 জন মহিলা। সেই সময় জলস্তর কম থাকায় অনায়াসে তাঁরা নদী পার করে ফেলেন ৷ কিন্তু সোমবার রাত থেকে টানা বৃষ্টির জেরে ফুলেফেঁপে উঠছে পাহাড়ি নদীগুলো। তিস্তা, মহানন্দা, করতোয়া, ফুলহারার মতো নদী বিপদ সীমার দিয়ে বইছে। ফলে আচমকাই মেচি নদীতে বেড়ে যায় জলস্তর। সেই সময় নদী পার করে এপারে আসার সময় জলের তোড়ে তলিয়ে যাওয়া মাকে উদ্ধার করা সম্ভব হলেও নিখোঁজ মেয়ে ৷