দার্জিলিং, 1 ডিসেম্বর: পুলিশ ও সেনার অভিযানে মেলেনি কোনও রেডিয়ো অ্যাকটিভ পদার্থ । গোটা ঘটনাটি আসলে প্রতারণার । তৃণমূল পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষের স্বামী তথা বনবিভাগের কর্মী ফ্রান্সিস এক্কার ঘটনাটি তদন্ত করে এমনটাই দাবি করলেন দার্জিলিংয়ের পুলিশ সুপার প্রবীণ প্রকাশ । শনিবার পানিঘাটা পুলিশ ফাঁড়িতে সাংবাদিক বৈঠক করে এই ঘটনার ব্যাখ্যা দেন তিনি ।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি দেশবিরোধী কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে নকশালবাড়ি তৃণমূল কংগ্রেসের পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেফতার করে সেনাবাহিনীর গোয়ান্দা বিভাগের সুকনা ত্রিশক্তি কর্পস ও দার্জিলিং জেলা পুলিশ । পেশায় ফ্রান্সিস এক্কা আবার কার্শিয়াং বনবিভাগের চুক্তিভিত্তিক কর্মী । তাঁর বাড়ি নকশালবাড়ি ব্লকের বেলগাছি চা বাগান এলাকায় ।
মঙ্গলবার মাঝরাতে সুকনা ত্রিশক্তি কর্পস, মিলিটারি ইন্টেলিজেন্স, কেন্দ্রীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দল ও দার্জিলিং জেলা পুলিশের পানিঘাটা ফাঁড়ির পুলিশ যৌথভাবে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে । বৃহস্পতিবার ধৃতকে কার্শিয়াং আদালতে তুলে পাঁচদিনের হেফাজতে নিয়েছেন গোয়েন্দারা । ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসতেই গোটা রাজ্য রাজনীতি তোলপাড় শুরু হয় । ঘটনার আঁচ পড়ে বিধানসভাতেও । প্রশ্ন উঠতে শুরু করে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে ।
এরপরই শনিবার এই নিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করেন দার্জিলিংয়ের পুলিশ সুপার । তিনি বলেন, "পানিঘাটায় কেন্দ্রীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দল নিয়ে অভিযান চালানো হয়েছিল । গ্রেফতার হওয়া ফ্রান্সিস এক্কা আদতে একজন প্রতারক । এর আগেও তাঁর বিরুদ্ধে একইভাবে মিরিক থানায় প্রতারণার অভিযোগ ছিল । সেই ঘটনায় তাঁকে গ্রেফতারও করা হয়েছিল । এবারও একইভাবে স্থানীয় এলাকা থেকে বাক্স বানিয়ে রেডিয়ো অ্যাকটিভ সামগ্রীর প্রতীকী বানিয়ে প্রতারণার ছক করেছিল সে ।"
পুলিশ সুপার জানান, ফ্রান্সিসের সঙ্গে আরও বেশ কয়েকজন এই প্রতারণার চক্রে জড়িত রয়েছেন । তাঁদের খোঁজ পাওয়ার জন্য তল্লাশি চলছে । তবে তদন্তে ও পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে, কোনও রেডিয়ো অ্যাকটিভ সামগ্রী তাঁর বাড়ি থেকে মেলেনি ৷ তবে ঘটনার তদন্ত চলছে ।