ETV Bharat / state

নগর দায়রা আদালতে বিচারকের রক্ষীর গুলিবিদ্ধ দেহ উদ্ধার, তদন্তে পুলিশ - BODY FOUND IN COURT PREMISES

বুধবার সকাল 9টা নাগাদ দেহ উদ্ধার ৷ মৃত্যুর কারণ খতিয়ে দেখছে কলকাতা পুলিশ ৷

BODY FOUND IN COURT PREMISES
ব্যাংকশাল কোর্টে বিচারকের রক্ষীর গুলিবিদ্ধ দেহ উদ্ধার (ইটিভি ভারত)
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Feb 5, 2025, 3:40 PM IST

কলকাতা, 5 ফেব্রুয়ারি: নগর দায়রা আদালত চত্বরে গুলিবিদ্ধ দেহ উদ্ধার । আদালত সূত্রে খবর, যাঁর দেহ উদ্ধার হয়েছে, তিনি বিচারকের দেহরক্ষী হিসেবে কাজ করতেন ৷ বুধবার সকাল 9টা নাগাদ ওই রক্ষীর দেহ আদালত চত্বরে পড়ে থাকতে দেখা যায় ৷ নিহতের নাম গোপাল কুমার ৷

পুলিশ জানিয়েছে, তাঁর মাথায় গুলি লেগেছে ৷ মাথা থেকে রক্তক্ষরণ হওয়ার জেরে ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয় ৷ তাঁকে খুন করা হয়েছে, নাকি তিনি নিজেই চরম পদক্ষেপ করেছেন, সেই বিষয়টি এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি ৷ তবে এই নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে কলকাতা পুলিশ ৷ এই নিয়ে কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা প্রধান রূপেশ কুমার বলেন, "দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে । পারিপার্শ্বিক তথ্যপ্রমাণ ঘেঁটে দেখা হচ্ছে ৷"

CITY CIVIL COURT
নগর দায়রা আদালত (নিজস্ব চিত্র)

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, কোর্ট চত্বরে দেহ পড়ে থাকার খবর পাওয়ার পর ঘটনাস্থলে যায় হেয়ার স্ট্রিট থানার পুলিশ ৷ ঘটনাস্থলে যায় কলকাতা পুলিশের হোমিসাইড বিভাগের গোয়েন্দারা । খবর দেওয়া হয় ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞদের । আদালত চত্বরে যান লালবাজারের গোয়েন্দা বিভাগের ফিঙ্গারপ্রিন্ট বিশেষজ্ঞেরাও ।

লালবাজার সূত্রে খবর, ওই দেহরক্ষীর দেহের পাশেই একটি 9 এমএম পিস্তল পড়ে ছিল । সেটি তাঁর নিজস্ব সার্ভিস পিস্তল বলেই জানতে পেরেছে পুলিশ । তবে তাঁর মৃত্যু নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে । সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করেন তদন্তকারীরা । পাশাপাশি ঘটনাস্থল থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ।

BODY FOUND IN COURT PREMISES
নগর দায়রা আদালতে পুলিশ (নিজস্ব চিত্র)

লালবাজারের হোমিসাইড বিভাগের গোয়েন্দাদের অনুমান, ওই ব্যক্তি নিজেই নিজেকে গুলি করেছেন ৷ সার্ভিস পিস্তল থেকেই তিনি নিজেকে গুলি করেন ৷ তবে এদিন তাঁর কোর্টে আসার কথা ছিল না ৷ তার পরও তিনি কেন এলেন, কেন তিনি এই চরম পদক্ষেপ করলেন, আপাতত সেটাই খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা ৷

লালবাজার থেকে জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই মৃতের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করছে পুলিশ । তিনি কোনও মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন কি না, সেটি দেখা হচ্ছে । এর জন্য পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করছে পুলিশ ৷

BODY FOUND IN COURT PREMISES
নগর দায়রা আদালতে পুলিশ (নিজস্ব চিত্র)

এই ঘটনা নিয়ে আতঙ্কিত আইনজীবীরা ৷ হাইকোর্টের আইনজীবী অর্ক মুখোপাধ্যায় জানান, বিচারকদের তো রক্ষী আছে ৷ আইনজীবীদের তো তাও নেই ৷ এদিন রক্ষীর দেহ উদ্ধার হয়েছে ৷ অন্য কোনও ঘটনাও ঘটতে পারে ৷ বিচারক কখনও এত সকালে আসেন না ৷ তাহলে রক্ষী এত সকালে কী করছিলেন ?

তাঁর আরও বক্তব্য, নগর দায়রা আদালতের পাশেই হাইকোর্ট ৷ অদূরে রয়েছে নিউ সেক্রেটারিয়েট ৷ দিনভর সেখানে মানুষের সমাগম লেগেই থাকে ৷ তেমনই একটা জায়গায় এমন ঘটনা ঘটলে, নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তো উঠবেই ৷

কলকাতা, 5 ফেব্রুয়ারি: নগর দায়রা আদালত চত্বরে গুলিবিদ্ধ দেহ উদ্ধার । আদালত সূত্রে খবর, যাঁর দেহ উদ্ধার হয়েছে, তিনি বিচারকের দেহরক্ষী হিসেবে কাজ করতেন ৷ বুধবার সকাল 9টা নাগাদ ওই রক্ষীর দেহ আদালত চত্বরে পড়ে থাকতে দেখা যায় ৷ নিহতের নাম গোপাল কুমার ৷

পুলিশ জানিয়েছে, তাঁর মাথায় গুলি লেগেছে ৷ মাথা থেকে রক্তক্ষরণ হওয়ার জেরে ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয় ৷ তাঁকে খুন করা হয়েছে, নাকি তিনি নিজেই চরম পদক্ষেপ করেছেন, সেই বিষয়টি এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি ৷ তবে এই নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে কলকাতা পুলিশ ৷ এই নিয়ে কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা প্রধান রূপেশ কুমার বলেন, "দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে । পারিপার্শ্বিক তথ্যপ্রমাণ ঘেঁটে দেখা হচ্ছে ৷"

CITY CIVIL COURT
নগর দায়রা আদালত (নিজস্ব চিত্র)

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, কোর্ট চত্বরে দেহ পড়ে থাকার খবর পাওয়ার পর ঘটনাস্থলে যায় হেয়ার স্ট্রিট থানার পুলিশ ৷ ঘটনাস্থলে যায় কলকাতা পুলিশের হোমিসাইড বিভাগের গোয়েন্দারা । খবর দেওয়া হয় ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞদের । আদালত চত্বরে যান লালবাজারের গোয়েন্দা বিভাগের ফিঙ্গারপ্রিন্ট বিশেষজ্ঞেরাও ।

লালবাজার সূত্রে খবর, ওই দেহরক্ষীর দেহের পাশেই একটি 9 এমএম পিস্তল পড়ে ছিল । সেটি তাঁর নিজস্ব সার্ভিস পিস্তল বলেই জানতে পেরেছে পুলিশ । তবে তাঁর মৃত্যু নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে । সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করেন তদন্তকারীরা । পাশাপাশি ঘটনাস্থল থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ।

BODY FOUND IN COURT PREMISES
নগর দায়রা আদালতে পুলিশ (নিজস্ব চিত্র)

লালবাজারের হোমিসাইড বিভাগের গোয়েন্দাদের অনুমান, ওই ব্যক্তি নিজেই নিজেকে গুলি করেছেন ৷ সার্ভিস পিস্তল থেকেই তিনি নিজেকে গুলি করেন ৷ তবে এদিন তাঁর কোর্টে আসার কথা ছিল না ৷ তার পরও তিনি কেন এলেন, কেন তিনি এই চরম পদক্ষেপ করলেন, আপাতত সেটাই খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা ৷

লালবাজার থেকে জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই মৃতের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করছে পুলিশ । তিনি কোনও মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন কি না, সেটি দেখা হচ্ছে । এর জন্য পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করছে পুলিশ ৷

BODY FOUND IN COURT PREMISES
নগর দায়রা আদালতে পুলিশ (নিজস্ব চিত্র)

এই ঘটনা নিয়ে আতঙ্কিত আইনজীবীরা ৷ হাইকোর্টের আইনজীবী অর্ক মুখোপাধ্যায় জানান, বিচারকদের তো রক্ষী আছে ৷ আইনজীবীদের তো তাও নেই ৷ এদিন রক্ষীর দেহ উদ্ধার হয়েছে ৷ অন্য কোনও ঘটনাও ঘটতে পারে ৷ বিচারক কখনও এত সকালে আসেন না ৷ তাহলে রক্ষী এত সকালে কী করছিলেন ?

তাঁর আরও বক্তব্য, নগর দায়রা আদালতের পাশেই হাইকোর্ট ৷ অদূরে রয়েছে নিউ সেক্রেটারিয়েট ৷ দিনভর সেখানে মানুষের সমাগম লেগেই থাকে ৷ তেমনই একটা জায়গায় এমন ঘটনা ঘটলে, নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তো উঠবেই ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.