সন্ধ্যার পরও জলমগ্ন শহর কলকাতার একাধিক এলকা। পার্কস্ট্রিট থেকে শুরু করে ক্যামাক স্ট্রিট এবং সল্টলেকের বেশ কিছু অংশে এখনও জল জমে রয়েছে । পাশাপাশি চলছে বৃষ্টিপাতও ।
CYCLONE DANA LIVE UPDATES: জলমগ্ন পার্কস্ট্রিট-ক্যামাক স্ট্রিট, ভাসছে সল্টলেকও - CYCLONE DANA LIVE
Published : Oct 24, 2024, 1:26 PM IST
|Updated : Oct 25, 2024, 7:16 PM IST
আছড়ে পড়ল ঘূর্ণিঝড় দানা। বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে ওড়িশার কেন্দ্রপাড়ায় দানার ল্যান্ডফল প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে পশ্চিমবঙ্গের দিঘা থেকে শুরু করে মন্দারমনিতে প্রবল বৃষ্টিপাত হচ্ছে। সমুদ্র উত্তাল। দুর্ঘটনা এড়াতে ওড়িশার কয়েকটি জায়গায় বিদ্যুৎ সহযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে। দুটি রাজ্যের বহু মানুষকে নিরাপদ আশ্রয় নিয়ে এসেছে প্রশাসন। শুক্রবার সকালের দিকে ক্ষয়ক্ষতি সম্পর্কে স্পষ্ট তথ্য পাওয়া যাবে। রাত থেকে সকাল পর্যন্ত নবান্নের কেন্দ্রীয় কন্ট্রোলরুমে থেকে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷
LIVE FEED
জলমগ্ন পার্কস্ট্রিট-ক্যামাক স্ট্রিট
প্রাণ গেল নাবালকের
পাথরপ্রতিমা ব্লকের শ্রীধর নগর এলাকায় ভেঙে পড়া গাছ ছাদ থেকে সরাতে গিয়ে বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে মৃত্যু নাবালকের । তার নাম শুভজিৎ দাস (17) ৷
এখনও জলমগ্ন শহর
এখনও জলবন্দি শহর কলকাতা। শহরের উত্তর থেকে দক্ষিণ একাধিক অংশে জল জমে রয়েছে । ময়দান থেকে শুরু করে মধ্য কলকাতার একটা বড় অংশও জলের তলায় চলে গিয়েছে।
হিঙ্গলগঞ্জ, সন্দেশখালিতে ফেরি চলাচল শুরু
দানা'র তেমন কোনও প্রভাবই পড়েনি উত্তর 24 পরগনার সন্দেশখালি 1 ও 2, মিনাখাঁ কিংবা হাড়োয়া ব্লকে। কেবলমাত্র সকাল থেকে ঝিরঝিরে বৃষ্টি, হালকা হাওয়া বইয়া ছাড়া বড় কোনও বিপর্যয়ের খবর এখনও পর্যন্ত নেই ৷ ক্ষয়ক্ষতি কিংবা প্রাণহানির ঘটনাও নেই জানিয়েছে প্রশাসন ৷ ফলে ফের হিঙ্গলগঞ্জ, সন্দেশখালিতে ফেরি চলাচল শুরু হল ৷
এসএসকেএম হাসপাতালে জলযন্ত্রণা
দানা'র জেরে প্রবল বৃষ্টি শহরে ৷ জলমগ্ন শহর কলকাতা। জল জমেছে শহরের বিভিন্ন প্রান্তে। তেমনি জল জমেছে সরকারি হাসপাতাল এসএসকেএম হাসপাতালে। মেইন ব্লকের সামনে জল জমেছে। এছাড়াও কার্ডিওলজি, প্রসূতি বিভাগের সামনেও জল জমেছে। রোগী পরিবার এই জল যন্ত্রণার কারণে সমস্যায় পড়েছেন। তবে ইতিমধ্যেই জল নামানোর কাজ শুরু করা হয়েছে। সকালে প্রবল জলের কারণে লিফট বন্ধ ছিল। অন্যদিকে, নিউ আলিপুরের কাছে বেসরকারি হাসপাতালের সামনেও জলযন্ত্রণা।
কৃষকদের ক্ষতির পরিমাণ সার্ভে করার নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর
2 লক্ষ 16 হাজার মানুষকে উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় ৷ কৃষকদের ক্ষতির পরিমাণ সার্ভে করার জন্য জেলা শাসকদের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি ৷ আগামী 48 ঘণ্টা পরে সম্পূর্ণ সার্ভে রিপোর্ট জমা দিতে হবে ৷ রাজ্যে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে ৷ সুতরাং আরও 48 ঘণ্টা এনডিআরএফ-এসডিআরফ-কে প্রস্তুত থাকার কথা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী ৷
কলকাতার বেশ কিছু এলাকা জলমগ্ন।
ঘূর্ণিঝড় দানার প্রভাবে সকাল থেকে কলকাতা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় মুষলধারে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। দক্ষিণ কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে জল জমে রয়েছে। মধ্য কলকতায় সেন্ট্রাল এভিনিউ, বউবাজার সমেত আশপাশের বেশ কিছু এলাকা জলমগ্ন। কলকাতা পুরসভার সদর দফতরেও জল জমেছে। বৃষ্টি ও জমা জলে বিপর্যস্ত উত্তর কলকাতার বিধান সরণি, ঠনঠনিয়া কালী মন্দির সংলগ্ন এলাকা, ভূপেন বোস এভিনিউ, বিডন স্ট্রিট সহ উল্টাডাঙ্গার বেশ কিছু এলাকা।
7 জেলাশাসকের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক মমতার
সারা রাত নবান্নের কন্ট্রোল রুমে বসে ঘূর্ণিঝড় দানা'র পরিস্থিতির নজর রেখেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ সকালে প্রথমে 7 জেলাশাসকের ফোনে কথা বলেন তিনি ৷ পরে ক্ষয়ক্ষতির পর্যালোচনা করতে দুই মেদিনীপুর, দুই 24 পরগননা, হুগলি, ঝাড়গ্রাম ও বাঁকুড়ার জেলাশাসকের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী ৷
নবান্নে সারা রাত থাকার পর সকালে জেলার ক্ষতিয়ান নিয়ে কথা মুখ্যমন্ত্রীর
রাতে নবান্নে থেকে নজরদারি পর সকালেও সক্রিয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ শুক্রবার সকালেই পূর্ব মেদিনীপুর ও পশ্চিম মেদিনীপুর, উত্তর 24 পরগনা ও দক্ষিণ 24 পরগনা, হুগলি, ঝাড়গ্রাম ও বাঁকুড়া-সহ 7টি জেলার জেলাশাসকের সঙ্গে কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী । এখনও পর্যন্ত যা খবর পাওয়া যাচ্ছে, ঘূর্ণিঝড় দানা'র প্রভাবে সবচেয়ে খারাপ অবস্থার মধ্যে রয়েছে পূর্ব মেদিনীপুরের জেলা ৷
ল্যান্ডফল প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে ঘূর্ণিঝড় দানা'র
ঘূর্ণিঝড় দানা'র ল্যান্ডফল প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে বলে জানাল মৌসম ভবন ৷ এটি ওড়িশার উত্তর-পশ্চিম দিকে সরে গিয়ে ক্রমশ শক্তি হারাচ্ছে ৷ পরবর্তী 6 ঘণ্টার মধ্যে ধীরে ধীরে একটি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে ৷ ফলে আজ ওড়িশা ও গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে বিচ্ছিন্নভাবে অতিভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে ।
স্বাভাবিক হল দমদম বিমানবন্দর
ঘূর্ণিঝড় ডানার প্রভাব কাটিয়ে বিমান পরিষেবা শুরু হল কলকাতা বিমানবন্দরে। নির্দিষ্ট সময়ের এক ঘণ্টা আগেই শুরু হল বিমান পরিষেবা। কলকাতা বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের তরফে বুধবার জানানো হয়েছিল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা 6টা থেকে শুক্রবার সকাল 9টা পর্যন্ত বিমান পরিষেবা সম্পূর্ণরূপে বন্ধ থাকবে। কিন্তু পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে শুক্রবার নির্ধারিত সময়ের এক ঘণ্টা আগে থেকেই বিমান পরিষেবা শুরু করে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ । এদিন শুক্রবার সকাল 8টা থেকেই বিমান পরিষেবা ধীরে ধীরে স্বাভাবিকের পথে। এদিন কলকাতা বিমানবন্দর থেকে প্রথম বিমান ছাড়ে ইম্ফলের উদ্দেশ্যে। এবং কলকাতা বিমানবন্দরে প্রথম বিমান অবতরণ করে দিল্লি থেকে সকাল সাড়ে 8টা নাগাদ। পাশাপাশি সকাল 10টা নাগাদ শিলায়দায় দক্ষিণ শাখায় ট্রেন চলাচল শুরু হয় ৷ প্রথম ট্রেনটি ছাড়ে সোনারপুর লোকাল ৷
জলমগ্ন কপিলমুনি আশ্রম
ধীরে ধীরে ঘূর্ণিঝড় দানার প্রভাব পড়তে শুরু করেছে উপকূল তীরবর্তী এলাকায়। বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকে দক্ষিণ 24 পরগনার উপকূল তীরবর্তী এলাকায় শুরু হয়েছে ভারী বৃষ্টিপাত । মুষলধারে বৃষ্টি এবং দমকা হাওয়ার জেরে দক্ষিণ ২৪ পরগনার উপকূল তীরবর্তী এলাকায় একাধিক নদী বাঁধে ভেঙে যাওয়ার আশঙ্কা । টানা বৃষ্টির জেরে গঙ্গাসাগরের কপিলমুনি মন্দির প্রাঙ্গণ জলমগ্ন ৷
ক্রমশ দুর্বল হতে পারে ঘূর্ণিঝড় দানা
ঘূর্ণিঝড় দানা উত্তর ক্রমশ উত্তর এবং উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হচ্ছে । ফলে ধীরে ধীরে শক্তি হারাবে বলে মনে করা হচ্ছে । আজ দুপুরের মধ্যেই প্রবল থেকে সাধারণ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে দানা ৷ ফলে রাজ্যে এর বিশেষ প্রভাব পড়বে না বলেই মনে করা হচ্ছে ৷ ঘূর্ণিঝড়টি ছত্রিশগড় ও মধ্যপ্রদেশ অভিমুখে এগোবে বলে পূর্বাভাস হাওয়া অফিসের ।
ঘূর্ণিঝড় দানা'র পিছনের অংশটি স্থলভাগে প্রবেশ করেছে
ঘূর্ণিঝড় দানা'র পিছনের অংশটি স্থলভাগে প্রবেশ করেছে ৷ ল্যান্ডফল প্রক্রিয়া আরও ঘণ্টাদুয়েক চলতে পারে বলে জানিয়েছে মৌসম ভবন ৷ এটি উত্তর উপকূলীয় ওডিশা জুড়ে অবস্থিত ৷ অক্ষাংশ 21.10 উত্তর এবং 86.80 পূর্ব দ্রাঘিমাংশে ৷ ধামরার প্রায় 30 কিমি উত্তর ও উত্তর-পশ্চিমে এবং হাবলিখাটি নেচার ক্যাম্পের 50 কিমি উত্তর ও উত্তর-পশ্চিমে । মৌসম ভবনের তরফে আগেই জানানো হয়েছিল, এই ঘূর্ণিঝড়ের কোনও ‘চোখ’ থাকবে না।
দানা'র ল্যান্ডফলের কলকাতায় শুরু বৃষ্টি
বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে ওড়িশার কেন্দ্রপাড়ায় দানা'র ল্যান্ডফল প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে ৷ এর ফলে বাংলার উপকূলবর্তী এলাকায় হাওয়ার বেগ তীব্র হলেও কলকাতায় সেভাবে এখনও পর্যন্ত তা দেখা যায়নি ৷ তবে সকাল থেকে কলকাতা ও তাঁর পার্শ্ববর্তী এলাকায় হালকা ও মাঝারি বৃষ্টি শুরু হয়েছে ৷
এখনও বন্ধ বিমান ও ট্রেন পরিষেবা
শুক্রবার সকাল বন্ধ রয়েছে রাজ্যের বিমান ও ট্রেন পরিষেবা ৷ এদিন সকাল 9টা পর্যন্ত দমদম বিমানবন্দরে বিমান ওঠানামা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ৷ সকাল 10টা পর্যন্ত বন্ধ রাখা হয়েছে লোকাল ট্রেন পরিবেষা ৷ এছাড়াও হাওড়া, কলকাতা ও জেলায় ফেরি সার্ভিসও এখনও পর্যন্ত বন্ধ রয়েছে ৷
ল্যান্ডফল প্রক্রিয়ার পর গঙ্গাসাগরে ঝড়ের দাপট
স্থলভাগে আছড়ে পড়ার পর বিধ্বংসী রূপ নিয়েছে ঘূর্ণিঝড় দানা । এর প্রভাব পড়তে শুরু করেছে বাংলার উপকূলে ৷ উত্তাল সমুদ্র ৷ দক্ষিণ 24 পরগনার গঙ্গাসাগরে বেড়েছে ঝড়ের দাপট ৷ কার্যত রুদ্ররূপ ধারণ করেছে বঙ্গোপসাগর । উপকূলবর্তী এলাকায় ঘণ্টায় 60 থেকে 70 কিলোমিটার বেগে হাওয়া বইছে ৷ সঙ্গে ভারী বৃষ্টি ।
রাতে নবান্নের কন্ট্রোল রুমে মুখ্যমন্ত্রী মমতা
ঘূর্ণিঝড় দানা'র লান্ডফল প্রক্রিয়াা শুরু হওয়ার পর সারারাত নবান্নে বসেই রাজ্যের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষেণ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাাধ্যায় ৷ তাঁর সঙ্গে ছিলেন স্বরাষ্ট্রসচিব নন্দিনী চক্রবর্তী ও অনান্য আধিকারিকরা ৷
এই মুহূর্তে দানা'র অবস্থান হাবলিখাটি নেচার ক্যাম্পের কাছে
ঘূর্ণিঝড় দানা উত্তর ওড়িশা উপকূল অতিক্রম করে এই মুহূর্তে হাবলিখাটি নেচার ক্যাম্পের কাছে ৷ ভিতরকণিকা ও ধামরার কাছে ল্যান্ডফল প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে ৷ এখন তা অব্যাহত রয়েছে ৷ প্রবল ঘূর্ণিঝড় দানা উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিকে ক্রমশ অগ্রসর হচ্ছে ৷
শুক্রবার সকাল পর্যন্ত দানা'র ল্যান্ডফল প্রক্রিয়া চলবে বলে জানা গিয়েছে
বৃহস্পতিবার রাতে ওড়িশা উপকূলে প্রবল ঘূর্ণিঝড় দানা'র ল্যান্ডফল প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে ৷ শুক্রবার সকাল পর্যন্ত তা চলবে বলে মনে করা হচ্ছে ৷ এমনটাই জানিয়েছে মৌসম ভবন। ওড়িশার উপকূলীয় জেলা ভদ্রক, কেন্দ্রপাড়া, বালাসোর এবং নিকটবর্তী জগৎসিংহপুর জেলায় হঠাৎ করে বাতাসের গতিবেগ বেড়ে গিয়েছে ৷ যা ঘণ্টায় 100 থেকে 110 কিমি ৷ ভারী বৃষ্টিও শুরু হয়েছে ৷
ওড়িশা উপকূলে আছড়ে পড়েছে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় দানা, বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি শুরু কলকাতাতেও
ঘূর্ণিঝড় দানা'র ওড়িশা উপকূল দিয়ে স্থলভাগে ঢোকার প্রক্রিয়া বা 'ল্যান্ডফল' শুরু হওয়ার সাথেই প্রবল ঝোড়ো হাওয়া বইতে শুরু করেছে ওড়িশার বালেশ্বর এবং কেন্দ্রপাড়া জেলার বিস্তীর্ণ এলাকায়। উপকূলবর্তী বহু জায়গা বিদ্যুৎহীন। মৌসম ভবনের রাত দেড়টার জরুরী বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে ওড়িশার ধামরা উপকূল থেকে মাত্র ৩০ কিলোমিটার এবং পারাদ্বীপ থেকে ৫০ কিলোমিটার দূরত্বে রয়েছে ঘূর্ণিঝড় দানা'র মূল কেন্দ্রভাগ। ওড়িশার ধামরা এবং ভিতরকনিকার মধ্যবর্তী এলাকা এখন অতিক্রম করছে ঘূর্ণিঝড়ের সামনের অংশ। পূর্ব মেদিনীপুরের দিঘা এবং মন্দারমনিতে ইতিমধ্যেই জলোচ্ছাস শুরু হয়েছে, বইছে ঝোড়ো হাওয়া। শহর কলকাতাতেও শুরু হয়েছে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি।
দানা'র 'ল্যান্ডফল' প্রক্রিয়া শুরু
মাঝরাত্রি থেকে ঘূর্ণিঝড় দানা'র 'ল্যান্ডফল' প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে ওড়িশা উপকূলে। পারাদ্বীপ এবং ধামরার কাছে ওড়িশার কেন্দ্রপাড়া জেলার তালচুয়া অঞ্চল দিয়ে স্থলভাগে ঢুকতে শুরু করেছে ঘূর্ণিঝড় দানা। মৌসম ভবন সূত্রে জানানো হয়েছে গত ছ'ঘন্টায় ঘূর্ণিঝড় গড়ে ১৫ কিলোমিটার বেগে উপকূলের দিকে এগিয়ে আসছে। আবহাওয়া দফতর জানাচ্ছে, ঘূর্ণিঝড় দানা'র এই স্থলভাগে ঢোকার বা 'ল্যান্ডফল' প্রক্রিয়া চলবে সারা রাত ধরে। ইতিমধ্যেই পূর্ব মেদিনীপুরের দিঘা এবং মন্দারমণিতে প্রবল বৃষ্টি এবং সমুদ্রে জলোচ্ছাস দেখা যাচ্ছে। ওড়িশার বালেশ্বর, ধামরা, পারাদ্বীপ সহ পুরীতে আপৎকালীন ব্যবস্থা হিসেবে বিদ্যুৎ যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে।
রাত 2টো নাগাদ ল্যান্ডফলের সম্ভাবনা
মৌসম ভবনের তরফে জানানো হয়েছে রাত 2টো নাগাদ ভূখণ্ডে আছড়ে পড়তে পারে ঘূর্ণিঝড় দানা ।
ত্রাণ শিবিরে মন্ত্রীরা
গঙ্গাসাগরে কয়েক হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন ত্রাণ শিবিরে। গোসাবা থেকে গঙ্গাসাগর পর্যন্ত প্রায় 50 হাজারেরও বেশি মানুষ ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় গ্রহণ করেছেন।ইতিমধ্যে গঙ্গাসাগরের কাছাকাছি পানুমাঝিয়ানি অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রায় তিনশতাধিক মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন। অন্যদিকে, জেলা পরিষদের গঙ্গাসাগর যাত্রীনিবাসে আশ্রয় নিয়েছেন দুই শতাধিক মানুষ। গঙ্গাসাগরের বিডিও, মন্ত্রী বঙ্কিম হাজরা, গঙ্গাসাগর বকখালি ডেভেলাপমেন্ট অথরিটি ভাইস চেয়ারম্যান সন্দীপ পাত্র শিবিরে উপস্থিত থেকে মানুষদের পাশে খাবার বিতরণ করছেন।
কন্ট্রোল রুমে এলেন মমতা
ল্যান্ডফল থেকে দূরত্ব কমছে ঘূর্ণিঝড়ের। মুখ্যসচিব মনোজ পুন্থকে নিয়ে কন্ট্রোলরুমে পৌঁছে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ।
কর্পোরেশনের রাত্রিযাপন মেয়রের
দানা মোকাবিলায় কলকাতা কর্পোরেশনের কর্মী আধিকারিকরা ইতিমধ্যেই তৎপর ৷ দানার প্রভাবে কলকাতায় ভারী বর্ষণের পূর্বাভাস দিয়েছে আলিপুর হাওয়া অফিস। দুর্যোগের মুহূর্তে কর্মীরা কীভাবে কাজ করছে ? কোথাও কোনও বিপদ ঘটছে কি না, কন্ট্রোল রুম বসে নজরদারি চালাবেন কলকাতার মেয়র ফিরাদ হাকিম ৷
বন্ধ থাকবে লকগেট
বৃষ্টির সময় জল বাড়বে গঙ্গায়। বন্ধ থাকবে লকগেট ৷ ফলে দানার প্রভাবে জলযন্ত্রণায় ভুগতে হতে পারে কলকাতাকে ৷ কারণ ঝড় চলাকালীন কয়েকঘণ্টা বন্ধ থাকবে শহরের প্রতিটি লকগেট ।
সাগরদ্বীপের থেকে আরও দূরত্ব কমল দানা'র
আরও কাছে এল ঘূর্ণিঝড় দানা ৷ বর্তমানে ঝড়ের গতিবেগ ঘণ্টায় 10 কিমি ৷ এই মুহূর্তে দানা'র অবস্থান ওড়িশার পারাদ্বীপ থেকে 140 কিমি দক্ষিণ-পূর্বে এবং ধামরা থেকে 170 কিমি দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্বে ৷ আর সাগরদ্বীপ থেকে 240 কিমি দূরে রয়েছে ঘূর্ণিঝড় দানা ৷
বন্ধ করে দেওয়া হল কলকাতা বিমানবন্দর
ঘূর্ণিঝড় দানা'র সতর্কতা হিসেবে বন্ধ করে দেওয়া হল কলকাতা বিমানবন্দর ৷ আজ বিকেল সাড়ে 5টা থেকে আগামিকাল সকাল 9টা পর্যন্ত দমদম বিমানবন্দর থেকে ওঠানামা করবে না কোনও বিমান ৷ কলকাতার পাশাপাশি ভুবনেশ্বর বিমানবন্দরও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ৷ বিজু পট্টনায়েক আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর বৃহস্পতিবার বিকেল 5টা থেকে শুক্রবার 9টা পর্যন্ত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
দিঘা ও মন্দারমণিতে ঢেউয়ের উচ্চতা হতে পারে 6 ফুট
বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার সকালের মধ্যে ওড়িশার ভিতরকণিকা ও ধামরার মধ্যভাগে ল্যান্ডফল হওয়ার সম্ভাবনা দানা'র ৷ ঘূর্ণিঝড় স্থলভাগে আছড়ে পড়ার সময় পশ্চিমবঙ্গের উপকূল দিঘা, মন্দারমণিতে প্রবল জলোচ্ছ্বাসের সম্ভাবনা ৷ ঢেউয়ের উচ্চতা হতে পারে 6 ফুটেরও বেশি ৷ এমনটাই জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। সতর্কতা হিসেবে আজ ও আগামিকাল কলকাতা, হাওড়া ও হুগলি এবং দুই 24 পরগনা জেলায় ফেরি সার্ভিস বন্ধ থাকবে ৷
স্থলভাগের আরও কাছে ঘূর্ণিঝড় দানা
স্থলভাগের আরও কাছে ঘূর্ণিঝড় দানা ৷ বর্তমানে ঝড়ের গতিবেগ ঘণ্টায় 13 কিমি ৷ এই মুহূর্তে দানা'র অবস্থান ওড়িশার পারাদ্বীপ থেকে 180 কিমি দক্ষিণ-পূর্বে এবং ধামরা থেকে 210 কিমি দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্বে ৷ আর সাগরদ্বীপ থেকে 270 কিমি দূরে রয়েছে ঘূর্ণিঝড় দানা ৷
রাজ্যে সাড়ে 800 ক্যাম্প
নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী জানান, দুর্যোগের আশঙ্কা রয়েছে এমন জায়গাগুলি থেকে 3 লক্ষ 56 হাজার 941 জনকে চিহ্নিত করা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত 1 লক্ষ 69 হাজার 873 জনকে নিরাপদে জায়গায় সরানো হয়েছে ৷ মোট 851টি ক্যাম্প চালানো হচ্ছে ৷ ত্রাণ শিবিরগুলিতে এখনও পর্যন্ত 83 হাজার 583 জন আশ্রয় নিয়েছেন।
নবান্নে চালু হেল্পলাইন নম্বর
রাতে নবান্নে থাকছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ যতক্ষণ না ল্যান্ডফল হচ্ছে ততক্ষণ আমরা সবাই নজর রাখব ৷ মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব ও আমি সজাগ থাকছি ৷ মুখ্যসচিব বাড়ি থেকে নজর রাখবেন ৷ আমি সকালে বাড়ি গেলে মুখ্যসচিব নবান্নে আসবেন ৷ নবান্নে হেল্পলাইন নাম্বার-033 2214 3526, 1070 আরও 20টি লাইন অ্যাসোসিয়েটেড আছে ৷ যাতে জেলার সঙ্গে কানেকশন থাকে ৷ ভয় পাবেন না সর্তক থাকুন ৷ সরকারি নির্দেশিকা মেনে চলুন ৷
ওড়িশায় 3 লক্ষ 62 হাজার মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরানো হয়েছে
ঘূর্ণিঝড় দানা'র বর্তমান অবস্থান দক্ষিণ-পূর্ব পারাদ্বীপের 210 কিমি এবং দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব ধামরা থেকে 240 কিলোমিটার দূরে ৷ তবে ইতিমধ্যেই তাণ্ডব শুরু করে দিয়েছে দানা ৷ সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে ওড়িশার 11টা জেলা ও 38 ব্লক থেকে 3 লক্ষ 62 হাজার মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে ৷
সাগরদ্বীপের দক্ষিণে 310 কিলোমিটার দূরে অবস্থান দানা'র
তীব্র ঘূর্ণিঝড় দানা উত্তর উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হচ্ছে ৷ এই মুর্হূতে এর অবস্থান উত্তর পশ্চিম ও মধ্য বঙ্গোপসাগরে। ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্র দক্ষিণ-পূর্ব পারাদ্বীপের 210 কিলোমিটার, ওড়িশার দক্ষিণ দক্ষিণ-পূর্ব ধামরা থেকে 240 কিলোমিটার এবং পশ্চিমবঙ্গের সাগরদ্বীপের দক্ষিণে 310 কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে ৷ এই তীব্র ঘূর্ণিঝড়টি উত্তর পশ্চিম দিকে অগ্রসর হবে ৷ ওড়িশার ভিতরকনিকা ও ধামরার মধ্যবর্তী অঞ্চলে আজ মধ্যরাত থেকে আগামিকাল সকালের মধ্যে আছড়ে পড়বে বলে জানিয়েছেন আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাঞ্চলীয় অধিকর্তা সোমনাথ দত্ত। ঘূর্ণিঝড়ের গতিবেগ 100 থেকে 110 কিলোমিটারের মধ্যে থাকবে। দমকা হাওয়ার গতিবেগ সর্বোচ্চ 120 কিলোমিটার হতে পারে।
দানা'র প্রভাবে কলকাতাতে বৃষ্টি
ঘূর্ণিঝড় যত এগিয়ে আসছে, ততই বাড়ছে ঝোড়ো হাওয়া ৷ ইতিমধ্যে উত্তাল সমুদ্র । জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মৎস্যজীবীদের গভীর সমুদ্রে মাছ ধরার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে ৷ কলকাতাতেও শুরু বৃষ্টি ৷
ঝড়ের তাণ্ডব শুরু ওড়িশায়
ঝড়ের তাণ্ডব শুরু ওড়িশায় ৷ রাজ্য সরকার পুনর্গঠনের কাজও শুরু করেছে। ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় ঝড়ের কারণে উপড়ে পড়েছে গাছ ৷ সেগুলি কেটে যান চলাচলের সুবিধা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর কার্যালয়।
মাঠ থেকে পাকা শস্য তুলে নেওয়ার পরামর্শ কৃষিমন্ত্রীর
পুজোর আগেই টানা বৃষ্টি, তারপর জল ছাড়া নিয়ে বিতর্ক এবং বন্যা পরিস্থিতি বিপাকে পড়তে হয়েছিল রাজ্যে কৃষকদের। আরও একবার বাংলার কৃষকদের সামনে বিপদের ভ্রুকুটি। বাংলা এবং ওড়িশায় দরজায় কড়া নাড়ছে ঘূর্ণিঝড় দানা। এই অবস্থায় কৃষকদের ফসলে ক্ষতিক সম্ভাবনা। তবে বুধবার সাংবাদিক সম্মেলন করে রাজ্যের সাধারণ কৃষকদের আশ্বস্ত করলেন কৃষিমন্ত্রী শোভন দেব চট্টোপাধ্যায়। পাকা শস্য কেটে নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী।
শক্তি বাড়িয়ে উপকূলের দিকে এগোচ্ছে ঘূর্ণিঝড় দানা
শক্তি বাড়িয়ে উপকূলের দিকে এগোচ্ছে ঘূর্ণিঝড় দানা
বুধবার মধ্যরাতেই প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে দানা। ঘূর্ণিঝড়ের ল্যান্ডফল-এর সময় এই ঘূর্ণিঝড়ের সর্বোচ্চ গতিবেগ হতে পারে প্রতি ঘণ্টায় 120 কিলোমিটার ৷ বৃহস্পতিবার (24 অক্টোবর) সকাল সাড়ে 5টার আবহাওয়া দফতরের আপডেট অনুযায়ী, ঘূর্ণিঝড় দানা ওড়িশার পারাদ্বীপ থেকে প্রায় 210 কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে, ওড়িশার ধামরা থেকে 240 কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপূর্বে এবং পশ্চিমবঙ্গের সাগর দ্বীপের থেকে 310 কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছে ৷
আছড়ে পড়ল ঘূর্ণিঝড় দানা। বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে ওড়িশার কেন্দ্রপাড়ায় দানার ল্যান্ডফল প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে পশ্চিমবঙ্গের দিঘা থেকে শুরু করে মন্দারমনিতে প্রবল বৃষ্টিপাত হচ্ছে। সমুদ্র উত্তাল। দুর্ঘটনা এড়াতে ওড়িশার কয়েকটি জায়গায় বিদ্যুৎ সহযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে। দুটি রাজ্যের বহু মানুষকে নিরাপদ আশ্রয় নিয়ে এসেছে প্রশাসন। শুক্রবার সকালের দিকে ক্ষয়ক্ষতি সম্পর্কে স্পষ্ট তথ্য পাওয়া যাবে। রাত থেকে সকাল পর্যন্ত নবান্নের কেন্দ্রীয় কন্ট্রোলরুমে থেকে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷
LIVE FEED
জলমগ্ন পার্কস্ট্রিট-ক্যামাক স্ট্রিট
সন্ধ্যার পরও জলমগ্ন শহর কলকাতার একাধিক এলকা। পার্কস্ট্রিট থেকে শুরু করে ক্যামাক স্ট্রিট এবং সল্টলেকের বেশ কিছু অংশে এখনও জল জমে রয়েছে । পাশাপাশি চলছে বৃষ্টিপাতও ।
প্রাণ গেল নাবালকের
পাথরপ্রতিমা ব্লকের শ্রীধর নগর এলাকায় ভেঙে পড়া গাছ ছাদ থেকে সরাতে গিয়ে বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে মৃত্যু নাবালকের । তার নাম শুভজিৎ দাস (17) ৷
এখনও জলমগ্ন শহর
এখনও জলবন্দি শহর কলকাতা। শহরের উত্তর থেকে দক্ষিণ একাধিক অংশে জল জমে রয়েছে । ময়দান থেকে শুরু করে মধ্য কলকাতার একটা বড় অংশও জলের তলায় চলে গিয়েছে।
হিঙ্গলগঞ্জ, সন্দেশখালিতে ফেরি চলাচল শুরু
দানা'র তেমন কোনও প্রভাবই পড়েনি উত্তর 24 পরগনার সন্দেশখালি 1 ও 2, মিনাখাঁ কিংবা হাড়োয়া ব্লকে। কেবলমাত্র সকাল থেকে ঝিরঝিরে বৃষ্টি, হালকা হাওয়া বইয়া ছাড়া বড় কোনও বিপর্যয়ের খবর এখনও পর্যন্ত নেই ৷ ক্ষয়ক্ষতি কিংবা প্রাণহানির ঘটনাও নেই জানিয়েছে প্রশাসন ৷ ফলে ফের হিঙ্গলগঞ্জ, সন্দেশখালিতে ফেরি চলাচল শুরু হল ৷
এসএসকেএম হাসপাতালে জলযন্ত্রণা
দানা'র জেরে প্রবল বৃষ্টি শহরে ৷ জলমগ্ন শহর কলকাতা। জল জমেছে শহরের বিভিন্ন প্রান্তে। তেমনি জল জমেছে সরকারি হাসপাতাল এসএসকেএম হাসপাতালে। মেইন ব্লকের সামনে জল জমেছে। এছাড়াও কার্ডিওলজি, প্রসূতি বিভাগের সামনেও জল জমেছে। রোগী পরিবার এই জল যন্ত্রণার কারণে সমস্যায় পড়েছেন। তবে ইতিমধ্যেই জল নামানোর কাজ শুরু করা হয়েছে। সকালে প্রবল জলের কারণে লিফট বন্ধ ছিল। অন্যদিকে, নিউ আলিপুরের কাছে বেসরকারি হাসপাতালের সামনেও জলযন্ত্রণা।
কৃষকদের ক্ষতির পরিমাণ সার্ভে করার নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর
2 লক্ষ 16 হাজার মানুষকে উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় ৷ কৃষকদের ক্ষতির পরিমাণ সার্ভে করার জন্য জেলা শাসকদের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি ৷ আগামী 48 ঘণ্টা পরে সম্পূর্ণ সার্ভে রিপোর্ট জমা দিতে হবে ৷ রাজ্যে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে ৷ সুতরাং আরও 48 ঘণ্টা এনডিআরএফ-এসডিআরফ-কে প্রস্তুত থাকার কথা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী ৷
কলকাতার বেশ কিছু এলাকা জলমগ্ন।
ঘূর্ণিঝড় দানার প্রভাবে সকাল থেকে কলকাতা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় মুষলধারে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। দক্ষিণ কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে জল জমে রয়েছে। মধ্য কলকতায় সেন্ট্রাল এভিনিউ, বউবাজার সমেত আশপাশের বেশ কিছু এলাকা জলমগ্ন। কলকাতা পুরসভার সদর দফতরেও জল জমেছে। বৃষ্টি ও জমা জলে বিপর্যস্ত উত্তর কলকাতার বিধান সরণি, ঠনঠনিয়া কালী মন্দির সংলগ্ন এলাকা, ভূপেন বোস এভিনিউ, বিডন স্ট্রিট সহ উল্টাডাঙ্গার বেশ কিছু এলাকা।
7 জেলাশাসকের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক মমতার
সারা রাত নবান্নের কন্ট্রোল রুমে বসে ঘূর্ণিঝড় দানা'র পরিস্থিতির নজর রেখেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ সকালে প্রথমে 7 জেলাশাসকের ফোনে কথা বলেন তিনি ৷ পরে ক্ষয়ক্ষতির পর্যালোচনা করতে দুই মেদিনীপুর, দুই 24 পরগননা, হুগলি, ঝাড়গ্রাম ও বাঁকুড়ার জেলাশাসকের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী ৷
নবান্নে সারা রাত থাকার পর সকালে জেলার ক্ষতিয়ান নিয়ে কথা মুখ্যমন্ত্রীর
রাতে নবান্নে থেকে নজরদারি পর সকালেও সক্রিয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ শুক্রবার সকালেই পূর্ব মেদিনীপুর ও পশ্চিম মেদিনীপুর, উত্তর 24 পরগনা ও দক্ষিণ 24 পরগনা, হুগলি, ঝাড়গ্রাম ও বাঁকুড়া-সহ 7টি জেলার জেলাশাসকের সঙ্গে কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী । এখনও পর্যন্ত যা খবর পাওয়া যাচ্ছে, ঘূর্ণিঝড় দানা'র প্রভাবে সবচেয়ে খারাপ অবস্থার মধ্যে রয়েছে পূর্ব মেদিনীপুরের জেলা ৷
ল্যান্ডফল প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে ঘূর্ণিঝড় দানা'র
ঘূর্ণিঝড় দানা'র ল্যান্ডফল প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে বলে জানাল মৌসম ভবন ৷ এটি ওড়িশার উত্তর-পশ্চিম দিকে সরে গিয়ে ক্রমশ শক্তি হারাচ্ছে ৷ পরবর্তী 6 ঘণ্টার মধ্যে ধীরে ধীরে একটি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে ৷ ফলে আজ ওড়িশা ও গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে বিচ্ছিন্নভাবে অতিভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে ।
স্বাভাবিক হল দমদম বিমানবন্দর
ঘূর্ণিঝড় ডানার প্রভাব কাটিয়ে বিমান পরিষেবা শুরু হল কলকাতা বিমানবন্দরে। নির্দিষ্ট সময়ের এক ঘণ্টা আগেই শুরু হল বিমান পরিষেবা। কলকাতা বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের তরফে বুধবার জানানো হয়েছিল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা 6টা থেকে শুক্রবার সকাল 9টা পর্যন্ত বিমান পরিষেবা সম্পূর্ণরূপে বন্ধ থাকবে। কিন্তু পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে শুক্রবার নির্ধারিত সময়ের এক ঘণ্টা আগে থেকেই বিমান পরিষেবা শুরু করে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ । এদিন শুক্রবার সকাল 8টা থেকেই বিমান পরিষেবা ধীরে ধীরে স্বাভাবিকের পথে। এদিন কলকাতা বিমানবন্দর থেকে প্রথম বিমান ছাড়ে ইম্ফলের উদ্দেশ্যে। এবং কলকাতা বিমানবন্দরে প্রথম বিমান অবতরণ করে দিল্লি থেকে সকাল সাড়ে 8টা নাগাদ। পাশাপাশি সকাল 10টা নাগাদ শিলায়দায় দক্ষিণ শাখায় ট্রেন চলাচল শুরু হয় ৷ প্রথম ট্রেনটি ছাড়ে সোনারপুর লোকাল ৷
জলমগ্ন কপিলমুনি আশ্রম
ধীরে ধীরে ঘূর্ণিঝড় দানার প্রভাব পড়তে শুরু করেছে উপকূল তীরবর্তী এলাকায়। বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকে দক্ষিণ 24 পরগনার উপকূল তীরবর্তী এলাকায় শুরু হয়েছে ভারী বৃষ্টিপাত । মুষলধারে বৃষ্টি এবং দমকা হাওয়ার জেরে দক্ষিণ ২৪ পরগনার উপকূল তীরবর্তী এলাকায় একাধিক নদী বাঁধে ভেঙে যাওয়ার আশঙ্কা । টানা বৃষ্টির জেরে গঙ্গাসাগরের কপিলমুনি মন্দির প্রাঙ্গণ জলমগ্ন ৷
ক্রমশ দুর্বল হতে পারে ঘূর্ণিঝড় দানা
ঘূর্ণিঝড় দানা উত্তর ক্রমশ উত্তর এবং উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হচ্ছে । ফলে ধীরে ধীরে শক্তি হারাবে বলে মনে করা হচ্ছে । আজ দুপুরের মধ্যেই প্রবল থেকে সাধারণ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে দানা ৷ ফলে রাজ্যে এর বিশেষ প্রভাব পড়বে না বলেই মনে করা হচ্ছে ৷ ঘূর্ণিঝড়টি ছত্রিশগড় ও মধ্যপ্রদেশ অভিমুখে এগোবে বলে পূর্বাভাস হাওয়া অফিসের ।
ঘূর্ণিঝড় দানা'র পিছনের অংশটি স্থলভাগে প্রবেশ করেছে
ঘূর্ণিঝড় দানা'র পিছনের অংশটি স্থলভাগে প্রবেশ করেছে ৷ ল্যান্ডফল প্রক্রিয়া আরও ঘণ্টাদুয়েক চলতে পারে বলে জানিয়েছে মৌসম ভবন ৷ এটি উত্তর উপকূলীয় ওডিশা জুড়ে অবস্থিত ৷ অক্ষাংশ 21.10 উত্তর এবং 86.80 পূর্ব দ্রাঘিমাংশে ৷ ধামরার প্রায় 30 কিমি উত্তর ও উত্তর-পশ্চিমে এবং হাবলিখাটি নেচার ক্যাম্পের 50 কিমি উত্তর ও উত্তর-পশ্চিমে । মৌসম ভবনের তরফে আগেই জানানো হয়েছিল, এই ঘূর্ণিঝড়ের কোনও ‘চোখ’ থাকবে না।
দানা'র ল্যান্ডফলের কলকাতায় শুরু বৃষ্টি
বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে ওড়িশার কেন্দ্রপাড়ায় দানা'র ল্যান্ডফল প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে ৷ এর ফলে বাংলার উপকূলবর্তী এলাকায় হাওয়ার বেগ তীব্র হলেও কলকাতায় সেভাবে এখনও পর্যন্ত তা দেখা যায়নি ৷ তবে সকাল থেকে কলকাতা ও তাঁর পার্শ্ববর্তী এলাকায় হালকা ও মাঝারি বৃষ্টি শুরু হয়েছে ৷
এখনও বন্ধ বিমান ও ট্রেন পরিষেবা
শুক্রবার সকাল বন্ধ রয়েছে রাজ্যের বিমান ও ট্রেন পরিষেবা ৷ এদিন সকাল 9টা পর্যন্ত দমদম বিমানবন্দরে বিমান ওঠানামা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ৷ সকাল 10টা পর্যন্ত বন্ধ রাখা হয়েছে লোকাল ট্রেন পরিবেষা ৷ এছাড়াও হাওড়া, কলকাতা ও জেলায় ফেরি সার্ভিসও এখনও পর্যন্ত বন্ধ রয়েছে ৷
ল্যান্ডফল প্রক্রিয়ার পর গঙ্গাসাগরে ঝড়ের দাপট
স্থলভাগে আছড়ে পড়ার পর বিধ্বংসী রূপ নিয়েছে ঘূর্ণিঝড় দানা । এর প্রভাব পড়তে শুরু করেছে বাংলার উপকূলে ৷ উত্তাল সমুদ্র ৷ দক্ষিণ 24 পরগনার গঙ্গাসাগরে বেড়েছে ঝড়ের দাপট ৷ কার্যত রুদ্ররূপ ধারণ করেছে বঙ্গোপসাগর । উপকূলবর্তী এলাকায় ঘণ্টায় 60 থেকে 70 কিলোমিটার বেগে হাওয়া বইছে ৷ সঙ্গে ভারী বৃষ্টি ।
রাতে নবান্নের কন্ট্রোল রুমে মুখ্যমন্ত্রী মমতা
ঘূর্ণিঝড় দানা'র লান্ডফল প্রক্রিয়াা শুরু হওয়ার পর সারারাত নবান্নে বসেই রাজ্যের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষেণ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাাধ্যায় ৷ তাঁর সঙ্গে ছিলেন স্বরাষ্ট্রসচিব নন্দিনী চক্রবর্তী ও অনান্য আধিকারিকরা ৷
এই মুহূর্তে দানা'র অবস্থান হাবলিখাটি নেচার ক্যাম্পের কাছে
ঘূর্ণিঝড় দানা উত্তর ওড়িশা উপকূল অতিক্রম করে এই মুহূর্তে হাবলিখাটি নেচার ক্যাম্পের কাছে ৷ ভিতরকণিকা ও ধামরার কাছে ল্যান্ডফল প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে ৷ এখন তা অব্যাহত রয়েছে ৷ প্রবল ঘূর্ণিঝড় দানা উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিকে ক্রমশ অগ্রসর হচ্ছে ৷
শুক্রবার সকাল পর্যন্ত দানা'র ল্যান্ডফল প্রক্রিয়া চলবে বলে জানা গিয়েছে
বৃহস্পতিবার রাতে ওড়িশা উপকূলে প্রবল ঘূর্ণিঝড় দানা'র ল্যান্ডফল প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে ৷ শুক্রবার সকাল পর্যন্ত তা চলবে বলে মনে করা হচ্ছে ৷ এমনটাই জানিয়েছে মৌসম ভবন। ওড়িশার উপকূলীয় জেলা ভদ্রক, কেন্দ্রপাড়া, বালাসোর এবং নিকটবর্তী জগৎসিংহপুর জেলায় হঠাৎ করে বাতাসের গতিবেগ বেড়ে গিয়েছে ৷ যা ঘণ্টায় 100 থেকে 110 কিমি ৷ ভারী বৃষ্টিও শুরু হয়েছে ৷
ওড়িশা উপকূলে আছড়ে পড়েছে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় দানা, বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি শুরু কলকাতাতেও
ঘূর্ণিঝড় দানা'র ওড়িশা উপকূল দিয়ে স্থলভাগে ঢোকার প্রক্রিয়া বা 'ল্যান্ডফল' শুরু হওয়ার সাথেই প্রবল ঝোড়ো হাওয়া বইতে শুরু করেছে ওড়িশার বালেশ্বর এবং কেন্দ্রপাড়া জেলার বিস্তীর্ণ এলাকায়। উপকূলবর্তী বহু জায়গা বিদ্যুৎহীন। মৌসম ভবনের রাত দেড়টার জরুরী বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে ওড়িশার ধামরা উপকূল থেকে মাত্র ৩০ কিলোমিটার এবং পারাদ্বীপ থেকে ৫০ কিলোমিটার দূরত্বে রয়েছে ঘূর্ণিঝড় দানা'র মূল কেন্দ্রভাগ। ওড়িশার ধামরা এবং ভিতরকনিকার মধ্যবর্তী এলাকা এখন অতিক্রম করছে ঘূর্ণিঝড়ের সামনের অংশ। পূর্ব মেদিনীপুরের দিঘা এবং মন্দারমনিতে ইতিমধ্যেই জলোচ্ছাস শুরু হয়েছে, বইছে ঝোড়ো হাওয়া। শহর কলকাতাতেও শুরু হয়েছে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি।
দানা'র 'ল্যান্ডফল' প্রক্রিয়া শুরু
মাঝরাত্রি থেকে ঘূর্ণিঝড় দানা'র 'ল্যান্ডফল' প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে ওড়িশা উপকূলে। পারাদ্বীপ এবং ধামরার কাছে ওড়িশার কেন্দ্রপাড়া জেলার তালচুয়া অঞ্চল দিয়ে স্থলভাগে ঢুকতে শুরু করেছে ঘূর্ণিঝড় দানা। মৌসম ভবন সূত্রে জানানো হয়েছে গত ছ'ঘন্টায় ঘূর্ণিঝড় গড়ে ১৫ কিলোমিটার বেগে উপকূলের দিকে এগিয়ে আসছে। আবহাওয়া দফতর জানাচ্ছে, ঘূর্ণিঝড় দানা'র এই স্থলভাগে ঢোকার বা 'ল্যান্ডফল' প্রক্রিয়া চলবে সারা রাত ধরে। ইতিমধ্যেই পূর্ব মেদিনীপুরের দিঘা এবং মন্দারমণিতে প্রবল বৃষ্টি এবং সমুদ্রে জলোচ্ছাস দেখা যাচ্ছে। ওড়িশার বালেশ্বর, ধামরা, পারাদ্বীপ সহ পুরীতে আপৎকালীন ব্যবস্থা হিসেবে বিদ্যুৎ যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে।
রাত 2টো নাগাদ ল্যান্ডফলের সম্ভাবনা
মৌসম ভবনের তরফে জানানো হয়েছে রাত 2টো নাগাদ ভূখণ্ডে আছড়ে পড়তে পারে ঘূর্ণিঝড় দানা ।
ত্রাণ শিবিরে মন্ত্রীরা
গঙ্গাসাগরে কয়েক হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন ত্রাণ শিবিরে। গোসাবা থেকে গঙ্গাসাগর পর্যন্ত প্রায় 50 হাজারেরও বেশি মানুষ ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় গ্রহণ করেছেন।ইতিমধ্যে গঙ্গাসাগরের কাছাকাছি পানুমাঝিয়ানি অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রায় তিনশতাধিক মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন। অন্যদিকে, জেলা পরিষদের গঙ্গাসাগর যাত্রীনিবাসে আশ্রয় নিয়েছেন দুই শতাধিক মানুষ। গঙ্গাসাগরের বিডিও, মন্ত্রী বঙ্কিম হাজরা, গঙ্গাসাগর বকখালি ডেভেলাপমেন্ট অথরিটি ভাইস চেয়ারম্যান সন্দীপ পাত্র শিবিরে উপস্থিত থেকে মানুষদের পাশে খাবার বিতরণ করছেন।
কন্ট্রোল রুমে এলেন মমতা
ল্যান্ডফল থেকে দূরত্ব কমছে ঘূর্ণিঝড়ের। মুখ্যসচিব মনোজ পুন্থকে নিয়ে কন্ট্রোলরুমে পৌঁছে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ।
কর্পোরেশনের রাত্রিযাপন মেয়রের
দানা মোকাবিলায় কলকাতা কর্পোরেশনের কর্মী আধিকারিকরা ইতিমধ্যেই তৎপর ৷ দানার প্রভাবে কলকাতায় ভারী বর্ষণের পূর্বাভাস দিয়েছে আলিপুর হাওয়া অফিস। দুর্যোগের মুহূর্তে কর্মীরা কীভাবে কাজ করছে ? কোথাও কোনও বিপদ ঘটছে কি না, কন্ট্রোল রুম বসে নজরদারি চালাবেন কলকাতার মেয়র ফিরাদ হাকিম ৷
বন্ধ থাকবে লকগেট
বৃষ্টির সময় জল বাড়বে গঙ্গায়। বন্ধ থাকবে লকগেট ৷ ফলে দানার প্রভাবে জলযন্ত্রণায় ভুগতে হতে পারে কলকাতাকে ৷ কারণ ঝড় চলাকালীন কয়েকঘণ্টা বন্ধ থাকবে শহরের প্রতিটি লকগেট ।
সাগরদ্বীপের থেকে আরও দূরত্ব কমল দানা'র
আরও কাছে এল ঘূর্ণিঝড় দানা ৷ বর্তমানে ঝড়ের গতিবেগ ঘণ্টায় 10 কিমি ৷ এই মুহূর্তে দানা'র অবস্থান ওড়িশার পারাদ্বীপ থেকে 140 কিমি দক্ষিণ-পূর্বে এবং ধামরা থেকে 170 কিমি দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্বে ৷ আর সাগরদ্বীপ থেকে 240 কিমি দূরে রয়েছে ঘূর্ণিঝড় দানা ৷
বন্ধ করে দেওয়া হল কলকাতা বিমানবন্দর
ঘূর্ণিঝড় দানা'র সতর্কতা হিসেবে বন্ধ করে দেওয়া হল কলকাতা বিমানবন্দর ৷ আজ বিকেল সাড়ে 5টা থেকে আগামিকাল সকাল 9টা পর্যন্ত দমদম বিমানবন্দর থেকে ওঠানামা করবে না কোনও বিমান ৷ কলকাতার পাশাপাশি ভুবনেশ্বর বিমানবন্দরও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ৷ বিজু পট্টনায়েক আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর বৃহস্পতিবার বিকেল 5টা থেকে শুক্রবার 9টা পর্যন্ত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
দিঘা ও মন্দারমণিতে ঢেউয়ের উচ্চতা হতে পারে 6 ফুট
বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার সকালের মধ্যে ওড়িশার ভিতরকণিকা ও ধামরার মধ্যভাগে ল্যান্ডফল হওয়ার সম্ভাবনা দানা'র ৷ ঘূর্ণিঝড় স্থলভাগে আছড়ে পড়ার সময় পশ্চিমবঙ্গের উপকূল দিঘা, মন্দারমণিতে প্রবল জলোচ্ছ্বাসের সম্ভাবনা ৷ ঢেউয়ের উচ্চতা হতে পারে 6 ফুটেরও বেশি ৷ এমনটাই জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। সতর্কতা হিসেবে আজ ও আগামিকাল কলকাতা, হাওড়া ও হুগলি এবং দুই 24 পরগনা জেলায় ফেরি সার্ভিস বন্ধ থাকবে ৷
স্থলভাগের আরও কাছে ঘূর্ণিঝড় দানা
স্থলভাগের আরও কাছে ঘূর্ণিঝড় দানা ৷ বর্তমানে ঝড়ের গতিবেগ ঘণ্টায় 13 কিমি ৷ এই মুহূর্তে দানা'র অবস্থান ওড়িশার পারাদ্বীপ থেকে 180 কিমি দক্ষিণ-পূর্বে এবং ধামরা থেকে 210 কিমি দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্বে ৷ আর সাগরদ্বীপ থেকে 270 কিমি দূরে রয়েছে ঘূর্ণিঝড় দানা ৷
রাজ্যে সাড়ে 800 ক্যাম্প
নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী জানান, দুর্যোগের আশঙ্কা রয়েছে এমন জায়গাগুলি থেকে 3 লক্ষ 56 হাজার 941 জনকে চিহ্নিত করা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত 1 লক্ষ 69 হাজার 873 জনকে নিরাপদে জায়গায় সরানো হয়েছে ৷ মোট 851টি ক্যাম্প চালানো হচ্ছে ৷ ত্রাণ শিবিরগুলিতে এখনও পর্যন্ত 83 হাজার 583 জন আশ্রয় নিয়েছেন।
নবান্নে চালু হেল্পলাইন নম্বর
রাতে নবান্নে থাকছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ যতক্ষণ না ল্যান্ডফল হচ্ছে ততক্ষণ আমরা সবাই নজর রাখব ৷ মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব ও আমি সজাগ থাকছি ৷ মুখ্যসচিব বাড়ি থেকে নজর রাখবেন ৷ আমি সকালে বাড়ি গেলে মুখ্যসচিব নবান্নে আসবেন ৷ নবান্নে হেল্পলাইন নাম্বার-033 2214 3526, 1070 আরও 20টি লাইন অ্যাসোসিয়েটেড আছে ৷ যাতে জেলার সঙ্গে কানেকশন থাকে ৷ ভয় পাবেন না সর্তক থাকুন ৷ সরকারি নির্দেশিকা মেনে চলুন ৷
ওড়িশায় 3 লক্ষ 62 হাজার মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরানো হয়েছে
ঘূর্ণিঝড় দানা'র বর্তমান অবস্থান দক্ষিণ-পূর্ব পারাদ্বীপের 210 কিমি এবং দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব ধামরা থেকে 240 কিলোমিটার দূরে ৷ তবে ইতিমধ্যেই তাণ্ডব শুরু করে দিয়েছে দানা ৷ সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে ওড়িশার 11টা জেলা ও 38 ব্লক থেকে 3 লক্ষ 62 হাজার মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে ৷
সাগরদ্বীপের দক্ষিণে 310 কিলোমিটার দূরে অবস্থান দানা'র
তীব্র ঘূর্ণিঝড় দানা উত্তর উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হচ্ছে ৷ এই মুর্হূতে এর অবস্থান উত্তর পশ্চিম ও মধ্য বঙ্গোপসাগরে। ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্র দক্ষিণ-পূর্ব পারাদ্বীপের 210 কিলোমিটার, ওড়িশার দক্ষিণ দক্ষিণ-পূর্ব ধামরা থেকে 240 কিলোমিটার এবং পশ্চিমবঙ্গের সাগরদ্বীপের দক্ষিণে 310 কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে ৷ এই তীব্র ঘূর্ণিঝড়টি উত্তর পশ্চিম দিকে অগ্রসর হবে ৷ ওড়িশার ভিতরকনিকা ও ধামরার মধ্যবর্তী অঞ্চলে আজ মধ্যরাত থেকে আগামিকাল সকালের মধ্যে আছড়ে পড়বে বলে জানিয়েছেন আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাঞ্চলীয় অধিকর্তা সোমনাথ দত্ত। ঘূর্ণিঝড়ের গতিবেগ 100 থেকে 110 কিলোমিটারের মধ্যে থাকবে। দমকা হাওয়ার গতিবেগ সর্বোচ্চ 120 কিলোমিটার হতে পারে।
দানা'র প্রভাবে কলকাতাতে বৃষ্টি
ঘূর্ণিঝড় যত এগিয়ে আসছে, ততই বাড়ছে ঝোড়ো হাওয়া ৷ ইতিমধ্যে উত্তাল সমুদ্র । জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মৎস্যজীবীদের গভীর সমুদ্রে মাছ ধরার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে ৷ কলকাতাতেও শুরু বৃষ্টি ৷
ঝড়ের তাণ্ডব শুরু ওড়িশায়
ঝড়ের তাণ্ডব শুরু ওড়িশায় ৷ রাজ্য সরকার পুনর্গঠনের কাজও শুরু করেছে। ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় ঝড়ের কারণে উপড়ে পড়েছে গাছ ৷ সেগুলি কেটে যান চলাচলের সুবিধা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর কার্যালয়।
মাঠ থেকে পাকা শস্য তুলে নেওয়ার পরামর্শ কৃষিমন্ত্রীর
পুজোর আগেই টানা বৃষ্টি, তারপর জল ছাড়া নিয়ে বিতর্ক এবং বন্যা পরিস্থিতি বিপাকে পড়তে হয়েছিল রাজ্যে কৃষকদের। আরও একবার বাংলার কৃষকদের সামনে বিপদের ভ্রুকুটি। বাংলা এবং ওড়িশায় দরজায় কড়া নাড়ছে ঘূর্ণিঝড় দানা। এই অবস্থায় কৃষকদের ফসলে ক্ষতিক সম্ভাবনা। তবে বুধবার সাংবাদিক সম্মেলন করে রাজ্যের সাধারণ কৃষকদের আশ্বস্ত করলেন কৃষিমন্ত্রী শোভন দেব চট্টোপাধ্যায়। পাকা শস্য কেটে নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী।
শক্তি বাড়িয়ে উপকূলের দিকে এগোচ্ছে ঘূর্ণিঝড় দানা
শক্তি বাড়িয়ে উপকূলের দিকে এগোচ্ছে ঘূর্ণিঝড় দানা
বুধবার মধ্যরাতেই প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে দানা। ঘূর্ণিঝড়ের ল্যান্ডফল-এর সময় এই ঘূর্ণিঝড়ের সর্বোচ্চ গতিবেগ হতে পারে প্রতি ঘণ্টায় 120 কিলোমিটার ৷ বৃহস্পতিবার (24 অক্টোবর) সকাল সাড়ে 5টার আবহাওয়া দফতরের আপডেট অনুযায়ী, ঘূর্ণিঝড় দানা ওড়িশার পারাদ্বীপ থেকে প্রায় 210 কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে, ওড়িশার ধামরা থেকে 240 কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপূর্বে এবং পশ্চিমবঙ্গের সাগর দ্বীপের থেকে 310 কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছে ৷