ETV Bharat / state

রাজ্যের প্রথম লুপ সেতু দেখতে ভিড় বাগরাকোটে, তৈরি হচ্ছে 10 নম্বর জাতীয় সড়কের বিকল্প রাস্তা - FIRST LOOP BRIDGE

ভারত-চিন সীমান্ত পর্যন্ত হচ্ছে নতুন 717 নম্বর জাতীয় সড়ক ৷ জলপাইগুড়ি জেলার বাগরাকোট থেকে নাথুলা পর্যন্ত দুই লেনের এই রাস্তা ৷

first loop bridge
বাগরাকোটের নতুন আকর্ষণ কেন্দ্র রাজ্যের প্রথম লুপ সেতু (নিজস্ব ছবি)
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Jan 4, 2025, 8:10 PM IST

জলপাইগুড়ি, 4 জানুয়ারি: রাজ্যের প্রথম লুপ সেতু তৈরি হচ্ছে জলপাইগুড়ির ডুয়ার্সের বাগরাকোটে ৷ যদিও সেতুটি এখনও জনসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হয়নি ৷ তবে রাস্তার মাঝে সর্পিল আকারে নির্মীয়মাণ লুপ সেতুটি দেখতে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ইতিমধ্যে বাগরাকোটে ভিড় জমাচ্ছেন পর্যটকরা ৷

শুধু সেতু নয়, সামরিক বাহিনীর প্রয়োজনে নির্মীয়মাণ রাস্তাও পর্যটকদের আকর্ষণের আর এক কেন্দ্রবিন্দু । বেশ কয়েক বছর ধরে জলপাইগুড়ি জেলার বাগরাকোট থেকে নাথুলা পর্যন্ত দুই লেনের এই রাস্তা তৈরি হচ্ছে ৷ এই রাস্তা সিকিমের সঙ্গে যুক্ত করবে পশ্চিমবঙ্গকে ৷ বাগরাকোট থেকে সেনাবাহিনীর ক্যাম্পের সামনের রাস্তা দিয়ে সামান্য গেলেই নতুন 717 নম্বর জাতীয় সড়কের এই রাস্তা । আগামিদিনে সেনার ভারত-চিন সীমান্তে যুদ্ধ সরঞ্জাম নিয়ে যাওয়া বা যাতায়াতের জন্য এটি মূল রাস্তা হতে চলেছে ।

রাজ্যের প্রথম লুপ সেতু দেখতে ভিড় বাগরাকোটে, তৈরি হচ্ছে 10 নম্বর জাতীয় সড়কের বিকল্প রাস্তা (ইটিভি ভারত)

ডুয়ার্স বা শিলিগুড়ি থেকে সিকিম যাওয়ার বিকল্প রুট হিসেবে এই রাস্তাটি ভারত সরকারের সড়ক ও পরিবহণ মন্ত্রকের পক্ষ থেকে করা হচ্ছে । সেভক বা 10 নম্বর জাতীয় সড়কের বিকল্প রাস্তা হবে এটি ৷ বাগরাকোট দিয়ে নাথুলা পর্যন্ত এই রাস্তাটি হাসিমারা ও বিন্নাগুড়ি সেনা ছাউনিকে যুক্ত করবে । একইসঙ্গে বাগরাকোট ডামডিম এলাকায় রেললাইনের উপর একটি বড় সেতুও তৈরি করা হচ্ছে । সব মিলিয়ে নাথুলা সীমান্তে চিনের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে লড়াই করতে বিকল্প রাস্তা হিসেবে ভারত সরকার এটি তৈরি করছে বলে জানা গিয়েছে ।

শিলিগুড়ি থেকে সেভক হয়ে 10 নম্বর জাতীয় সড়ক এতদিন ছিল বাংলা ও সিকিমের লাইফ লাইন ৷ তবে উত্তরবঙ্গ থেকে সিকিম যাওয়ার ওই রাস্তা মাঝেমধ্যেই বন্ধ হয়ে যায় । এর কারণ তিস্তার ভাঙন ও ধস ৷ এতদিন ওটি ছিল সোনাবাহিনীর পরিবহণের একমাত্র রাস্তা । সীমান্তে চিনের আগ্রাসনের ফলে মাঝেমধ্যেই উত্তেজনা ছড়ায় । তাই 10 নম্বর জাতীয় সড়ক বন্ধ হয়ে গেলে দেশের সুরক্ষার ক্ষেত্রে একটা চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায় । সেই দিক থেকে বাগরাকোট থেকে নাথুলা পর্যন্ত এই রাস্তাটি হওয়ার ফলে এবার থেকে সামরিক পরিবহণের ক্ষেত্রে সুবিধা হবে । সেনার কাছে একটি বিকল্প রাস্তা থাকবে ৷

first loop bridge
সিকিমের সঙ্গে যুক্ত করবে পশ্চিমবঙ্গকে (নিজস্ব ছবি)

জলপাইগুড়ি জেলার বাগরাকোট থেকে প্রথম 18 কিলোমিটারের মধ্যে 12-14 কিলোমিটার রাস্তা পাহাড় কেটে তৈরি করা হচ্ছে । প্রথম 18 কিলোমিটার রাস্তার বরাত পেয়েছে ঝাড়খণ্ডের একটা সংস্থা । বাগরাকোট থেকে লুপ সেতুর দূরত্ব 4-5 কিলোমিটার । ছয় বছর ধরে 45 মিস্ত্রী ও শ্রমিক মিলে 350 জন কাজ করে চলেছেন এই সেতু তৈরির । দু’টি ভাগে সেতু রয়েছে ৷ একটির দৈর্ঘ্য 900 মিটার ও অপরটির 400 ও 500 মিটার ৷

first loop bridge
717 নম্বর জাতীয় সড়কের এই রাস্তা (নিজস্ব ছবি)

বাগরাকোট থেকে 717 নম্বর জাতীয় সড়কটি ভারত-চিন সীমান্তে নাথুলা পর্যন্ত যাবে । পাহাড় কেটে রাস্তাটি 2018-2019 সাল থেকে তৈরি করা হচ্ছে । এই জাতীয় সড়কটির জলপাইগুড়ি জেলার বাগরাকোট থেকে চুইখিম 13 কিলোমিটার রাস্তার মাঝে বাগরাকোট চুইখিমে লুপ পুলটি তৈরি হয়েছে । বাগরাকোট থেকে চার কিলোমিটার দূরেই এই লুপ সেতুটি তৈরি হয়েছে, যা পর্যটকদের কাছে আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু ।

first loop bridge
বাগরাকোট থেকে নাথুলা পর্যন্ত যাবে (নিজস্ব ছবি)

জলপাইগুড়ি জেলার বাগরাকোট থেকে চুইখিম, দাড়াগাও, বরবর হয়ে কাফের হয়ে কালিম্পং বাইপাস হয়ে আলগারা, ঋষি পেডং, রোরাথাং পাকয়াং এয়ারপোর্টের পাশ দিয়ে রানিপুল হয়ে ভারত-চিন সীমান্ত নাথুলা পর্যন্ত দুই লেনের জাতীয় সড়কটি যাবে । ন্যাশনাল হাইওয়ে অ্যান্ড ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভলপমেন্ট কর্পোরেশন লিমিটেড 717 নম্বর জাতীয় সড়কটি নির্মাণ করছে । জলপাইগুড়ি, কালিম্পং, পাকয়াং ও গ্যাংটক জেলাকে জুড়বে এই জাতীয় সড়কটি । এই জাতীয় সড়কটি প্রায় 200 কিলোমিটার লম্বা ।

first loop bridge
দুই লেনের এই রাস্তা (নিজস্ব ছবি)

বাগরাকোট লুপ পুল দেখতে আসা পর্যটক তুষার রাউত বলেন, "বাগরাকোট লুপ সেতুটি দেখতে অপূর্ব । আজ দেখতে এলাম খুব ভালো লাগছে । দুটো সেতু হয়েছে । গাড়ি চালিয়ে আনন্দ পাওয়া যায় । উত্তরবঙ্গে এই প্রথম লুপ সেতু । এই রাস্তাটি আগামী দিনে পর্যটন মানচিত্রে একটা জায়গা করে নেবে । এই রাস্তা দিয়েই সিকিম আমরা যেতে পারব ।"

first loop bridge
রাজ্যের প্রথম লুপ সেতু বাগরাকোটে (নিজস্ব ছবি)

পর্যটক শঙ্কর মজুমদারের কথায়, "রাস্তা ও সেতু তৈরি হওয়ায় এদিকের যোগাযোগ ব্যবস্থা খুবই উন্নত হবে । সামরিক পরিবহণের ক্ষেত্রে এই রাস্তাটি গুরুত্বপূর্ণ হবে ৷ এই রাস্তাটি ভারত-চিন সীমান্ত নাথুলা পর্যন্ত যাবে । বর্ডার সিকিউরিটির ক্ষেত্রে এই রাস্তাটি যেমন গুরুত্বপূর্ণ হবে ৷ তেমনই এখানকার নতুন পর্যটনস্থল হবে এই লুপ সেতুটি ।"

first loop bridge
দেখতে ভিড় পর্যটকদের (নিজস্ব ছবি)

শিলিগুড়ির বাসিন্দা তনুশ্রী মজুমদারের বক্তব্য, "এত সুন্দর সেতু এদিকে নেই । এই রাস্তাটি হয়ে যাওয়ার ফলে প্রচুর পর্যটক ঘুরতে আসবে এখানে । তিস্তার ভাঙনের ফলে আমাদের 10 নম্বর জাতীয় সড়ক মাঝে মধ্যে খারাপ হয়ে যায় ।" বাগরাকোটে আসা পর্যটক সালমা বেগম, হেনা পারভিন ও সাগর রাই বলেন, "এই বাগরাকোট লুপ সেতুটি দেখতে প্রচুর মানুষ আসছে । আমরাও ঘুরতে এলাম । আগামীতেও প্রচুর মানুষ আসবে ।"

first loop bridge
পাহার কেটে তৈরি করা হচ্ছে সেতুটি (নিজস্ব ছবি)

নতুন এই জাতীয় সড়কের সাইট ইনচার্জ মুস্তাফা আলম বলেন, "ভারত-চিন সীমান্ত পর্যন্ত এই রাস্তাটি যাবে । প্রচুর মানুষ আসছে এই সেতুটি দেখার জন্য । বিগত 6 বছর ধরে আমরা কাজ করছি । উত্তরবঙ্গে এই ধরনের সেতু আর নেই । তাই প্রচুর মানুষ দেখতে আসছে । ভিড় ঠেকাতে পুলিশ থাকছে নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য ।"

first loop bridge
দুই ভাগে রয়েছে লুপ সেতু (নিজস্ব ছবি)

জলপাইগুড়ি, 4 জানুয়ারি: রাজ্যের প্রথম লুপ সেতু তৈরি হচ্ছে জলপাইগুড়ির ডুয়ার্সের বাগরাকোটে ৷ যদিও সেতুটি এখনও জনসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হয়নি ৷ তবে রাস্তার মাঝে সর্পিল আকারে নির্মীয়মাণ লুপ সেতুটি দেখতে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ইতিমধ্যে বাগরাকোটে ভিড় জমাচ্ছেন পর্যটকরা ৷

শুধু সেতু নয়, সামরিক বাহিনীর প্রয়োজনে নির্মীয়মাণ রাস্তাও পর্যটকদের আকর্ষণের আর এক কেন্দ্রবিন্দু । বেশ কয়েক বছর ধরে জলপাইগুড়ি জেলার বাগরাকোট থেকে নাথুলা পর্যন্ত দুই লেনের এই রাস্তা তৈরি হচ্ছে ৷ এই রাস্তা সিকিমের সঙ্গে যুক্ত করবে পশ্চিমবঙ্গকে ৷ বাগরাকোট থেকে সেনাবাহিনীর ক্যাম্পের সামনের রাস্তা দিয়ে সামান্য গেলেই নতুন 717 নম্বর জাতীয় সড়কের এই রাস্তা । আগামিদিনে সেনার ভারত-চিন সীমান্তে যুদ্ধ সরঞ্জাম নিয়ে যাওয়া বা যাতায়াতের জন্য এটি মূল রাস্তা হতে চলেছে ।

রাজ্যের প্রথম লুপ সেতু দেখতে ভিড় বাগরাকোটে, তৈরি হচ্ছে 10 নম্বর জাতীয় সড়কের বিকল্প রাস্তা (ইটিভি ভারত)

ডুয়ার্স বা শিলিগুড়ি থেকে সিকিম যাওয়ার বিকল্প রুট হিসেবে এই রাস্তাটি ভারত সরকারের সড়ক ও পরিবহণ মন্ত্রকের পক্ষ থেকে করা হচ্ছে । সেভক বা 10 নম্বর জাতীয় সড়কের বিকল্প রাস্তা হবে এটি ৷ বাগরাকোট দিয়ে নাথুলা পর্যন্ত এই রাস্তাটি হাসিমারা ও বিন্নাগুড়ি সেনা ছাউনিকে যুক্ত করবে । একইসঙ্গে বাগরাকোট ডামডিম এলাকায় রেললাইনের উপর একটি বড় সেতুও তৈরি করা হচ্ছে । সব মিলিয়ে নাথুলা সীমান্তে চিনের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে লড়াই করতে বিকল্প রাস্তা হিসেবে ভারত সরকার এটি তৈরি করছে বলে জানা গিয়েছে ।

শিলিগুড়ি থেকে সেভক হয়ে 10 নম্বর জাতীয় সড়ক এতদিন ছিল বাংলা ও সিকিমের লাইফ লাইন ৷ তবে উত্তরবঙ্গ থেকে সিকিম যাওয়ার ওই রাস্তা মাঝেমধ্যেই বন্ধ হয়ে যায় । এর কারণ তিস্তার ভাঙন ও ধস ৷ এতদিন ওটি ছিল সোনাবাহিনীর পরিবহণের একমাত্র রাস্তা । সীমান্তে চিনের আগ্রাসনের ফলে মাঝেমধ্যেই উত্তেজনা ছড়ায় । তাই 10 নম্বর জাতীয় সড়ক বন্ধ হয়ে গেলে দেশের সুরক্ষার ক্ষেত্রে একটা চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায় । সেই দিক থেকে বাগরাকোট থেকে নাথুলা পর্যন্ত এই রাস্তাটি হওয়ার ফলে এবার থেকে সামরিক পরিবহণের ক্ষেত্রে সুবিধা হবে । সেনার কাছে একটি বিকল্প রাস্তা থাকবে ৷

first loop bridge
সিকিমের সঙ্গে যুক্ত করবে পশ্চিমবঙ্গকে (নিজস্ব ছবি)

জলপাইগুড়ি জেলার বাগরাকোট থেকে প্রথম 18 কিলোমিটারের মধ্যে 12-14 কিলোমিটার রাস্তা পাহাড় কেটে তৈরি করা হচ্ছে । প্রথম 18 কিলোমিটার রাস্তার বরাত পেয়েছে ঝাড়খণ্ডের একটা সংস্থা । বাগরাকোট থেকে লুপ সেতুর দূরত্ব 4-5 কিলোমিটার । ছয় বছর ধরে 45 মিস্ত্রী ও শ্রমিক মিলে 350 জন কাজ করে চলেছেন এই সেতু তৈরির । দু’টি ভাগে সেতু রয়েছে ৷ একটির দৈর্ঘ্য 900 মিটার ও অপরটির 400 ও 500 মিটার ৷

first loop bridge
717 নম্বর জাতীয় সড়কের এই রাস্তা (নিজস্ব ছবি)

বাগরাকোট থেকে 717 নম্বর জাতীয় সড়কটি ভারত-চিন সীমান্তে নাথুলা পর্যন্ত যাবে । পাহাড় কেটে রাস্তাটি 2018-2019 সাল থেকে তৈরি করা হচ্ছে । এই জাতীয় সড়কটির জলপাইগুড়ি জেলার বাগরাকোট থেকে চুইখিম 13 কিলোমিটার রাস্তার মাঝে বাগরাকোট চুইখিমে লুপ পুলটি তৈরি হয়েছে । বাগরাকোট থেকে চার কিলোমিটার দূরেই এই লুপ সেতুটি তৈরি হয়েছে, যা পর্যটকদের কাছে আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু ।

first loop bridge
বাগরাকোট থেকে নাথুলা পর্যন্ত যাবে (নিজস্ব ছবি)

জলপাইগুড়ি জেলার বাগরাকোট থেকে চুইখিম, দাড়াগাও, বরবর হয়ে কাফের হয়ে কালিম্পং বাইপাস হয়ে আলগারা, ঋষি পেডং, রোরাথাং পাকয়াং এয়ারপোর্টের পাশ দিয়ে রানিপুল হয়ে ভারত-চিন সীমান্ত নাথুলা পর্যন্ত দুই লেনের জাতীয় সড়কটি যাবে । ন্যাশনাল হাইওয়ে অ্যান্ড ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভলপমেন্ট কর্পোরেশন লিমিটেড 717 নম্বর জাতীয় সড়কটি নির্মাণ করছে । জলপাইগুড়ি, কালিম্পং, পাকয়াং ও গ্যাংটক জেলাকে জুড়বে এই জাতীয় সড়কটি । এই জাতীয় সড়কটি প্রায় 200 কিলোমিটার লম্বা ।

first loop bridge
দুই লেনের এই রাস্তা (নিজস্ব ছবি)

বাগরাকোট লুপ পুল দেখতে আসা পর্যটক তুষার রাউত বলেন, "বাগরাকোট লুপ সেতুটি দেখতে অপূর্ব । আজ দেখতে এলাম খুব ভালো লাগছে । দুটো সেতু হয়েছে । গাড়ি চালিয়ে আনন্দ পাওয়া যায় । উত্তরবঙ্গে এই প্রথম লুপ সেতু । এই রাস্তাটি আগামী দিনে পর্যটন মানচিত্রে একটা জায়গা করে নেবে । এই রাস্তা দিয়েই সিকিম আমরা যেতে পারব ।"

first loop bridge
রাজ্যের প্রথম লুপ সেতু বাগরাকোটে (নিজস্ব ছবি)

পর্যটক শঙ্কর মজুমদারের কথায়, "রাস্তা ও সেতু তৈরি হওয়ায় এদিকের যোগাযোগ ব্যবস্থা খুবই উন্নত হবে । সামরিক পরিবহণের ক্ষেত্রে এই রাস্তাটি গুরুত্বপূর্ণ হবে ৷ এই রাস্তাটি ভারত-চিন সীমান্ত নাথুলা পর্যন্ত যাবে । বর্ডার সিকিউরিটির ক্ষেত্রে এই রাস্তাটি যেমন গুরুত্বপূর্ণ হবে ৷ তেমনই এখানকার নতুন পর্যটনস্থল হবে এই লুপ সেতুটি ।"

first loop bridge
দেখতে ভিড় পর্যটকদের (নিজস্ব ছবি)

শিলিগুড়ির বাসিন্দা তনুশ্রী মজুমদারের বক্তব্য, "এত সুন্দর সেতু এদিকে নেই । এই রাস্তাটি হয়ে যাওয়ার ফলে প্রচুর পর্যটক ঘুরতে আসবে এখানে । তিস্তার ভাঙনের ফলে আমাদের 10 নম্বর জাতীয় সড়ক মাঝে মধ্যে খারাপ হয়ে যায় ।" বাগরাকোটে আসা পর্যটক সালমা বেগম, হেনা পারভিন ও সাগর রাই বলেন, "এই বাগরাকোট লুপ সেতুটি দেখতে প্রচুর মানুষ আসছে । আমরাও ঘুরতে এলাম । আগামীতেও প্রচুর মানুষ আসবে ।"

first loop bridge
পাহার কেটে তৈরি করা হচ্ছে সেতুটি (নিজস্ব ছবি)

নতুন এই জাতীয় সড়কের সাইট ইনচার্জ মুস্তাফা আলম বলেন, "ভারত-চিন সীমান্ত পর্যন্ত এই রাস্তাটি যাবে । প্রচুর মানুষ আসছে এই সেতুটি দেখার জন্য । বিগত 6 বছর ধরে আমরা কাজ করছি । উত্তরবঙ্গে এই ধরনের সেতু আর নেই । তাই প্রচুর মানুষ দেখতে আসছে । ভিড় ঠেকাতে পুলিশ থাকছে নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য ।"

first loop bridge
দুই ভাগে রয়েছে লুপ সেতু (নিজস্ব ছবি)
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.