কলকাতা, 16 মার্চ: উত্তরবঙ্গ থেকে দক্ষিণবঙ্গের 16টি আসনে ইতিমধ্যে প্রার্থী ঘোষণা করেছে সিপিএম । আর তারপরেই জল্পনা তৈরি হয় তাহলে কি হাত ছাড়ল বামেরা ? ভাইজানের সঙ্গেও আপত্তি তাদের? তবে সেই জল্পনার হয়তো দ্রুত অবসান ঘটবে । কারণ পরোক্ষে জোটের পথেই হাঁটছে তৃণমূল-বিজেপি বিরোধী তিন শক্তি বাম, কংগ্রেস ও আইএসএফ ৷ এমনটাই সম্ভাবনা বলে জানা যাচ্ছে সিপিএম সূত্রে ।
তৃণমূল ও বিজেপির বিরুদ্ধে প্রথম থেকেই বিরোধী ভোট এককাট্টা করতে উদ্যোগী সিপিএম । প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীও জোটের পক্ষেই । ওদিকে কংগ্রেসে হাত ধরা নিয়ে তাপ উত্তাপ না থাকলেও সিপিএমের সঙ্গে যেতে আগ্রহ দেখিয়ে আইএসএফ আলিমুদ্দিনে হাজির হয়েছিল । তবে ইতিমধ্যেই একাধিক আসনে বিজেপি প্রার্থী ঘোষণা করে । এমনকী জনগর্জন সভা মঞ্চ থেকে রাজ্যের 42 আসনের সবকটিতেই প্রার্থী ঘোষণা করে তৃণমূল কংগ্রেসও । ফলে এমন পরিস্থিতিতে বিরোধী দল বাম ও কংগ্রেসের উপর চাপ বাড়ছিল । কিন্তু জোট নাকি একলা লড়াই, দুই পক্ষই ছিল চরম দোলাচলে ।
সূত্রের খবর, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সফরের দিনই কংগ্রেস নেতৃত্বের সঙ্গে গোপন বৈঠকে হাজির ছিলেন খোদ সিপিএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম । পরে আলিমুদ্দিন স্ট্রিটে সিপিএম রাজ্য দফতরে আইএসএফ নেতারা বিমান বসু ও সেলিমের সঙ্গে আলোচনা করেন আসন রফা নিয়ে । সময় চলে যাচ্ছে দেখে 42টি আসনের তালিকা প্রস্তুত করে ফেলে বামেরা । তবে এখনও পর্যন্ত 16টি আসনের প্রার্থী প্রকাশ করা হয়েছে ।
জানা গিয়েছে, 9-10টি আসন কংগ্রেসের জন্য ও 3-4 টি আসন আইএসএফের জন্য ছেড়ে রেখেছে সিপিএম । অর্থাৎ 12-14 আসন নওশাদ সিদ্দীকী, অধীর চোধুরীদের জন্য ছেড়ে দ্বিতীয় দফায় আরও 12 থেকে 14 আসনে প্রার্থী ঘোষণা করবে বামেরা । ফলে এই ঘোষণার মধ্য দিয়ে পরোক্ষ জোট হলেও কংগ্রেস আইএসএফ থেকে খানিকটা এগিয়ে থাকল সিপিএম । এই অবস্থায় আগামী শনিবার প্রদেশ কংগ্রেসের তরফে প্রার্থী ঘোষণা করলে আরও স্পষ্ট হবে ছবি । পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমে 8 আসনের নাম পোস্ট করলেও আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো প্রার্থী তালিকা এখনও প্রকাশ করেনি নওশাদ সিদ্দীকীর দল । কলকাতা উত্তর ও মালদার দুই আসন যেতে পারে কংগ্রেসের হাতে ।
আরও পড়ুন: