হাওড়া, 2 মে: পঞ্চম দফায় 20 মে হাওড়া সদর ও উলুবেড়িয়া কেন্দ্রে নির্বাচন রয়েছে । হাওড়ার তৃণমূল প্রার্থী প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়ের জয় নিশ্চিত বলে দাবি করেও ভোটারদের ভয় দেখানোর অভিযোগ উঠল দলীয় বিধায়ক গৌতম চৌধুরীর বিরুদ্ধে ।
সম্প্রতি একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে সোশাল মিডিয়ায় ৷ সেই ভিডিয়োতেই দেখতে পাওয়া যাচ্ছে উত্তর হাওড়ার বিধায়ক মধ্যরাত্রে লোকজন নিয়ে স্থানীয় একটি আবাসনে ঢুকে ভোটারদের শাসানি দিচ্ছেন। বিজেপির দাবি সেখানে তিনি বলছেন, "ওই দিন ভোট দিতে যাবেন না । আগামী 20 তারিখ ভোট দিতে না-গেলে আমি বুঝব আপনারা আমাকে ভোট দিলেন।" এখানেই থামেননি বিধায়ক । যারা তাঁর কথা মতো কাজ করবেন না তাদের জলের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার হুমকি দিয়েছেন ৷ এমনটাই অভিযোগ স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বের । তাদের আরও দাবি টিএমসি বিধায়ক গৌতম চৌধুরী হাওড়া জেলার হিন্দিভাষী ভোটারদের হুমকি দিয়েছেন ৷ তৃণমূল ছাড়া অন্য কোনও দলকে ভোট দেওয়ার বিরুদ্ধে সতর্ক করেছেন । যদিও ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি ইটিভি ভারত ৷
এর আগে উত্তর হাওড়ার গোলাবাড়িতে একটি বহুতল আবাসনে দলবল নিয়ে গিয়েছিলেন তৃণমূল বিধায়ক । আবাসিকদের আগামী 20 তারিখ ভোট দিতে না-যাওয়ার হুমকি দিয়েছেন তিনি বলে অভিযোগ করছে স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব ।
যদিও এই বিষয় নিয়ে হাওড়ার বিদায়ী সাংসদ তথা প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রশ্ন করা হলে তিনি বিষয়টিকে উড়িয়ে দিয়ে বলেন, "আমি ওই ধরনের কোনও ভিডিয়ো দেখিনি । দেখলে বলতে পারব । আমরা ভদ্রলোক । মিথ্যে বলতে আসিনি । গৌতমের সঙ্গে আমি রাতদিন ঘুরছি । কোথাও এই ধরনের কোনও ঘটনা ঘটেনি । এগুলো বিজেপির চক্রান্ত ।"
যদিও গোটা ঘটনাতে তৃণমূলকে একহাত নিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সম্পাদক উমেশ রাই । তিনি বলেন, "ওই বিধায়ক উত্তর হাওড়া এলাকায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন । মানুষকে ভয় দেখাচ্ছেন । উনি কয়েকশো লোক নিয়ে রবিবার রাতে গোলাবাড়ির একটি আবাসনে ঢুকে পড়েন । উনি ভোটারদের হুমকি দেন 20 মে ভোট দিতে যাবেন না । বাড়ি থেকে বেরোবেন না । এই নিয়ে আমরা কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন, রাজ্য নির্বাচন কমিশন এবং হাওড়ার পুলিশ কমিশনারকে অভিযোগ জানিয়েছি ।"
এই অভিযোগ বিষয়ে বিধায়ক গৌতম চৌধুরীর মন্তব্য না-পাওয়া গেলেও, দলীয় সূত্রে খবর ভোট চাইতে সব বুথেই ভোট চাইতে যাওয়া হচ্ছে । ভোটের দিন গরম খুব পড়বে তো । গরমটাকে একটু বাঁচিয়ে চলার আবেদন জানানো হয়েছে । যদিও তারই মাঝে এই ধরনের ঘটনায় নিশ্চিত জয়ের ব্যাপারে শাসকদলের আত্মবিশ্বাস নড়বড়ে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক মহল ।
আরও পড়ুন :