মালদা, 15 সেপ্টেম্বর: সাতসকালে বোমাবাজিতে মৃত্যু হল কংগ্রেস নেতার ৷ অভিযোগের তির তৃণমূল কংগ্রেসের দিকে ৷ ঘটনাটি ঘটেছে মালদা জেলার মানিকচকের গোপালপুরের বালুটোলা এলাকায় ৷ মৃত কংগ্রেস নেতার নাম সইফুদ্দিন ৷ গুরুতর আহত হয়েছেন আরও দু'জন ৷ ঘটনাস্থল থেকে এখনও দেহ উদ্ধার করা যায়নি । স্থানীয় বাসিন্দারা টায়ার জ্বালিয়ে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন । ঘটনাস্থলে গিয়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু বক্কর । উপস্থিত কংগ্রেসের জেলা সভাপতি তথা প্রাক্তন সংসদ আবু হাসেম খান চৌধুরীও ।
গত পঞ্চায়েত নির্বাচন থেকেই কংগ্রেস ও তৃণমূলের এলাকা দখলের লড়াইয়ে উত্তপ্ত মানিকচকের গোপালপুর ৷ সংঘর্ষে একাধিক প্রাণ গিয়েছে ৷ সোমবার সেই সংঘর্ষেই প্রাণ গেল আরও এক কংগ্রেস নেতার ৷ অভিযোগ, পরিকল্পিতভাবেই বোমা মেরে কংগ্রেস নেতাকে খুন করেছে শাসকদলের লোকজন ৷
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার সকালে মানিকচকের গোপালপুরের বালুটোলা এলাকায় কংগ্রেস নেতা সইফুদ্দিনকে লক্ষ্য করে দুটি বোমা ছোড়া হয় ৷ বোমার আঘাতে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় সইফুদ্দিনের ৷ বোমার আঘাতে গুরুতর আহত হন আরও দুজন ৷ তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে ৷ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছে ৷ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে টহলদারি শুরু করেছে মানিকচক থানার পুলিশ ৷
সইফুদ্দিনের এক আত্মীয় বলেন, "নাসিরের লোকজন পেছন থেকে সইফুদ্দিন সাহেবকে দুটি বোমা মেরেছে ৷ এর আগে আমার কাকার ছেলেকে খুন করা হয়েছে ৷ আজ আবার এই ঘটনা ৷ তৃণমূলের লোকজন এসব ঘটনা ঘটাচ্ছে ৷ দীর্ঘদিন ধরে এই বিবাদ চলছে ৷"
জেলা তৃণমূলের মুখপাত্র আশিস কুন্ডুর বক্তব্য,"মানিকচকের ঘটনায় আমার দলের তরফে তীব্র নিন্দা জানাই ৷ আপনারা নিশ্চিন্তে থাকুন মালদা থানার পুলিশ অত্যন্ত তৎপর ৷ পুলিশ আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে ৷ দোষীরা খুব তাড়াতাড়ি ধরা পড়বে ৷ তৃণমূল কংগ্রেস কোনও ধরনের অপরাধকে এর আগেও বরদাস্ত করেনি এবং আগামিদিনেও করবে না ৷"
সিপিআইএমের জেলা কমিটির সদস্য দেবজ্যোতি সিনহা বলেন, "গোপালপুরের কংগ্রেস নেতা সইফুদ্দিনকে লক্ষ্য করে বোমা ছোড়া হয়েছে ৷ চৌকি ধরমপুরের ভরা বাজারের এই ঘটনায় সইফুদ্দিনের মৃত্যু হয়েছে ৷ আরও দু’জন গুরুতর আহত হয়েছেন ৷ গোপালপুরের বালুটোলা এলাকার পাঁচটি বুথে শাসকদলের নেতা তথা কংগ্রেস প্রধানের স্বামীর নেতৃত্বে দুষ্কৃতীদের রাজ চলছে ৷ গত পঞ্চায়েত নির্বাচন থেকে এই এলাকায় ব্যাপক সন্ত্রাস চলছে ৷ ওই গ্রামে পুলিশের ক্যাম্পও রয়েছে ৷ শাসকদল পুলিশের সহযোগিতা নিয়ে এই ধরনের ঘটনা ঘটেছে ৷ পরিস্থিতি এখনও উত্তপ্ত রয়েছে ৷ আহতদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে ৷"