ETV Bharat / state

ঘূর্ণিঝড় দানার জেরে রাজ্যে মৃত 1, ভিডিয়ো কনফারেন্সে পর্যালোচনা বৈঠক মুখ্যমন্ত্রীর

ঘূর্ণিঝড় দানার জেরে রাজ্যে মৃত্যু হল একজনের ৷ এদিন ভিডিয়ো কনফারেন্সে পর্যালোচনা বৈঠক করে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের খোঁজ নেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷

ETV BHARAT
পর্যালোচনা বৈঠক মুখ্যমন্ত্রী (নিজস্ব চিত্র)
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Oct 25, 2024, 2:43 PM IST

Updated : Oct 25, 2024, 4:45 PM IST

কলকাতা/পাথরপ্রতিমা, 25 অক্টোবর: ঘূর্ণিঝড় দানার জেরে রাজ্যে একজনের মৃত্যু হয়েছে ৷ জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ তিনি জানান, রাজ্য সরকারের তরফ থেকে মৃতের পরিবারকে সব ধরনের সাহায্য দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী । জানা গিয়েছে, পাথরপ্রতিমা ব্লকের শ্রীধর নগর এলাকায় ভেঙে পড়া গাছ ছাদ থেকে সরাতে গিয়ে বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় এক নাবালকের । তার নাম শুভজিৎ দাস (17)৷

ঘূর্ণিঝড় দানা আছড়ে পড়ার পর রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে কী অবস্থা, শুক্রবার ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে পর্যালোচনা বৈঠক করে তার খবর নেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । এই পর্যালোচনা বৈঠক থেকে তাঁর বার্তা, "রাজনীতি করার সময় এখন নয় । দুর্গত মানুষের পাশে থাকতে হবে সবাইকে। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে ৷ জল, খাবার থেকে শুরু করে বিভিন্ন প্রয়োজনীয় সামগ্রীর জোগান দিতে হবে ।"

এদিন মুখ্যমন্ত্রী এও স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে, ত্রাণ দেওয়ার ক্ষেত্রে রঙ দেখলে চলবে না ৷ প্রত্যেক দুর্গত মানুষ যাতে সাহায্য পান, তা নিশ্চিত করতে হবে । মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পর্যালোচনা বৈঠক করতে বসে শুক্রবার জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড়ের কারণে সতর্কতা হিসাবে নিচু এলাকা থেকে 2 লাখ 16 হাজার মানুষকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়েছে । রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কোথাও বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে যাওয়া, জল জমা, নদী বাঁধ ভেঙে যাওয়ার খবর আসছে । যুদ্ধকালীন তৎপরতায় সেই পরিস্থিতি মোকাবিলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ।

প্রসঙ্গত, এবারের ঘূর্ণিঝড়ে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর । এর পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত সাগর ও নামখানাও । মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, অধিকাংশ জায়গা থেকে মানুষেরা বলছেন, জেলাশাসক এবং পুলিশ সুপার ভালো কাজ করেছেন । ক্ষয়ক্ষতি পর্যালোচনার ক্ষেত্রে আধিকারিকদের আরও একটি দিন অপেক্ষা করতে বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী ৷ আগামিকাল বৃষ্টি থেমে গেলে 48 ঘণ্টা পরে কী অবস্থা রয়েছে তা জানাতে বলেন তিনি ।

মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ, ক্ষয়ক্ষতি পর্যালোচনা এবং ত্রাণ বিতরণের ক্ষেত্রে কেউ যেন বঞ্চিত না হন । কোনও অভিযোগ যেন না ওঠে । তিনি বলেন, "যে কাঁচা বাড়িগুলি ভেঙে গিয়েছে, যাঁদের চাষের ক্ষতি হয়েছে, তাঁদের ক্ষতিপূরণের তালিকা তৈরি করতে হবে । কেউ যাতে বঞ্চিত না হন । বিপদে পড়লে সবাই সমান । চাষিরা যাতে কোনওমতেই ক্ষতিপূরণ থেকে বঞ্চিত না হন । কেউ যাতে বলতে না পারেন ত্রাণ পাননি ।"

এদিন মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, "বন্যা বা এই ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগের পর সাপের উপদ্রব বাড়তে পারে ৷ তাই সাপের কামড়ে যাতে কেউ ক্ষতিগ্রস্ত না হন, সেজন্য ইঞ্জেকশনের ব্যাবস্থা রাখবেন ।" যেখানে যেখানে গাছ উপড়ে পড়েছে, সেই গাছগুলি যাতে পুনরায় বসানো যায় তার চেষ্টা করতেও নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী । একইসঙ্গে, তিনি বলেন, বাচ্চাদের বই, খাতা নষ্ট হলে তার ব্যবস্থা করতে হবে ।

মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, এই সময় ম্যালেরিয়ার প্রকোপে যাতে কেউ ক্ষতিগ্রস্ত না হন, সেজন্য সবার মশারির ব্যবস্থা করতে হবে । অন্তঃসত্ত্বাদের খেয়াল রাখতে হবে ৷ ডায়েরিয়ারার ওষুধের ব্যবস্থা রাখতে হবে । একই সঙ্গে পিএইচই দফতরের উদ্দেষে তাঁর নির্দেশ, যতক্ষণ না পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়, ততক্ষণ খাবার জল সরবরাহ করতে হবে ।

মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, "মানুষের বিপদে পাশে থাকতে হবে । ডিএম, এসপি-রা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করো ।" দক্ষিণ 24 পরগনায় ভাঙন পর্যালোচনা করতে যাওয়া রাজ্যের সেচসচিব মনীশ জৈনকে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ দিয়েছেন, "নদী বাঁধের ক্ষেত্রে মাটি দিয়ে কাজ করলে হবে না। ম্যানগ্রোভের ব্যবহার করো ।" তিনি আরও বলেন, "কেন্দ্রীয় সরকার টাকা দেয় না। যে কাজ করছো তা যদি জলে চলে যায়, তাহলে হবে না । বন্যা বা ডিজাস্টার কোনও খাতেই সাহায্য পাচ্ছি না আমরা । তাই যা কাজ করা হচ্ছে, তা যেন জলে না যায় সেটা দেখতে হবে ।"

কলকাতা/পাথরপ্রতিমা, 25 অক্টোবর: ঘূর্ণিঝড় দানার জেরে রাজ্যে একজনের মৃত্যু হয়েছে ৷ জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ তিনি জানান, রাজ্য সরকারের তরফ থেকে মৃতের পরিবারকে সব ধরনের সাহায্য দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী । জানা গিয়েছে, পাথরপ্রতিমা ব্লকের শ্রীধর নগর এলাকায় ভেঙে পড়া গাছ ছাদ থেকে সরাতে গিয়ে বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় এক নাবালকের । তার নাম শুভজিৎ দাস (17)৷

ঘূর্ণিঝড় দানা আছড়ে পড়ার পর রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে কী অবস্থা, শুক্রবার ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে পর্যালোচনা বৈঠক করে তার খবর নেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । এই পর্যালোচনা বৈঠক থেকে তাঁর বার্তা, "রাজনীতি করার সময় এখন নয় । দুর্গত মানুষের পাশে থাকতে হবে সবাইকে। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে ৷ জল, খাবার থেকে শুরু করে বিভিন্ন প্রয়োজনীয় সামগ্রীর জোগান দিতে হবে ।"

এদিন মুখ্যমন্ত্রী এও স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে, ত্রাণ দেওয়ার ক্ষেত্রে রঙ দেখলে চলবে না ৷ প্রত্যেক দুর্গত মানুষ যাতে সাহায্য পান, তা নিশ্চিত করতে হবে । মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পর্যালোচনা বৈঠক করতে বসে শুক্রবার জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড়ের কারণে সতর্কতা হিসাবে নিচু এলাকা থেকে 2 লাখ 16 হাজার মানুষকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়েছে । রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কোথাও বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে যাওয়া, জল জমা, নদী বাঁধ ভেঙে যাওয়ার খবর আসছে । যুদ্ধকালীন তৎপরতায় সেই পরিস্থিতি মোকাবিলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ।

প্রসঙ্গত, এবারের ঘূর্ণিঝড়ে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর । এর পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত সাগর ও নামখানাও । মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, অধিকাংশ জায়গা থেকে মানুষেরা বলছেন, জেলাশাসক এবং পুলিশ সুপার ভালো কাজ করেছেন । ক্ষয়ক্ষতি পর্যালোচনার ক্ষেত্রে আধিকারিকদের আরও একটি দিন অপেক্ষা করতে বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী ৷ আগামিকাল বৃষ্টি থেমে গেলে 48 ঘণ্টা পরে কী অবস্থা রয়েছে তা জানাতে বলেন তিনি ।

মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ, ক্ষয়ক্ষতি পর্যালোচনা এবং ত্রাণ বিতরণের ক্ষেত্রে কেউ যেন বঞ্চিত না হন । কোনও অভিযোগ যেন না ওঠে । তিনি বলেন, "যে কাঁচা বাড়িগুলি ভেঙে গিয়েছে, যাঁদের চাষের ক্ষতি হয়েছে, তাঁদের ক্ষতিপূরণের তালিকা তৈরি করতে হবে । কেউ যাতে বঞ্চিত না হন । বিপদে পড়লে সবাই সমান । চাষিরা যাতে কোনওমতেই ক্ষতিপূরণ থেকে বঞ্চিত না হন । কেউ যাতে বলতে না পারেন ত্রাণ পাননি ।"

এদিন মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, "বন্যা বা এই ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগের পর সাপের উপদ্রব বাড়তে পারে ৷ তাই সাপের কামড়ে যাতে কেউ ক্ষতিগ্রস্ত না হন, সেজন্য ইঞ্জেকশনের ব্যাবস্থা রাখবেন ।" যেখানে যেখানে গাছ উপড়ে পড়েছে, সেই গাছগুলি যাতে পুনরায় বসানো যায় তার চেষ্টা করতেও নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী । একইসঙ্গে, তিনি বলেন, বাচ্চাদের বই, খাতা নষ্ট হলে তার ব্যবস্থা করতে হবে ।

মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, এই সময় ম্যালেরিয়ার প্রকোপে যাতে কেউ ক্ষতিগ্রস্ত না হন, সেজন্য সবার মশারির ব্যবস্থা করতে হবে । অন্তঃসত্ত্বাদের খেয়াল রাখতে হবে ৷ ডায়েরিয়ারার ওষুধের ব্যবস্থা রাখতে হবে । একই সঙ্গে পিএইচই দফতরের উদ্দেষে তাঁর নির্দেশ, যতক্ষণ না পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়, ততক্ষণ খাবার জল সরবরাহ করতে হবে ।

মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, "মানুষের বিপদে পাশে থাকতে হবে । ডিএম, এসপি-রা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করো ।" দক্ষিণ 24 পরগনায় ভাঙন পর্যালোচনা করতে যাওয়া রাজ্যের সেচসচিব মনীশ জৈনকে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ দিয়েছেন, "নদী বাঁধের ক্ষেত্রে মাটি দিয়ে কাজ করলে হবে না। ম্যানগ্রোভের ব্যবহার করো ।" তিনি আরও বলেন, "কেন্দ্রীয় সরকার টাকা দেয় না। যে কাজ করছো তা যদি জলে চলে যায়, তাহলে হবে না । বন্যা বা ডিজাস্টার কোনও খাতেই সাহায্য পাচ্ছি না আমরা । তাই যা কাজ করা হচ্ছে, তা যেন জলে না যায় সেটা দেখতে হবে ।"

Last Updated : Oct 25, 2024, 4:45 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.